# Water : আপনার কি সত্যিই দিনে ৮ গ্লাস জল প্রয়োজন?

উত্তরাপথঃ আমরা প্রায় সকলেই ছোটথেকে শুনে আসছি যে আমাদের প্রতিদিন আট গ্লাস জল পান করা উচিত - অর্থাৎ প্রায় আধা গ্যালন (২ লিটার) তরল। এই দাবিটি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে, কিন্তু আসলে কি এটি কেবল একটি মিথ? এই প্রবন্ধে এই সুপারিশের উৎপত্তি কোথা থেকে এবং আমাদের প্রতিদিন আসলে কতটা জল পান করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একটি মিথের সৃষ্টি আমাদের প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত এই ধারণাটি ভিনসেন্ট প্রিসনিটজের কাছ থেকে এসেছে বলে জানা যায়। ভিনসেন্ট প্রিসনিটজ হলেন একজন অস্ট্রিয়ান কৃষক যিনি একটি  দুর্ঘটনার পড়েন এবং সেই সময় তিনি নিজেকে ভেজা ব্যান্ডেজ ব্যবহার করে এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করে নিজেকে সুস্থ করেছিলেন। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে হাইড্রোথেরাপি "প্রকৃতি-নিরাময়" আন্দোলনকে জনপ্রিয় করে তোলেন ।সেই সময় ঠান্ডা জল পান করা, এতে স্নান করা, এতে ভিজানো কাপড় কম্প্রেস করা - বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।  ভিনসেন্ট প্রিসনিটজ তার রোগীদের দিনে ১২ থেকে ৩০ গ্লাস পান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আট গ্লাস জল পানের ধারণা কিন্তু আমাদের প্রতিদিন আট গ্লাস জল পান করা উচিত এই সাম্প্রতিক ধারণাটি প্রায়শই ডঃ আরউইন স্টিলম্যানের ১৯৬০-এর দশকের জনপ্রিয় ডায়েটের সাথে সম্পর্কিত, যদিও মার্কিন খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ড প্রথম এটি নিয়ে আসে ১৯৪৫ সালে, বোর্ড সুপারিশ প্রকাশ করে যে মার্কিন নাগরিকদের প্রতি ক্যালোরি খাবারের জন্য ১ মিলি জল পান করা উচিত। যে ব্যক্তি প্রতিদিন প্রায় ২০০০ ক্যালোরি গ্রহণ করেন, তার জন্য প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল পান জরুরী। কিন্তু, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এই দাবিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে না। *আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিওলজি* তে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ব্যক্তিভেদে জলের চাহিদা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে । একজন ব্যক্তির কতটা জল গ্রহণ করা প্রয়োজন তা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে বয়স, কাজকর্মের ধরন এবং জলবায়ুর মতো বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

### New research : "ভালো" কোলেস্টেরল আপনার চোখের জন্য খারাপ হতে পারে

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে "ভালো" কোলেস্টেরল, যা HDL নামে পরিচিত, ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, "খারাপ" কোলেস্টেরল, বা LDL, এই গুরুতর চোখের অবস্থার ঝুঁকি কমাতে পারে। এই ফলাফলগুলি কোলেস্টেরল কীভাবে চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে আমাদের অতীত ধারনার পরিবর্তন করে। ব্রিটিশ জার্নাল অফ অফথালমোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণায়, যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্ক থেকে ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৪০০,০০০ জনেরও বেশি মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের গড়ে ১৪ বছর ধরে তাদের রক্ত ​​পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, প্রায় ৭,০০০ জনের গ্লুকোমা হয়েছে, প্রসঙ্গত গ্লুকোমা এমন একটি রোগ যা অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরে উচ্চ HDL কোলেস্টেরল বা "ভালো" HDL কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা রয়েছে তাদের গ্লুকোমা হওয়ার সম্ভাবনা কম স্তরের মানুষের তুলনায় ১০% বেশি ছিল। বিপরীতে, যাদের "খারাপ" এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের গ্লুকোমা হওয়ার ঝুঁকি ৮% থেকে ১৪% কম রয়েছে বলে গবেষণায় দাবী করা হয়েছে।  গ্লুকোমা হওয়ার কারণ ২০৪০ সালের মধ্যে গ্লুকোমা প্রায় ১১২ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্লুকমা হওয়ার সম্ভাব্য সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, জাতিগত কারণ এবং রোগের পারিবারিক ইতিহাস। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও পূর্ববর্তী গবেষণাগুলিতে কোলেস্টেরলের মাত্রা চোখের স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত ছিল, সেক্ষেত্রে ফলাফলগুলি মিশ্রিত এসেছিল.।বর্তমান এই গবেষণার লক্ষ্য কোলেস্টেরল এবং গ্লুকোমার মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট ।এই গবেষণার ফলাফলগুলি মূলত ৫৫ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; .....বিস্তারিত পড়ুন

