প্রয়াত প্রফেসর অ্যালেন জে. বার্ড : ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রির জগতের এক অন্যতম পথিকৃৎ

উত্তরাপথঃ ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রির (Electrochemistry) জগতে একজন আগ্রগামী অধ্যাপক ছিলেন অ্যালেন জে বার্ড (Professor Allen J.Bard )। তিনি ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪-এ টেক্সাসের অস্টিনে ৯০ বছর বয়সে মারা যান। উনার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রি হল ভৌত রসায়নের একটি শাখা যা অধ্যয়ন করে যে কীভাবে রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি ইলেকট্রনকে সরাতে পারে। ইলেকট্রনের এই গতিবিধিকে বিদ্যুৎ বলে। এটি রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক শক্তির মধ্যে রূপান্তর অধ্যয়ন করে এবং শক্তি সঞ্চয়স্থান, সেন্সর এবং ক্ষয় প্রতিরোধের মতো ক্ষেত্রগুলিতে এর অসংখ্য প্রয়োগ রয়েছে।প্রফেসর অ্যালেন জে. বার্ড ১৯৩৩ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন, বার্ড তার পিএইচডি করার আগে নিউইয়র্কের সিটি কলেজে স্নাতক হন। ১৯৫৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর তিনি অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার পুরো কর্মজীবন কাটিয়েছেন। ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রিতে বার্ডের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। তিনি ১০০০টিরও বেশি প্রকাশনা,৩০ টি পেটেন্ট এবং ক্লাসিক পাঠ্যপুস্তকে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল মেথডস লিখেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন: ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বিজ্ঞানের  জন্য এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দিন

উত্তরাপথঃ আপনি যদি ফেব্রুয়ারি মাসটিকে প্রেমের মাস হিসাবে মনে করেন তাহলে এটি এক সাথে বিজ্ঞানেরও মাস ।এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখটিকে আমাদের দেশে প্রতিবছর জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কারণ ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দিনটিতে প্রখ্যাত ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন তার বিখ্যাত রামন এফেক্ট (Raman Effect )আবিষ্কার করেছিলেন।এরপর ১৯৩০ সালে, তিনি  তার যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।ভারতের এই মহান বিজ্ঞানীর আবিস্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা যোগাযোগ আয়োগ (NCSTC) ভারত সরকারর কাছে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করে, পরে সরকার এই আবেদনের অনুমোদন দেয়। এরপর থেকে এই দিনটিকে গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, বৈজ্ঞানিক, কারিগরী, চিকিৎসা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে এই দিনটিতে NCSTC র পক্ষ থেকে এমন ব্যক্তিদের পুরষ্কার দেওয়া হয় যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার প্রসার ও জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে । .....বিস্তারিত পড়ুন

এবারের কৃষক আন্দোলন কতটা আলাদা, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কী দাবি কৃষকদের

উত্তরাপথঃ নিজেদের দাবি নিয়ে আবারও রাজপথে নেমেছে কৃষকেরা।  শম্ভু সীমান্তে কৃষকদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।  পুলিশের অভিযোগ আন্দোলনকারীরা অনেক ব্যারিকেড নস্ট করে দিয়েছে।  এ কারণে অনেক আন্দোলনকারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।  পরিস্থিতি দেখে মনে হয় না কৃষকরা ফিরে যাবেন।  এবার কৃষকরা তাদের বিভিন্ন দাবিতে অনড়।কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কৃষকদের দাবি ঠিক কি?  ১. কৃষক নেতারা ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) আইনের দাবি করছেন।তাদের দাবী ২০২০ সালে কৃষির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও, সরকার এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। এবারও কৃষকদের দাবিগুলির মধ্যে কৃষি সহায়ক মূল্য নির্ধারণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । ২. দিল্লিতে মোর্চার সময় কেন্দ্রীয় সরকার যে দাবিগুলি আশ্বাস দিয়েছিল তা অবিলম্বে পূরণের দাবি করেছে কৃষকরা।৩.২০২১- ২২ সালের কৃষকদের আন্দোলনের সময় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের দাবি রয়েছে। চার বছর আগে আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। মামলাগুলি প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, সরকার কথা রাখেনি বলে দাবি। মামলা প্রত্যাহারের জন্যও সরব হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। .....বিস্তারিত পড়ুন

চীনা গুপ্তচর বলে সন্দেহ করা পায়রাকে ৮ মাস বন্দী রাখার পর মুক্ত করা হয়েছ

উত্তরাপথঃ চীনা গুপ্তচর বৃত্তির সন্দেহে মুম্বাইয়ে বন্দি একটি পায়রা অবশেষে মুক্তি পেল। ২০২৩ সালের মে থেকে তাকে মুম্বাইয়ের একটি ভেটেরিনারি হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। বাই সাকারবাই দিনশ পেটিট হাসপাতাল ফর অ্যানিম্যালস কবুতর ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি তাকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই পায়রাটিকে ২০২৩ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ের RCF (ন্যাশনাল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার) থানা, চেম্বুরের পিয়ার পাউ জেটি থেকে ধরা হয়েছিল। পায়রাটিরর এক পায়ে তামার আংটি এবং অন্যটিতে অ্যালুমিনিয়ামের আংটি ছিল। ডানার নিচে চাইনিজ লিপিতে কিছু লেখা ছিল।আরসিএফ ভেবেছিল এটি চীনের পাঠানো গুপ্তচর পায়রা। এর পরে আরসিএফ একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং পায়রাটির সম্পর্কে তদন্ত শুরু করে। এই সময়ে, পায়রাটিকে মুম্বাইয়ের একটি পশুচিকিৎসা হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, যেখানে তার খাবার ও পানীয়ের যত্ন নেওয়া হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

সাপের কামড়ের জন্য অ্যান্টিভেনম তৈরিতে ঘোড়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে

উত্তরাপথঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন মানুষকে সাপে কামড়ায়, যার ফলে ৮৩,০০০-১৩৮,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। কোস্টারিকার বিজ্ঞানীরা সাপে কামড়ানো মানুষের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ঘোড়াকে সাপের বিষ দিয়ে ইনজেকশন দিচ্ছেন।সেই সাথে সাপের বিষ নিয়ে গবেষণার জন্য ক্লোডোমিরো পিকাডো ইনস্টিটিউটের পশুচিকিৎসকরা বিষাক্ত সাপের বংশবৃদ্ধি করছেন এবং সেখান থেকে প্রাণঘাতী বিষ বের করে ঘোড়াকে ইনজেকশন দিচ্ছেন এবং অমূল্য অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করছেন । এই যুগান্তকারী পদ্ধতিটি অ্যান্টিভেনম থেরাপি সহ মানুষের অন্যান্য রোগের জন্য অগণিত চিকিৎসার বিকাশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে।সাপের বিষ, তার প্রাণঘাতী এবং বিষাক্ত বৈশিষ্ট্যের জন্য কুখ্যাত, এতে শক্তিশালী প্রোটিন এবং এনজাইম রয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক । তবে এই জিনিষটি মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে আশার আলো দেখায়। বিষে বিভিন্ন রকম, রূপান্তরকারী অণু রয়েছে যা ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার অবস্থা এবং স্নায়বিক ব্যাধি সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই শক্তিশালী বিষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, এবং তাদের গবেষনাকে সঠিক পথে চালিত করার জন্য বিজ্ঞানীরা অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় ঘোড়াকে পরীক্ষার জন্য বেঁছে নিয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top