

জলপাই, আঙ্গুর, রসুন, রোজমেরি এবং জাফরান: হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কিছু গাছপালা, যেমন রসুন এবং জলপাই, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। এই গাছগুলো এথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো অবস্থার চিকিৎসায় সেইসাথে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে গবেষকদের ধারনা। হৃদরোগ বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।এক্ষেত্রে জলপাই, আঙ্গুর, রসুন, রোজমেরি এবং জাফরানের নির্যাস, যার মধ্যে উপকারী যৌগ রয়েছে,এগুলি আগামী দিনে নতুন ওষুধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারনা বিজ্ঞানীদের। তবে এই উপাদানগুলি প্রায়শই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ভালভাবে পরিচালিত গবেষণা থেকে সীমিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের মতো সমস্যার মুখোমুখি হয়।তবে পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা থেকে শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে এর ব্যবহার প্রায়ই সীমিত। ২০২৩- ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে, জীববিজ্ঞানী Mateu Anguera Tejedor Universitat Autònoma de Barcelona (UAB)-এ তার চূড়ান্ত জীববিজ্ঞান প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা পরিচালনা করেন। ফুড বায়োসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে কীভাবে নির্দিষ্ট ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদের যৌগগুলি হৃদরোগের স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। মূল গাছপালা এবং তাদের উপকারিতা গবেষণায় ছয়টি মূল উদ্ভিদ এবং তাদের উপকারী যৌগ পরীক্ষা করা হয়েছে: রসুন: ডায়ালাইল ট্রাইসালফাইড, অ্যালিসিন এবং এস-অ্যালিল সিস্টাইন রয়েছে। হথর্ন(Hawthorn): কোয়ারসেটিন, এপিজেনিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড সরবরাহ করে। জাফরান: ক্রোসিন এবং সাফরানাল অন্তর্ভুক্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন


মানভূমের কৃষিপ্রবাদে শ্রমের মর্যাদা
নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ মানভূমের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী । তারা রোদে পুড়ে , জলে ভিজে , কঠোর পরিশ্রম করে কৃষিজ ফসল ফলায় । তাই , মানভূমের জনজীবন থেকে উদ্ভূত প্রবাদ, ধাঁধা , ছড়া , লোককথা , লোকগান ইত্যাদিতে কঠোর কায়িক শ্রমের প্রতি মর্যাদা ও শ্রদ্ধা প্রকাশিত হতে দেখা যায় । আলোচ্য প্রবন্ধে মানভুমের যেসব কৃষিপ্রবাদে কায়িক শ্রমের প্রতি মর্যাদা প্রকাশিত হয়েছে সে রকম কয়েকটি দৃষ্টান্ত সহ আলোচনা করা যেতে পারে। ১ ) খাটবে ত চাটবে । ( শব্দার্থ : খাটবে - পরিশ্রম করলে । চাটবে : ' চাটবে ' বলতে এখানে পরিশ্রমের ফলস্বরূপ খাবারের সংস্থান হবে -একথা বলা হয়েছে । ) আলোচ্য প্রবাদটির উদ্ভব হয়েছে মানভূমের কৃষিকেন্দ্রিক সমাজেই । বর্তমানে মানভূম তথা পুরুলিয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে কৃষিকাজে কিছু কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতির যৎসামান্য ব্যবহার চোখে পড়লেও কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই অঞ্চলে কৃষিকাজ ছিল সম্পূর্ণ কায়িক শ্রমনির্ভর । চাষের কাজে লাঙ্গল চালানো , জমি তৈরি , বীজ বপন , ধান রোপণ ও ধান কাটা , ধান ঝাড়া , চাল তৈরি ইত্যাদি প্রত্যেকটি কাজেই কায়িক শ্রমের প্রয়োজন হয় । তাই , চাষের কাজে যে যেমন পরিশ্রম করে , সে সেরকম ফল পায়। যে বেশি পরিশ্রম করবে সে আশানুরূপ ফল পাবে এবং তার অন্নাভাবও থাকবে না । ' খাটবে তো চাটবে ' প্রবাদটিতে কৃষিকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পরিশ্রমের মূল্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । এই নির্দেশ বিশ্বাস করলে কৃষক পরিশ্রমী হয়। আর পরিশ্রমের অন্ন সারা জীবন তাকে শান্তি দেয়। ২ ) চা আছে রস - যদি থাকে বাইন্দ দশ । শব্দার্থ : বাইন্দ - আট ( ৮ ) মনে এক বাইন্দ , কোথাও কোথাও দশ (১০ ) মনে এক বাইন্দ ( unit measured by volume ) ; রস : রস বলতে চাষের আনন্দ বা গুরুত্বকে বোঝানো হয়েছে। কৃষিকাজে প্রচুর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় । তাই, পারিশ্রমিক ব্যতীত এ শ্রম দেওয়া সহজ নয় । খুব স্বাভাবিকভাবেই কৃষক বিশ্বাস করেন তিনি যে পরিমাণ পরিশ্রম দেবেন সে পরিমাণ বা তার বেশি উৎপাদন পারিশ্রমিক হিসাবে ফিরে পাবেন। .....বিস্তারিত পড়ুন