বায়ু দূষণ আমাদের চিন্তাভাবনা ও মনকে কীভাবে প্রভাবিত করে

উত্তরাপথঃ দূষিত বাতাস আপনার চিন্তাভাবনা এবং মানসিক স্বচ্ছতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারনা।সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে কয়েক ঘন্টা থাকার পর কোনও কাজে মনোনিবেশ করা, কারও আবেগ বোঝা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।দীর্ঘ মেয়াদে এই সমস্যাগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং উৎপাদনশীলতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা আমাদের মস্তিষ্কের সুস্থ্য কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বায়ু দূষণ এবং মনোযোগ সম্পর্কে নতুন তথ্য সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বল্প সময়ের জন্য বায়ু দূষণের সংস্পর্শে থাকার ফলে, বিশেষ করে কণা পদার্থ (PM) নামে পরিচিত ক্ষুদ্র কণা, মানুষের কোনও কাজে মনোনিবেশ করা এবং কারও আবেগ বোঝা কঠিন করে তুলতে পারে। এর অর্থ হল অদূর ভবিষ্যতে  বায়ু দূষণ বাড়ার সাথে সাথে সারাদিন মাঠে রাস্তায় ঘোরার পরে এইসব সাধারণ কাজগুলি করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে।বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে উচ্চ মাত্রার PM-এর সংস্পর্শেও অল্প সময়ের জন্য মনোযোগ হ্রাস, বিক্ষেপ বৃদ্ধি এবং সামাজিক আচরণ পরিবর্তিত হয়। গবেষণা পদ্ধতি একটি গবেষণায়, গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের দূষিত বায়ু শ্বাস নিতে বলেছিলেন, যা মোমবাতির ধোঁয়া ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল। তারা অংশগ্রহণকারীদের দূষিত বাতাসের সংস্পর্শের আসার আগে এবং বাতাসের সংস্পর্শের আসার চার ঘন্টা  পরে জ্ঞানীয় ক্ষমতা পরীক্ষা করেছিলেন।গবেষকরা এই পরীক্ষাগুলি কাজের স্মৃতি, মনোযোগ, আবেগ স্বীকৃতি এবং প্রতিক্রিয়ার মতো দিকগুলি পরিমাপ করেছিলেন। নেচার কমিউনিকেশনস--এ প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে যে, অংশগ্রহণকারীরা যেভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নেন না কেন, বায়ু দূষণ তাদের মনোযোগ এবং মানসিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে দূষণের কারণে সৃষ্ট প্রদাহ এই জাতীয় সমস্যার পিছনে থাকতে পারে।এক্ষেত্রে  মনোযোগ এবং আবেগের অনুভূতির দিকটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, .....বিস্তারিত পড়ুন

শরৎ উপন্যাসে নারী চরিত্র

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য নাম। যাকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক । যিনি নারী চরিত্রের সূক্ষ্ম চিত্রায়নের জন্য বিখ্যাত। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে শরৎ সাহিত্যের প্রভাব অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক। তিনি কখনও কখনও  অনিলা দেবী ছদ্মনামেও লিখতেন। শরৎচন্দ্রের নায়িকা বলতে তার উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্রগুলিকে বলা হচ্ছে। এইসব চরিত্র বাংলা সাহিত্যে অনেক চরিত্রের ভিড়েও তাদের নিজস্ব প্রবণতা এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের কারণে আজও জীবন্ত চরিত্র হিসাবে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।   সেই সময়ে নতুন প্রজন্মের উত্তরসূরি শরৎচন্দ্র নারী অধিকার আর মর্যাদা রক্ষায় সমাজ ব্যবস্থার মূল রক্ষণশীল ধারাকে তীক্ষ্ন বিদ্রুপে কটাক্ষ করেছেন। তার বড়দিদি উপন্যাসের নায়িকা বড়দিদি ‘মাধবী দেবী’ কিংবা ‘দেবদাস’-এর ‘পার্বতী’সহ সাড়া জাগানো উপন্যাসের নায়িকারা আজও পাঠক সমাজের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মানবিক আবেগ এবং সামাজিক বাস্তবতার জটিলতা চিত্রিত করার দক্ষতার জন্য প্রশংসিত। শরৎ উপন্যাসে নারী চরিত্রগুলি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের সংগ্রামকে প্রতিফলিত করে এবং একই সাথে সামাজিক রীতিনীতির সমালোচনাও করে। শরৎচন্দ্র পঁচিশ বছর (১৯১৩-১৯৩৮) একটানা মেয়েদের কথা লিখেছেন অবিস্মরণীয় যেসব নারী চরিত্র সৃষ্টি করেছেন, তা আজও জনপ্রিয়। সেসব নারীর কেউ কেউ সাধারণ মেয়ে, কেউ বা মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, আবার কেউ বা নিম্নবর্গ কিংবা সমাজের দৃষ্টিতে ভ্রষ্টা। অবিরত লিখে গেছেন প্রেমাকুল মেয়েদের গল্প। শুধু নারীই নয়, সকল মানুষের অন্তরের নিগূঢ় রহস্যে ডুব দিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসগুলি ভারতে উল্লেখযোগ্য সামাজিক পরিবর্তনের সময় লেখা হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নারীর মর্যাদা উন্নত করার লক্ষ্যে সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের উত্থান দেখা দেয়। তবে, ঐতিহ্যগত রীতিনীতি টিকে থাকে, যার ফলে আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের মধ্যে একটি জটিল মিথস্ক্রিয়া দেখা দেয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নারী চরিত্রগুলি প্রায়শই এই সংগ্রামকে মূর্ত করে তোলে, যার মাধ্যমে পাঠকরা সেইসময়ের বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের সম্পর্কে একটি আভাষ পেতে  পারেন।তিনি তার উপন্যাসে পতিতা, বিধবা, বৈষ্ণবী, সতী, অরক্ষণীয়া অথবা বিয়ে-বহির্ভূত প্রেম- তা সে যেমনটাই হোক না কেন সহজ-সরল ভাষায় .....বিস্তারিত পড়ুন

