মুখের রোগ আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে

উত্তরাপথঃআপনি কি জানেন যে আপনার মুখের রোগ আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত ? সাম্প্রতি জাপানে একটি নতুন গবেষণায় আবারও মৌখিক স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে; যা নিয়ে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ আশ্চর্যজনকভাবে একমত যে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সাথে  মুখের স্বাস্থ্য আন্তঃসংযুক্ত।গবেষকদলটি তাদের গবেষণায় বেশ কিছু প্রশ্ন নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন, বিশেষত মুখের সমস্যা যেমন পিরিয়ডোনটাইটিস (মাড়ির রোগ) এবং দাঁত ক্ষয় স্ট্রোক, আলঝেইমার এবং অন্যান্য ধরণের ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে? গবেষণার ফলাফলগুলিতে স্পষ্ট যে উভয় সমস্যাই একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল, তবে গবেষণায় এই ধরনের একটি সম্পর্ক আবিষ্কার করা প্রথমবার নয়। এর আগে মার্চ মাসে, ইউকে বায়োব্যাঙ্ক  তাদের গবেষণা প্রকল্পে নথিভুক্ত ৪০,০০০ এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের উপর একটি সমীক্ষা করেন । মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে যে খারাপ মৌখিক স্বাস্থ্য স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।২০১৯ সালে, গবেষকদের একটি দল সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে "সম্মিলিতভাবে, পরীক্ষামূলক ফলাফলগুলি নির্দেশ করে যে মৌখিক স্বাস্থ্য এবং জ্ঞানের মধ্যে সংযোগকে অবমূল্যায়ন করা যায় না"। .....বিস্তারিত পড়ুন

সারা বিশ্বে ক্ষুধা এবং অপুষ্টির ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান নিরাশাজনক। দায় কার?

উত্তরাপথঃ ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যা এবং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সহ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক জাতি হিসাবে সারা বিশ্বে মর্যাদা থাকা সত্ত্বেও, ক্ষুধা এবং অপুষ্টির ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান নিরাশাজনক।২০২৩ সালে প্রকাশিত সর্বশেষ গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স অনুসারে, ভারত বিশ্বের ১২৫টি দেশের তালিকায় ১১১ তম স্থানে রয়েছে, যা দেশে ক্ষুধা ও অপুষ্টির গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে।এ ক্ষেত্রে দেশের অবস্থা কতটা খারাপ তা অনুমান করা যায় ভারত তার প্রতিবেশী দেশ যেমন বাংলাদেশ (৮১), পাকিস্তান (১০২), নেপাল (৬৯), শ্রীলঙ্কা (৬০) থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই সূচকে ভারতকে মোট ২৮.৭ পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে, যা পরিস্থিতির গুরুতরতা দেখানোর জন্য যথেষ্ট।প্রসঙ্গত ২০২২ সালে, ভারত এই সূচকে ১০৭ তম স্থানে ছিল। এর মানে ২০২২ সালের তুলনায় দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যার কারণে তা চার ধাপ কমে ১১১-এ দাঁড়িয়েছে। তবে এই তালিকায় মোজাম্বিক, আফগানিস্তান, চাদ এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের উপরে রাখা হয়েছে ভারতকে। মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে অপুষ্টির হার ৪৮.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অপুষ্টির পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। শিশুদের মধ্যে এই অপুষ্টির হার ১৮.৭ শতাংশ, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রধানমন্ত্রী মোদি 'র বক্তব্য আজ POSTECH এবং KIST এর বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রমানিত

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি World Bio Fuel Day’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি গল্প বলেছিলেন – প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি খবরে পড়েছেন - একজন চা-বিক্রেতার নিকটবর্তী নর্দমা থেকে নির্গত  দাহ্য গ্যাসের চা তৈরিতে বুদ্ধিমান ব্যবহার সম্পর্কে। তিনি বলেন, চা-বিক্রেতা একটি বাসন উল্টে , একটি গর্ত কেটে পাইপ বসিয়ে নর্দমা থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাস ব্যবহার করে চা তৈরি করেন । চা বিক্রেতার এত সহজ প্রযুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত হয়েছিলেন। যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নর্দমা হতে নির্গত গ্যাসকে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করার ধারণাটি উল্লেখ করেছিলেন, আমি সহ, অনেকের কাছে এটি অবিশ্বাস্য ছিল। সব থেকে বেশী  উল্লেখযোগ্য ছিল, মোদির মন্তব্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া। রাহুল গান্ধীর থেকে কেজরিয়াল সবাই ফলাও করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা শুরু করেন। সমানতালে মিডিয়াগুলিও লেগে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায়। সেদিন রাজনৈতিক দলগুলি প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার দুর্বলতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল। মিডিয়াগুলিও একাধিক কভারেজ এই তথ্য নিয়ে প্রকাশ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

GW230529 - মহাকর্ষীয় তরঙ্গের নতুন ঠিকানা !

