ভবিষ্যতে কিভাবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় শূন্য নির্গমন এভিয়েশনের পথ তৈরি করছে

উত্তরাপথঃ এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করুন যেখানে উড়ে যাওয়া কেবল সুবিধাজনক নয়, পরিবেশ বান্ধবও বটে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ২০৫০ সালের মধ্যে এটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য একটি পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছে। একটি নতুন প্রতিবেদনে, “ফাইভ ইয়ার্স টু চার্ট এ নতুন ফিউচার ফর এভিয়েশন” শিরোনামে এভিয়েশন শিল্পের জন্য চারটি মূল লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করতে হবে যদি এভিয়েশন সেক্টরকে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরোতে  বা  শূন্য নির্গমনের পরিণত করতে হয়। এই লক্ষ্যগুলো হল: ১। বৈশ্বিক কন্ট্রাইল এড়ানোর ব্যবস্থা স্থাপন করে বিমান চলাচলের জলবায়ু প্রভাবকে ৪০% পর্যন্ত কমিয়ে দিন। ২।বিদ্যমান বিমান চালনা সেক্টর জুড়ে সিস্টেম-ওয়াইড দক্ষতা লাভ আনলক করার জন্য নতুন নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেক জ্বালানী পোড়ানো হবে। ৩। টেকসই উৎপাদন এবং দ্রুত স্কেল বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে টেকসই বিমান জ্বালানি (SAF) নীতি সংস্কার করুন। ৪ । রূপান্তরকারী প্রযুক্তির কার্যকারিতা এবং স্কেলেবিলিটি দ্রুত মূল্যায়ন করতে প্রযুক্তি প্রদর্শনের প্রোগ্রাম চালু করুন। কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ? আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন অর্জনে এভিয়েশন সেক্টর উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে থাকবে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে জোর দেওয়া হয়েছে যে সেক্টরটিকে ঠিক ভাবে এগিয়ে রাখতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সহযোগীতামূলক প্রচেষ্টা .....বিস্তারিত পড়ুন

মাইক্রোপ্লাস্টিকের সমস্যা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বব্যাপী পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন

উত্তরাপথঃ এমন একটি বিশ্বের কল্পনা করুন যেখানে প্লাস্টিক দূষণ সর্বত্র, সমুদ্র থেকে আমাদের নিজের শরীর পর্যন্ত।বিজ্ঞানীরা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাইক্রোপ্লাস্টিক অধ্যয়ন করছেন, এবং প্রমাণগুলি উদ্বেগজনক। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলি গ্রহের প্রায় প্রতিটি কোণে পাওয়া যাচ্ছে,১৩০০ টিরও জলজ এবং স্থলজ প্রজাতি থেকে আমাদের খাদ্য এবং পানীয় পর্যন্ত। এমনকি মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলি আমাদের  শরীরেও পাওয়া যাচ্ছে । সম্প্রতি সমীক্ষায় প্রকাশ মাতৃদুগ্ধেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে।  এই পরিণতি ভয়ঙ্কর বন্যপ্রাণীর শারীরিক ক্ষতি, আমাদের চারপাশের বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি, এমনকি মানুষের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি। **একটি বৈশ্বিক চুক্তি প্রয়োজন** জাতিসংঘের প্লাস্টিক দূষণ চুক্তি দেশগুলির জন্য একত্রিত হওয়ার এবং প্লাস্টিক দূষণের সংকট মোকাবেলার একটি সুযোগ।এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার জন্য, প্রতিটি দেশকে অবশ্যই প্লাস্টিক উৎপাদন এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গমন হ্রাস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নিই, তাহলে আমরা অপরিবর্তনীয় পরিবেশগত ক্ষতির ঝুঁকির মধ্যে পড়ব। কেন আমাদের এখনই কাজ করতে হবে সমস্যা শুধু আমাদের সমুদ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রতি বছর ৪০ মেগাটন হারে পরিবেশে নির্গত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা ২০৪০ সাল নাগাদ দ্বিগুণ হতে পারে। এর মানে হল আমরা পরবর্তী শতাব্দীতে ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছি। .....বিস্তারিত পড়ুন