2024 YR4: পৃথিবীর দিকে ধাবমান সম্ভাব্য 'সিটি-কিলার' গ্রহাণু

ডঃ সায়ন বসুঃ পৃথিবীর ইতিহাসে গ্রহাণুর আঘাতের ঘটনা বিরল। সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, যখন রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক শহরের আকাশে একটি প্রায় ২০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু বিস্ফোরিত হয়। এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় বিস্ফোরিত হয়ে প্রায় ৫০০ কিলোটন টিএনটি (ট্রাই নাইট্রো টলুইন একটি রাসায়নিক যৌগ যা বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়) সমতুল্য শক্তি মুক্ত করে, যা হিরোশিমা পারমাণবিক বোমার প্রায় ৩০ গুণ। এই বিস্ফোরণে প্রায় ১,৫০০ মানুষ আহত হয় এবং বহু ক্ষতি হয়, তবে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এর আগে, ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কা অঞ্চলে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি প্রায় ৫০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু বা ধূমকেতু বিস্ফোরিত হয়ে প্রায় ২,০০০ বর্গকিলোমিটার বনভূমি ধ্বংস করে। বড় আকারের গ্রহাণুর আঘাতের ঘটনা আরও প্রাচীন, যেমন ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে একটি বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে ডাইনোসরসহ পৃথিবীর বহু প্রাণী বিলুপ্ত হয় বলে মনে করেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। এবার আসা যাক ২০২৫ সালের একটি খবরে। একটি গ্রহাণু নাকি ২০৩২ সাল নাগাদ পৃথিবীতে আছড়ে পরবে! 2024 YR4 গ্রহাণুটি ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে চিলির রিও হার্তাদোতে অবস্থিত ATLAS (Asteroid Terrestrial-impact Last Alert System) টেলিস্কোপ দ্বারা প্রথম শনাক্ত করা হয়। এটি একটি Near Earth Object (NEO)। NEO বলতে সেই সব ছোট সৌরজগতীয় বস্তু বোঝায়, যাদের সূর্যের সাথে সর্বনিম্ন দূরত্ব ১.৩ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (AU) বা প্রায় ১৯৪.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। NEO-গুলি প্রধানত গ্রহাণু এবং ধূমকেতু নিয়ে গঠিত। এদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে, যা তাদেরকে পৃথিবীর জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিকারক করে তোলে।  2024 YR4 সূর্যের চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে, যা পৃথিবীর কক্ষপথকে অতিক্রম করে; ফলে এটি অ্যাপোলো-শ্রেণীর গ্রহাণু হিসেবে পরিচিত। এর কক্ষপথের সময়কাল প্রায় ৩.৯৯ বছর এবং পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে এর প্রবণতা ৩.৪১ ডিগ্রি। .....বিস্তারিত পড়ুন