ড. সায়ন বসুঃ আলবার্ট আইন্সটাইন এক শতক আগে তাঁর সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে যে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কথা বলে গিয়েছিলেন বর্তমানে বিজ্ঞানীরা তা হাতেকলমে প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার এই তরঙ্গের সন্ধান পান Advanced Laser Interferometer Gravitational-Wave Observatory (LIGO বা লাইগো)-এর বিজ্ঞানীরা। লাইগো লেজার রশ্মিগুলিকে লম্ব পথে বিভক্ত করে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করে, তাদের প্রতিফলিত করে আয়না থেকে দূরে অবস্থিত কিলোমিটার এবং তারপরে তাদের পুনরায় সংযুক্ত করে। কোটি কোটি কিলোমিটার দূর থেকে আসা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ, লেজার রশ্মি দ্বারা পরিভ্রমণ করা দূরত্বে সামান্য পরিবর্তন ঘটায়। এই ভাবে লাইগো, দুটি ব্ল্যাক হোলের একত্রিত হওয়ার মতো মহাজাগতিক ঘটনা সনাক্ত করে। ২০১৫ সালে GW150914-কে চিহ্নিত করা থেকে ২০২৩ সালে GW230529 এর সন্ধান, এর মাঝে আরোও অনেক মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন লাইগোর বিজ্ঞানীরা। .....বিস্তারিত পড়ুন

CSDS-Lokniti Pre-poll Survey: বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে চলেছে

সমীক্ষা বিশ্লেষণে গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষার প্রধান কাজ।এটি ভোটারদের ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারে, যা নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।কিন্তু এই প্রসঙ্গে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তাহল আজ পর্যন্ত কোনও প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা ১০০ শতাংশ সঠিক প্রমানিত হয়নি। সম্প্রতি সামনে এসেছে সিএসডিএস-লোকনীতির(CSDS-Lokniti)প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা।  এই সমীক্ষা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বড় ইস্যূ হতে চলেছে বেকারত্ব। যখন সমীক্ষা করা হয় সেই সময় লোকদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী, ২৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন বেকারত্ব তাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।প্রসঙ্গত এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্যি যে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে গরীব বা বেকারত্ব ইস্যুই প্রধান নির্বাচনের ইস্যূ হলেও আজ পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী স্লোগান দিয়েছিলেন ‘গরিবী হঠাও’। সেই থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে এটি একটি প্রধান ইস্যূ হিসেবে উঠে এলেও বাস্তবে এই সমস্যার সমাধান হয়নি।স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দেশ শাসন ক্রেছেন,কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হয়নি। নির্বাচন আসে নির্বাচন যায় .....বিস্তারিত পড়ুন

Peter Higgs: চলে গেলেন হিগস-বোসন কণার প্রস্তাবক, ৯৪ বছর বয়সে

উত্তরাপথঃ‘হিগস বোসন কণার প্রস্তাবক’ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস (Peter Higgs) গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ সালে ৯৪ বছর বয়সে মারা যান। উত্তরাপথের পক্ষ থেকে পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। হিগস এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন এবং তার যুগান্তকারী কাজের জন্য ২০১৩ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।পিটার হিগস বহু বছর ধরে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। হিগস বোসন, যা "ঈশ্বর কণা" হিসাবে পরিচিত, কণা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি অন্যান্য সমস্ত কণাকে তাদের ভর দেওয়ার জন্য দায়ী এবং এটি মহাবিশ্বের একটি মৌলিক বিল্ডিং ব্লক। হিগস প্রথম ১৯৬০-এর দশকে এই অধরা কণাটির অস্তিত্বের কথা  বলেছিলেন। এরপর ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের CERN গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের সাথে পরিচালিত পরীক্ষার মাধ্যমে এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের পাশাপাশি, হিগস তার নম্রতা এবং বিনয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার নোবেল পুরষ্কার জয়ের সাথে আসা প্রচুর খ্যাতি এবং স্বীকৃতি সত্ত্বেও, তিনি একটি সংরক্ষিত এবং অসামান্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত প্রশংসা শোনার পরিবর্তে তার কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে বেশী পছন্দ করতেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top