কীভাবে মস্তিষ্কের দক্ষতা একটি পাহাড়ি মুরগিকে দীর্ঘজীবী করতে সাহায্য করে

উত্তরাপথঃ সম্প্রতি পাহাড়ি মুরগির (Chickadees )উপর বিজ্ঞানীদের এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে উন্নত চিন্তা করার দক্ষতা পাহাড়ি মুরগিদের  দীর্ঘজীবী হতে এবং আরও বাচ্চা জন্ম দিতে সাহায করে।ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যারি ব্রাঞ্চের নেতৃত্বে দশ বছর ধরে এই গবেষণা চলে, তাতে নেভাদা ইউনিভার্সিটি, রেনো এবং ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অংশ নেয়। তারা ২২৭ টি পাহাড়ি মুরগির উপর তাদের গবেষণাটি করেন। তারা দেখেছে যে মুরগিরা ভাল স্মৃতিশক্তি এবং শেখার দক্ষতা সম্পন্ন তারা বেশি দিন বাঁচে অর্থাৎ পৃথিবীতে "যোগ্যতমের বেঁচে থাকার" ধারণাটি প্রকৃতিতে সাধারণ একটি সত্য হলেও, এই গবেষণাটি দেখায় যে বেঁচে থাকার জন্য স্মার্ট হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সায়েন্স (Science ) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি নিশ্চিত করে যে বুদ্ধিমান পাখিদের দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। সায়েন্স জার্নালে ব্যাখ্যা করেছে যে প্রাণীরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে এবং পুনরুত্পাদন করতে চায়, স্মার্ট হওয়া  তাদের উভয় ক্ষেত্রেই সাহায্য করে। পাহাড়ি মুরগির(Chickadees) জন্য, এর অর্থ হল খাবার কোথায় পাওয়া যাবে তা জানা, সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা এবং তারা কোথায় রেখেছে তা মনে রাখা যাতে তারা পরে খেতে পারে। জ্ঞানীয় দক্ষতা বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক গবেষণা মস্তিষ্কের আকারের মতো পরোক্ষ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করেছে। Chickadees ছোট মস্তিষ্কের ছোট পাখি, তবুও তারা সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালায় .....বিস্তারিত পড়ুন

ইনসুলিন প্রতিরোধ (Resistance): ৩১ টিরও বেশি রোগ এবং মহিলাদের অকাল মৃত্যুর সাথে যুক্ত

উত্তরাপথঃআমাদের শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন প্রয়োজন। শরীরে যখন ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তখন ডায়াবেটিস হয়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হল যখন আমাদের পেশী, চর্বি এবং লিভারের কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি ভালোভাবে সাড়া দেয় না,  তাঁর ফলে আমাদের শরীর সহজেই দেহের রক্ত ​​থেকে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে না। ফলস্বরূপ, অগ্ন্যাশয় আমাদের কোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে সাহায্য করার জন্য আরও ইনসুলিন তৈরি করে।ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সাধারণত ডায়াবেটিসের সাথে জড়িত, তবে এটি অন্যান্য অনেক রোগের কারণও হতে পারে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার ফলে বিশেষত মহিলাদের মধ্যে ৩১টি বিভিন্ন ধরণের রোগ হতে পারে। গবেষকরা আরও বলেছেন যে ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে মহিলাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে।তাই এই ব্যাপারে মহিলাদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কয়েক হাজার মানুষের উপর তথ্যের একটি সমীক্ষা ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডির বার্ষিক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে (Annual Meeting of the European Association for the Study of Diabetes (EASD)। স্পেনের মাদ্রিদে ৯ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই সভায় ডায়াবেটিস (EASD) সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পাওয়া গেছে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে পারকিনসন্স রোগ, গেঁটেবাত এবং সায়াটিকার মতো বিভিন্ন রোগের মধ্যে সংযোগের জোরালো সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।  চীনের শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইউকে বায়োব্যাঙ্কের ৫০০,০০০ এরও বেশি লোকের ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন যেটি জেনেটিক, চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার তথ্য সম্পর্কিত। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানভুমের লোকসংস্কৃতিতে নারীদের সম্মান 

ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ সম্প্রতি আর জি কর কান্ড ও অন্যান্য কিছু ঘটনায় বাংলা তথা সমগ্র ভারতে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রশ্নের মুখে পড়েছে । কিন্তু মানভূমে স্মরণাতীত কাল থেকেই নারীদের প্রতি প্রভূত সম্মান প্রদর্শনের ঐতিহ্য দেখতে পাওয়া যায়। নারীদের প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের সম্মানের প্রতিফলন দেখা যায় এখানে প্রচলিত বিভিন্ন  প্রবাদ, ধাঁধা, ছড়া, লোকগান, লোককথা এবং বিভিন্ন পরব- পার্বণের রীতি- আচারে। যেমন নিম্নের কয়েকটি প্রবাদে মানভূমের মানুষের নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রকাশ দেখা যায়:  ১ ) জমি লহে, জননী । স্বতন্ত্র প্রয়োগ : মাটি লহে, জননী । কৃষকদের জীবনে জমি মাতৃস্বরূপা। মা  যেমন সন্তানকে লালন-পালন করে, তেমনি জমি থেকে উৎপাদিত ফসলে কৃষকের পরিবার প্রতিপালিত হয়। তাই, এখানে জমিকে মায়ের সঙ্গে অভিন্ন বলে কল্পনা করা হয়েছে। মানভূম অঞ্চলে কৃষি কাজই মূল জীবিকা, তাই এখানকার কৃষকদের কাছে জমি প্রকৃতই জননীস্বরূপা। আলোচ্য প্রবাদটিতে একদিকে যেমন মায়ের প্রতি যেমন সন্তানের অপরিসীম শ্রদ্ধা , ভক্তির প্রকাশ দেখা যায়,‌ অন্যদিকে তেমনি  জমির প্রতি কৃষকদের নিগূঢ় শ্রদ্ধা-ভক্তির  পরিচয় পাওয়া যায়। ২ ) মাটি আর বিটি , যত সাজাবে ততই সাজবেক ।  স্বতন্ত্র প্রয়োগ : মাটি আর বিটি সাজালেই সাজে ।  আলোচ্য প্রবাদটিতে মাটি ও মেয়ের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার কথা প্রকাশিত হয়েছে। মাটি ও বিটি (মেয়ে) উভয়েই সৃষ্টিশীলতার  ধারক। তাই , তাদেরকে যেরকম ভাবে ব্যবহার করা যায় , তারা সেরকম ভাবেই ফলবতী হয় । বিভিন্ন ফসল উৎপাদন পদ্ধতির প্রকৃতি অনুসারে মাটিকে বিভিন্ন রূপ দেওয়া হয়। ফসলের ভিন্নতা অনুযায়ী মাটিকে কখনো সমতল, কখনো ঢালু, কখনো ঢেউ খেলানো, কখনো শুকনো, কখনো কাদা, কখনো ঝুরঝুরে ইত্যাদি রূপ দেওয়া হয়। সুতরাং, কৃষকেরা মাটিকে বিভিন্নভাবে সাজাতে অর্থাৎ বিভিন্ন রূপে ব্যবহার করতে পারেন এবং মাটির এই প্রকৃতি কৃষকের মনে সৃষ্টিশীলতার আনন্দ বজায় রাখে। .....বিস্তারিত পড়ুন

দক্ষিণ আফ্রিকায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের আসর

ড. সায়ন বসুঃ অলিম্পিক, ক্রিকেট - ফুটবলের বিশ্বকাপ যেমন প্রতি চার বছর অন্তর এক একটি দেশে হয়, ঠিক তেমনই আরোও একটি আসর বসে প্রতি তিন বছর অন্তর| এ হলো জ্যোতির্বিজ্ঞানের আসর যার নাম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (International Astronomical Union বা IAU) জেনারেল অ্যাসেম্বলি| এটিকে সংক্ষেপে IAU-GA বলা হয়ে থাকে| দু'সপ্তাহ ব্যাপী এই আসর এবার বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে | ভারতে IAU-GA আয়োজিত হয় প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ আগে নতুন দিল্লীতে| কোভিড অতিমারির পরে ২০২২ সালে IAU-GA অনুষ্ঠিত হয় কোরিয়ার বুসান শহরে এবং সেখানেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেছে নেওয়া হয় ২০২৪ সালের আয়োজক হিসেবে|  IAU এর ইতিহাস প্রায় একশো বছরের পুরনো |  IAU-এর পথচলা শুরু ১৯১৯ এর ২৮ জুলাই বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে, যদিও ফ্রান্সের প্যারিস শহরে এর মূল কার্যদপ্তর| ১৯১৯ এ IAU প্রতিষ্ঠার সময় হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এর সদস্য ছিল| সেগুলি হলো বেলজিয়াম, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, ইতালি, জাপান, কানাডা এবং হল্যান্ড |   বর্তমানে IAU এর সদস্য ৯০টি দেশ | যে সমস্ত প্রথিতযশা বিজ্ঞানীরা যুক্ত ছিলেন IAU এর জন্মলগ্ন থেকে তাঁরা হলেন - George Ellery Hale (আমেরিকা), Benjamin Baillaud (ফ্রান্স), Arthur Eddington এবং Frank Dyson (গ্রেট ব্রিটেন)| এঁরা সবাই নিজের নিজের গবেষণা ক্ষেত্রে স্বনামধন্য |  অনেকেই ভাবতে পারেন যে এতো মহাদেশ এবং দেশ থাকতে শেষে আফ্রিকা মহাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কেন ? এখানে বলে রাখা ভালো যে, আফ্রিকায় জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস প্রায় ৭,০০০ বছর আগের থেকে শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ মিশরের নাব্তা প্লাইয়া (Nabta Playa) নামক স্থানে মানুষ আকাশ পর্যবেক্ষণ শুরু করেছিল। নাব্তা প্লাইয়ার প্রস্তর স্থাপনা, যা ৭,০০০ থেকে ৬,০০০ বছর পুরনো, সূর্যের গতি এবং নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হতো. .....বিস্তারিত পড়ুন