অনুগল্প- জয় মা সরস্বতী
অসীম পাঠকঃ দুপুর থেকেই ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি , অথচ না বেরুলেই নয়। একটু বেলা থেকেই জ্বরটা বেড়েছে রাজার। বাড়ির সবাই গেছে গ্রামে। ওখানে ধূমধাম করে সরস্বতী পূজো ও তার পরদিন হরেক রকম মাছ মুখরোচক সব সব্জী দিয়ে পান্তাভাতের অনুষ্ঠান। সাথে পিঠে পুলির আয়োজন ও সন্ধ্যায় যাত্রা পরদিন বাইরে থেকে ভালো শিল্পী নিয়ে ব্যান্ডের অনুষ্ঠান। সে একাই বাড়িতে রয়ে গেছে। বাড়ির লোকদের ফোন করে বিব্রত করতেও মন চাইছে না রাজার। বাড়ির সবাই যাবার পর থেকেই শরীরটা ভালো নেই। গতকাল বিকেল থেকেই গা ম্যাজম্যাজ হাত পা ব্যাথা ঘুসঘুসে জ্বর। ওষুধ দোকান এবং স্থানীয় ডাক্তারের ডিসপেনসারী বাড়ি থেকে দু কিমি তো হবেই। নাঃ উঠতে চেষ্টা করেও পারলো না, মাথা ঘুরছে। শরীর বেশ দুর্বল। আজ সরস্বতী পূজোর দিন কাকে আর কষ্ট দেবে। সবাই তো কলেজের উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা। কলেজের পূজো মানেই ভ্যালেন্টাইন ডের অনুভূতি। সাতপাঁচ না ভেবেই তার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটা ছোট্ট মেসেজ লিখে দিলো- দেবী সরস্বতীর আরাধনার দিনে বিষন্ন একাকী ,শরীর ভালো না থাকলে কোথায় আর সরস্বতী আর কোথায় স্ফূর্তি। ব্যাস আধঘণ্টা পর দেখলো তেমনই অবস্থায় মেসেজ পড়ে, দু একজন সিন করলেও নো রিপ্লাই, আরও সময় গড়িয়েছে। থার্মোমিটারে জ্বর একশো তিন। অবসন্ন হয়ে পড়ছে রাজা। বাইরে ঘনায়মান সন্ধ্যার অন্ধকারে বৃষ্টির দাপট বেড়েছে। মাঘ শেষের বৃষ্টি, ঠান্ডা টাও বেশ জাঁকিয়ে লাগছে। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে রাজা। এমন সময় ডোরবেল বেজে ওঠে, দরজা খোলার সামর্থ্য নেই। তবুও নিজেকে টেনে হিঁচড়ে দরজার কাছে নিয়ে গিয়ে পাল্লা খোলে। ভেতরে ঢোকে মফস্বলের একমাত্র এম বি বি এস রতন ডাক্তার। পেছনে আর একটা একটা চেনামুখ , তাহের আলি। একই ডিপার্টমেন্টের ছেলে, কম কথা বলে মিশুকে একদমই নয়। তাহের বলে , একদম ভাববি না রাজা , তোর মেসেজ পেয়েই আমি ডাক্তার বাবুকে নিয়ে এলাম। একটু দেরী হয়ে গেলোরে সরি। .....বিস্তারিত পড়ুন


