Vyommitra Robot: ভারতের প্রথম মহিলা রোবট যাকে ইসরো এই বছর লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে

উত্তরাপথঃISRO-এর মানব মিশন গগনযান-এর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।  এমন পরিস্থিতিতে গগনযান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।  প্রকৃতপক্ষে, মনুষ্যবাহী গগনযান মহাকাশে যাওয়ার আগে ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো দেশের প্রথম মানবিক রোবট 'ব্যোমিত্র রোবট' (Vyommitra Robot)লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।মহিলা রোবট মহাকাশচারী 'ব্যোমিত্রা' প্রথম মহাকাশে যাবে, যা ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার আগে ভারতের প্রথম মানববাহী মহাকাশ ফ্লাইট হবে।  কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সম্প্রতি এই মিশনের সূচনা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যোমমিত্র মিশনের সূচনা হওয়ার কথা রয়েছে।  ভারতের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে মনুষ্যবাহী মহাকাশ মিশন চালু করার।  এই হিউম্যানয়েড রোবট মহাকাশচারী ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ মিশনের প্রথম ধাপ।প্রসঙ্গত গগনযান মিশনে তিন মহাকাশচারীকে সাত দিনের জন্য মহাকাশে পাঠানো হবে।  এই তিন মহাকাশচারী বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মহাকর্ষের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে যাচ্ছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

জানেনকি শনির আইকনিক রিংগুলি শতাব্দী আগে কিভাবে তৈরি হয়েছিল?

শনির আইকনিক রিংগুলি শতাব্দী ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এবং মহাকাশ উৎসাহীদের কল্পনাকে ধরে রেখেছে। শনির রিংগুলি এই গ্রহের সবচেয়ে আইকনিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। যদিও আমরা এখন এই রিংগুলির রচনা এবং গঠন সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছি, কিন্তু এই রিং সিস্টেমগুলির সঠিক উৎস এবং বয়স দীর্ঘকাল ধরে একটি রহস্য রয়ে গেছে।বোল্ডারের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাশা কেম্পফের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দলের সাম্প্রতিক গবেষণা এই প্রশ্নগুলিতে নতুন আলোকপাত করেছে।  শনির বলয়গুলি ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত, যা ধূলিকণা থেকে পাথর পর্যন্ত পদার্থ দিয়ে তৈরি । এই বলয়টি একটি ফ্ল্যাট ডিস্কের আকারে শনি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে। রিংগুলিকে কয়েকটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উজ্জ্বল A, B, এবং C রিং, সেইসাথে গাঢ় এবং আরও ছড়িয়ে থাকা D, E, এবং F রিংগুলি। এই রিংগুলি বরফ এবং শিলা কণা দ্বারা গঠিত যাকে ধূমকেতু, গ্রহাণু বা এমনকি চাঁদের অবশিষ্টাংশ বলে মনে করা হয় যা শনির মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গবেষকরা রিংগুলির বয়স জানতে রিংগুলিতে যে হারে ধুলো জমে তা অধ্যয়ন করতে নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের ডেটা ব্যবহার করেছেন। এটি একটি যন্ত্র যা মহাকাশ থেকে ধূলিকণা সংগ্রহের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিকে কি দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব?  

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভুরি ভুরি অভিযোগ প্রায় সমস্ত রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে। গত ১৭ ও ১৮ তারিখে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।  পঞ্চাশ লাখের বেশি তরুণ-তরুণী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।এই অবস্থায় হতাশাগ্রস্ত যুবকদের, সিস্টেমকে অভিশাপ দেওয়া আর আফসোস করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিলের এর আগেও বহু উদাহরণ রয়েছে। ২০২২ সালে রাজস্থানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পেপার ফাঁসের পর বাতিল হয়ে যায়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তেলেঙ্গানা স্টেট পাবলিক সার্ভিস কমিশন (টিএসপিএসসি)পেপার ফাঁসের কারণে সহকারী প্রকৌশলী, পৌর সহকারী প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল অফিসার এবং বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জুনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিলেন।পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও সরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু অভিযোগ রয়েছে।যদি সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বা টাকা নিয়ে নিয়োগে কারচুপি করা হয়, তাহলে সেই প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন যারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করছেন সততার সাহায্যে বা মেধার ভিত্তিতে। .....বিস্তারিত পড়ুন

 দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রাসঙ্গিকতা

উত্তরাপথঃ সদ্য সমাপ্ত রাজ্যসভা নির্বাচনে, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকে বিধায়করা যেভাবে দলীয় নির্দেশকে অমান্য করে নিজেদের অন্তরাত্মার টানে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন তাতে  আবারও রাজনীতিবিদদের দলীয় আনুগত্য এবং দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন, ১৯৮৫সালে ভারতীয় সংবিধানের ৫২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল বিধায়কদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দল বদল করার অভ্যাস রোধ করা। আইনটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে নিষেধ করে এবং যদি তারা তা করে তবে তাদের নির্দিষ্ট সদস্যপদ অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে।যদিও দলত্যাগ বিরোধী আইনটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দলীয় আনুগত্য এবং স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে, রাজনৈতিক দলগুলি তাদের সদস্যদের মধ্যে ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিবেক অনুযায়ী ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা সীমিত করার জন্য আইনটি ব্যবহার করে।আবার এর একটি ভিন্নমত হল রাজনৈতিক দলগুলি এই আইনটির মাধ্যমে তাদের দলীয় অনুশাসন বজায় রাখে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়- বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ার লক্ষ্যে কি আমরা আরও দেওলিয়া হয়ে যাচ্ছি?

অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ার দাবির মধ্যে বাস্তবতা হলো, গত বারো-তেরো বছরে মানুষের গৃহস্থালির ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।  পরিসংখ্যান ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন মন্ত্রকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে গৃহস্থালীর খরচ , শহরাঞ্চলে মাথাপিছু ২০১১ – ১২ সালে যেখানে ২,৬৩০ টাকা ছিল সেটি বেড়ে ২০২২ -২৩ সালে ৬,৪৫৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে ,অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে ৷  একইভাবে, গ্রামীণ এলাকায় এই খরচ ১,৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩,৭৭৩ টাকা হয়েছে। এটি দেখায় যে খাদ্যবহির্ভূত ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে, যেখানে খাদ্যশস্যের ব্যয় আগের তুলনায় কমেছে।  ফল, সবজি, দুধ, মাছ, ভোজ্যতেল ইত্যাদির ব্যয় বেড়েছে।  একইভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, পোশাক ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য খাতে ব্যয় বেড়েছে।  এর একটি কারণ বলা হয় যে, কোভিডের সময় মানুষ শহর থেকে গ্রামে ফিরে গেছে এবং কৃষি খাতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে ওই খাতের গড় খরচ বেড়েছে।  কিন্তু একই যুক্তি শহুরে ব্যয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।  এই পরিসংখ্যানে দারিদ্র্যের হার পাঁচ শতাংশ কমেছে বলেও দাবি করা হয়েছে । রিপোর্টে প্রায় তেইশ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমা থেকে থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে খবর।কিন্তু এত কিছুর মধ্যে এটাও একটা সত্য যে মাথাপিছু আয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো বৃদ্ধি হয়নি। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিজেপির লোকসভার প্রার্থী বাছায়ে ‘নম’ অ্যাপে বিশেষ নজর

উত্তরাপথঃ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রথম বৈঠক চলে।প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও বৈঠকে অংশ নিতে এসেছিলেন।বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ১৭টি রাজ্যের ১৫৫ টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের হারানো আসনগুলি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।খুব দ্রুত বিজেপি তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে। এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু প্যারামিটারের ভিত্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করবে বলে খবর। ‘নম’ অ্যাপে (নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ) জনসাধারণের কাছ থেকে এমপিদের সম্পর্কে মতামত নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও বেশ কিছু সংস্থাকে দিয়ে প্রতিটি মন্ত্রীর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করানো হয়েছে।অন্তত ৬০-৭০ জন সংসদ সদস্যের টিকিট বাতিল হওয়ার খবর রয়েছে যাদের পারফরম্যান্স ভালো নয় ।দুইবার জয়ী অনেক পুরনো এমপির জায়গায় নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়া হবে বলে খবর। .....বিস্তারিত পড়ুন

এবার শিক্ষা ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্যের

উত্তরাপথঃ ১০০ দিনের কাজের পর সমগ্র শিক্ষা অভিযানে’ বরাদ্দ ১ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা আটকানো হবে বলেই শিক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর। শুধু বাংলা নয়, ভোটের ঠিক প্রাক্কালে এই খাতে টাকা আটকানো হচ্ছে দিল্লি, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে ‘পিএম-শ্রী’ বা পিএম স্কুলস ফর রাইজিং ইন্ডিয়ায় অনাগ্রহ। এই পাঁচ-ছ’টি রাজ্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেনি। পাঞ্জাব শুরুতে রাজি হয়েও পরে সরে এসেছে। তারই সাজা হিসেবে কোপ বসানো হচ্ছে প্রাপ্য অর্থে। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৩-’২৪) সমগ্র শিক্ষা অভিযানে বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৭২ কোটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১ হাজার ২৭৩ কোটি আপাতত আটকে রাখা হচ্ছে। পিএম-শ্রী প্রকল্প রূপায়ণে রাজি হলে তবেই মিলবে সেই টাকা। আবার রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানে (আরএমএসএ ) রাজ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাড়লেও রাজ্যের আটটি জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ভাগ্যে প্রাপ্তি তেমন কিছুই নেই ৷ তার মধ্যে আবার একেবারেই উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছে শিক্ষা উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা মুর্শিদাবাদ ৷ সেই সঙ্গে দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ারও৷ এই তিন জেলার কোনও স্কুলের নামই হয়নি কোনও বরাদ্দ ৷ .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top