দেবী দুর্গা নয়,এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই সময় তাদের আরাধ্য অসুরের পূজা করে

উত্তরাপথঃ প্রতি বছর মহালয়া থেকে শুরু করে টানা নয় দিন সারা রাজ্য মন্দের উপর ভালোর জয় উদযাপনের আনন্দে ব্যস্ত থাকে। তারা দেবী ও তার সন্তানদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে একদিকে যখন আড়ম্বরপূর্ণ উদযাপনে ব্যস্ত  ঠিক সেইসময় উপজাতীয় সম্প্রদায় যারা নিজেদেরকে অসুর বা মুলনিবাসি বলে পরিচয় দেয় তারা ব্যস্ত তাদের আরাধ্য মহিষাসুরের পূজা করতে । উপজাতির মানুষেরা নির্দয়ভাবে তাদের রাজা মহিষাসুরের মৃত্যুতে শোক পালন করতে নিজেদের ঘরের ভিতর তালাবদ্ধ করে রাখে উৎসবের কয়দিন।তাদের কাছে দেবী দুর্গা উচ্চ বর্ণের প্রতিনিধি, তিনি তাদের রাজা মহিষাসুরকে প্রতারিত করে হত্যা করেছিলেন।আদিবাসীরা মনে করেন দুর্গা পূজা আসলে উচ্চ বর্ণের দ্বারা আদিবাসীদের উপর আধিপত্য অর্জন পালনের এক উৎসব। এবার আসা যাক অসুর জাতি প্রসঙ্গে, অসুর হল ভারতের একটি ছোট অস্ট্রোএশিয়াটিক জাতিগোষ্ঠী যারা প্রাথমিকভাবে ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে বাস করে।এই বর্ণের লোকেরা নিজেদের মহিষাসুরের বংশধর বলে মনে করে। ঐতিহাসিকদের মতে, মহাভারতের সময় ঝাড়খণ্ড মগধের অধীনে আসে এবং সেই সময়টা ছিল বাহুবলী জরাসন্ধের শাসনকাল।এরপর জরাসন্ধের বংশধররা প্রায় এক হাজার বছর ধরে মগধকে একভাবে শাসন করেছিল বলে অনুমান করা হয়। জরাসন্ধ ছিলেন জাতিতে অসুর, আজ বাংলায় ও ঝাড়খণ্ডে বসবাসকারী বর্তমান আদিবাসী সম্প্রাদায়ের মানুষেরা নিজেদের মহাভারত যুগের অসুরদের বংশধর বলে মনে করেন। বর্তমানে অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরা হিন্দু ক্যালেন্ডার মাসের আশ্বিনের পূর্ণিমার রাতে মহিষাসুরের মৃত্যুতে শোক করার জন্য একত্রিত হয়। বার আসা যাক অসুর জাতি প্রসঙ্গে, অসুর হল ভারতের একটি ছোট অস্ট্রোএশিয়াটিক জাতিগোষ্ঠী যারা প্রাথমিকভাবে ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে বাস করে।এই বর্ণের লোকেরা নিজেদের মহিষাসুরের বংশধর বলে মনে করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top