বই মেলার কথা
প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর বাঙালির চতুর্দশ পার্বণ তো এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। সেই চোদ্দতম পার্বণ হল বাঙালির বই মেলা বা ভালো কথায় 'কলকাতা আন্তর্জতিক বই মেলা'। এই ডট কমের যুগেও মানুষ কীভাবে পাঁচশ বছর পুরনো গুটেনবার্গের আবিষ্কারকেই মনে প্রাণে ভালোবেসে চলেছে তার প্রমাণ পেতে গেলে ঘাঁটতে হবে বই মেলার ইতিহাস। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর এশিয়ার বৃহত্তম এই অবাণিজ্যিক মেলা সত্যিই বাঙালির গর্বের বিষয়। পৃথিবীর প্রথম বই মেলা আর গুটেনবার্গ এর ছাপাখানা আবিষ্কার একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতকে জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুর্ট শহর ছিল ইউরোপের অন্যতম ব্যাবসা বাণিজ্য কেন্দ্র। তো তার থেকে কিছু দূরেই মেঞ্জ শহরে গুটেনবার্গ আবিষ্কার করে বসলেন তাঁর প্রথম বই ছাপার মেশিন। আর তাতে কয়েকটি বই ছেপে তিনি তার প্রচারের উদ্দেশ্য উপস্থিত হলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে। তাঁর দেখা দেখি আরও কয়েকজন উপস্থিত হলেন তাঁদের প্রকাশিত বই নিয়ে। ব্যাস আর কী? এভাবেই ধীরে ধীরে জমে উঠলো বই কেনা বেচার আসর আর সম্ভবত ১৪৬২ বা মতান্তরে ১৪৭৮ সাল থেকে তা রূপ নিলো প্রথম বই মেলার। শোনা যায় অষ্টম হেনরিও নাকি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গ্রন্থাগারে বই সংগ্রহের জন্য এখানে তাঁর প্রতিনিধি পাঠান। ১৯৪৯ এ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর একে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় জার্মান প্রকাশক সমিতি। সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরে এর সুনাম। বই ও প্রকাশক সংস্থাগুলোর এমন বাণিজ্যিক প্রদর্শনীতে ভিড় জমাতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চলত হাজার হাজার টাকার কেনা বেচা। ১৯৬৪ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলা পায় বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখনও অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পাঁচ দিন ধরে চলে এই মেলা। অংশ নেয় একশটিরও বেশি দেশ। ভারতের আন্তর্জাতিক বই মেলার সঙ্গেও এই গল্পের যোগাযোগ আছে বৈকি। আরে বাবা, বাঙালির সাহিত্যপ্রেমী স্বত্বা তো সর্বজনবিদিত। ব্রিটিশ আমলে যখন সারা দেশে স্বদেশিকতার জোয়ার এসেছে, কলকাতায় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ তখন বৌবাজারে ( .....বিস্তারিত পড়ুন


প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে পৃথিবীর আবরণের গভীরে রহস্যময় কাঠামো আবিষ্কার
উত্তরাপথঃ সম্প্রতি পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ কাঠামো সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এই আবিষ্কার অনেক ক্ষেত্রে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে,যা ভবিষ্যতে আরও অনুসন্ধানের পথ প্রশস্ত করে। আমরা সবাই জানি পৃথিবীর অভ্যন্তরের সরাসরি পরীক্ষা করা অসম্ভব, কারণ পৃথিবীর আবরণ থেকে শিলা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য যথেষ্ট গভীরে পৌঁছানো অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্র এবং লিথোস্ফিয়ারের মধ্যে অবস্থিত স্তরে পৌঁছান - আমাদের বর্তমান ক্ষমতার বাইরে। এত গভীরতায় তাপমাত্রা এবং চাপ পরিমাপ করাও সমানভাবে অবাস্তব। এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে, ভূ-পদার্থবিদরা আমাদের পায়ের নীচে লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচন করার জন্য পরোক্ষ কৌশল ব্যবহার করেছেন। পৃথিবীর অভ্যন্তর আলোকিত করার জন্য ভূমিকম্পীয় তরঙ্গ ব্যবহার পৃথিবীর কাঠামো অন্বেষণের একটি প্রাথমিক পদ্ধতি হল সিসমোগ্রাম বিশ্লেষণ করা, যা ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গ রেকর্ড করে। পৃথিবী অভ্যন্তরে প্রবেশ করার সময় এই ভূকম্পীয় তরঙ্গের বেগ অধ্যয়ন করে, বিজ্ঞানীরা যা এর অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি সংগ্রহ করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটিকে শরীরের অঙ্গ এবং টিস্যু হিসাবে কল্পনা করলে এটিকে আল্ট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যখন ভূমিকম্প হয়, তখন ভূকম্পীয় তরঙ্গগুলি উপকেন্দ্র থেকে সমস্ত দিকে বাইরের দিকে বিকিরণ করে। এই তরঙ্গগুলি পৃথিবীর মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার সময়, তাদের গতি তাদের মুখোমুখি হওয়া পদার্থের ঘনত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যার ফলে প্রতিসরণ, বিচ্ছুরণ বা প্রতিফলন ঘটে। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কগুলি এই তরঙ্গের ধরণগুলি ধারণ করে, যা ভূ-পদার্থবিদদের তথ্য ব্যাখ্যা করতে এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরে নিরন্তর চলতে থাকা গতিশীল প্রক্রিয়াগুলিকে বুঝতে সাহায্য করে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের অস্বাভাবিকতা আবিষ্কার একটি অভিনব মডেল ব্যবহার করে গবেষকগণ তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় পৃথিবীর নিম্ন আবরণের মধ্যে এমন অঞ্চল চিহ্নিত করেছেন যেখানে ভূকম্পীয় তরঙ্গ বিভিন্ন গতিতে ভ্রমণ করে - .....বিস্তারিত পড়ুন