# Jaivana Cannon : ভারতীয় কামানের এক বিস্ময়

প্রীতি গুপ্তাঃ জয়বন কামান(Jaivana Cannon )বিশ্বের বৃহত্তম এবং ভারী কামানগুলির মধ্যে একটি। এটি ১৮ শতকে ভারতে তৈরি হয়েছিল এবং ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্ময় । এই কামানটি কেবল তার আকারের কারণেই নয়, এর কারুশিল্প এবং এর পিছনের গল্পের কারণেও চিত্তাকর্ষক। ১৭২০ সালে আম্বরের (আধুনিক জয়পুর) মহারাজা সওয়াই জয় সিংহ দ্বিতীয়ের রাজত্বকালে নির্মিত এই বিশাল কামানটি এখনও পর্যন্ত নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম চাকাযুক্ত কামান। জয়বন কামানের সৃষ্টি আজও ভারতীয় ধাতুবিদ্যার দক্ষতার এক শীর্ষবিন্দু হিসাবে চিহ্নিত। # ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও জয়বন কামানের জন্ম ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সেই সময় একটি ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি করেছিল যা আঞ্চলিক রাজ্যগুলি পূরণ করতে চেয়েছিল। মুঘলদের দীর্ঘকালীন মিত্র আম্বরের (পরবর্তীতে জয়পুর) রাজপুত শাসকরা, বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন দাবি করতে শুরু করেছিলেন। মহারাজা সওয়াই জয় সিং দ্বিতীয়, একজন দক্ষ শাসক ও একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তার আগ্রহের জন্য পরিচিত ছিলেন।তিনি মারাঠাদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্য এবং মুঘল উপদলের অবশিষ্টাংশের হুমকির বিরুদ্ধে তার রাজ্যকে রক্ষা করার জন্য এবং তার সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের জন্য জয়বন কামান তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে জয়বন কামানটি জয়পুরের কাছে আরাবল্লি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত জয়গড় ফোর্টে রয়েছে। কামানের বিশাল আকারের জন্য এটিকে প্রায় ৯ ফুট ব্যাসের চাকার এক বিশেষ এক গাড়ির উপর  বসানো রয়েছ।  জয়বন মূলত একটি প্রতীকী প্রতিরোধক ছিল, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের পরিবর্তে জয়পুরের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।  জৈবন কামানের বৈশিষ্ট্য ১. জৈবন কামানটি প্রায় ২০ ফুট লম্বা এবং প্রায় ৫০ টন ওজনের। এর বিশাল আকার এটিকে দর্শনার্থীদের জন্য একটি অনন্য আকর্ষণ করে তোলে। ২.  কামানটি ব্রোঞ্জ এবং লোহা দিয়ে তৈরি, যা তাদের শক্তি এবং স্থায়িত্বের জন্য মূলত সেই সময় বেছে নেওয়া হয়েছিল। উপকরণের এই সংমিশ্রণ কামানটিকে এত দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

# জেনেটিক্যালি মডিফাইড টমেটো: হৃদরোগের সমাধান?

উত্তরাপথঃ হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিজ্ঞানীরা জেনেটিক্যালি মডিফাইড টমেটো তৈরি করেছেন । এই বিশেষভাবে তৈরি জেনেটিক্যালি মডিফাইড টমেটো হৃদরোগের জন্য উপকারী হতে পারে।আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। # জেনেটিক্যালি মডিফাইড টমেটো কী? জেনেটিক্যালি মডিফাইড টমেটো হল সেই বিশেষভাবে তৈরি টমেটো যা তাদের গুণাবলী উন্নত করার জন্য ল্যাবে তৈরি করা হয়। বিজ্ঞানীরা এই টমেটোর জিন পরিবর্তন করে এগুলিকে স্বাস্থ্যকর এবং আরও পুষ্টিকর করে তুলেছেন। বিজ্ঞানীরা, এগুলিতে কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়াতে পারে যা হৃদরোগের জন্য ভালো। # কীভাবে এগুলি হৃদরোগের জন্য ভালো? ১. জিএম টমেটো আরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করতে পরিবর্তন করা যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র‍্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকারক অণু দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই সুরক্ষা, প্রদাহ কমাতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। ২. কিছু জিনগতভাবে পরিবর্তিত টমেটো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। এই টমেটো খাওয়ার মাধ্যমে, মানুষ তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হতে পারে। ৩. জিএম টমেটো শরীরকে পুষ্টি আরও দক্ষতার সাথে শোষণ করতে সাহায্য করার জন্য উন্নত করা যেতে পারে। এর অর্থ হল টমেটোতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ হৃদরোগের উপর আরও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। ৪. বিজ্ঞানীরা জিএম টমেটোতে নির্দিষ্ট যৌগ যোগ করতে পারেন যা হৃদরোগের জন্য ভালো বলে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, এগুলিতে এমন উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বা রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। # এগুলি কি খাওয়া নিরাপদ? অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে জিনগতভাবে পরিবর্তিত খাবার খাওয়া নিরাপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এর মতো .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top