প্লাস্টিক বর্জ্যকে পরিবেশবান্ধব জেট জ্বালানিতে রূপান্তর
উত্তরাপথঃ একটি নতুন উদ্ভাবন বিমান শিল্পকে উল্লেখযোগ্যভাবে কার্বন নির্গমন কমাতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা বিমান ভ্রমণের জন্য একটি দূষণ মুক্ত ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করবে। প্লাস্টিক বর্জ্যকে জেট জ্বালানিতে রূপান্তরিত করে, এই অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য খরচ সাশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং কার্বন নির্গমন ৫০% থেকে ৬০% কমাতে পারে। সাম্প্রতি এই গবেষণাটি ACS সাসটেইনেবল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন বাণিজ্যিক বিমান শিল্পের মুখোমুখি হওয়া প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটির সমাধান খুঁজে পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা পলিস্টাইরিন থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, ইথাইলবেনজিন তৈরির একটি সাশ্রয়ী মূল্যের উপায় তৈরি করেছেন - যা অনেক দৈনন্দিন পণ্যে পাওয়া যায় এমন একটি সাধারণ ধরণের প্লাস্টিক। ইথাইলবেনজিন কেন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীর চর্বি, উদ্ভিজ্জ তেল বা উদ্ভিদ উপকরণের মতো পেট্রোলিয়াম-বহির্ভূত উৎস থেকে তৈরি অনেক জ্বালানিতে প্রায়শই সুগন্ধযুক্ত হাইড্রোকার্বন নামে পরিচিত একটি মূল ধরণের যৌগের অভাব থাকে। ইলিনয় সাসটেইনেবল টেকনোলজি সেন্টারের একজন গবেষণা বিজ্ঞানী হং লু-এর মতে, এই যৌগগুলি অপরিহার্য কারণ এগুলি জ্বালানি ব্যবস্থার অংশগুলিকে লুব্রিকেট করে এবং লিক প্রতিরোধ করে জ্বালানিকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ইথাইলবেনজিন তৈরি করা যেতে পারে, তবে পরিবেশবান্ধব জেট জ্বালানি তৈরির জন্য উৎপাদনের আরও দীরঘস্থা উপায় খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই বিমান চলাচলের লক্ষ্য জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্রাপ্ত বিমান জ্বালানির পরিবেশগত প্রভাব মোকাবেলায় মার্কিন সরকারী সংস্থাগুলি একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। টেকসই বিমান জ্বালানি গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে: ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩ বিলিয়ন গ্যালন প্রতিবেশ বান্ধব জেট জ্বালানি .....বিস্তারিত পড়ুন


সম্রাট নিরো থেকে ট্রাম্পঃএ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
প্রীতি গুপ্তাঃ এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি । প্রাচীনকালে, যখন রোম শহর আগুনে পুড়েছিল, তখন সম্রাট নিরো সঙ্গীত সাধনায় ব্যাস্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এই গল্পটি এমন একজন নেতার প্রতিফলন ঘটায় যিনি তার জনগণের দুঃখ-কষ্ট থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন । আজকের দিনে আমরা আমেরিকায় একই রকম পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। ক্যালিফোর্নিয়ায় যখন দাবানল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তখন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ব্যস্ত তার নিজের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের চাকচিক্যের মধ্যে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বর্তমানে দুটি বড় অগ্নিকাণ্ড দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রায় ৭,৮০০ দমকলকর্মী প্রতি ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ মাইল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০,০০০ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভয়াবহ দাবানলে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। দাবানল দুঃখজনকভাবে প্রায় ২৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ।আগুনের কবলে মাত্র ৭ দিনে, ৩ লক্ষ ২১ হাজার একর এলাকা বিশিষ্ট লস অ্যাঞ্জেলেস নিজের চোখে ৪০ হাজার একর জমি ছাই হয়ে যেতে দেখেছে।এই আগুনে ২৫০ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ধোঁয়া বাতাসে ভরে গেছে, এবং পরিবারগুলি সবকিছু পিছনে ফেলে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে। একদিকে যখন আমেরিকায় এই পরিস্থিতি সেই সংকটের মাঝে, দেশের নেতা তাদের নাগরিকদের কষ্ট উপেক্ষা করে তার শপথ উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করেছেন। নেতাদের এই অসংবেদনশীল আচরণ জনগণের মধ্যে নেতার নেতৃত্ব এবং দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনার জন্ম দেয়। প্রকৃত নেতৃত্বের অর্থ হল কঠিন সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় নেতাদের উচিত দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এক সময় চাণক্য তার অর্থশাস্ত্রে বলেছিলেন প্রজাসুখ একমাত্র রাজধর্ম হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের ভোটে নির্বাচিত রাজারা সুখে আছে সেটা বিনা প্রতিবাদে তাকিয়ে দেখাই প্রজাদের অর্থাৎ কোটি কোটি ভোটারদের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন