

মহাকাশের জঞ্জাল
ডঃ সায়ন বসু: "আজ মঙ্গলবার | পাড়ার জঙ্গল সাফ করবার দিন |" সহজ পাঠের তৃতীয় পাঠের এই লাইনটি মনে নেই এমন বাঙালীর সংখ্যা বেশ কম। পাড়ার জঙ্গল সাফ করার দিন এবং মানুষজন থাকলেও মহাকাশে যে জঞ্জাল ৬০-এর দশক থেকে জমা হচ্ছে তার কি হবে ? ইউরোপিয় মহাকাশ সংস্থার (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ESA) দু'বছর আগের একটি হিসেব অনুযায়ী মহাকাশে যে জঞ্জাল জমা আছে তার ওজন প্রায় ৯,৬০০ টন (১ টন = ১,০০০ কেজি)। এখন প্রশ্ন হল .....বিস্তারিত পড়ুন


লিরন মাসে (বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস) মানভূমের লোক- পার্বণ।
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতো: সাবেক মানভূম তথা বর্তমান পুরুলিয়া জেলা ও সংলগ্ন অঞ্চলের লোক ভাবনায় ' লিরন মাস ' বলতে মূলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস কে বোঝানো হয়। এই সময় রুক্ষ, শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রায় নিরন্ন অবস্থায় মানভূমের দরিদ্র মানুষের জীবন অতিবাহিত হয়। এই সময় মানভূমের মানুষের জীবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লোক উৎসব পালিত হয়। সেগুলি সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে মানভূমের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে দু চার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন


এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনায়
অসীম পাঠক: রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকাল, নববর্ষের উন্মাদনা গঙ্গার ঘাটে। মা গতকাল সন্ধ্যায় অরিন্দম কে পই পই করে বলে দিয়েছিলেন, নবর্ষের সকালে গঙ্গাস্নান করে দক্ষিনেশ্বরে পূজো দিয়ে আসতে। রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অরিন্দমের লক্ষ্য একজন ভালো ল ইয়ার হওয়া। তার বাবাও কোলকাতা হাইকোর্টের নাম করা ঊকীল। বাবা মা দুজনেই ধর্ম আর ঐতিহ্যর পরম্পরা কে গভীর বিশ্বাসে সযত্নে লালন পালন করেন। বাবুঘাটে গঙ্গা স্নান সেরেই একটা চলন্ত এ সি বাসে উঠে পড়লো। .....বিস্তারিত পড়ুন


দলিত সাহিত্যের নান্দনিকতা
ড. জীবনকুমার সরকার: ভারতীয় প্রেক্ষাপটে দলিত সাহিত্যের নান্দনিকতা বুঝতে হলে অতি অবশ্যই 'হিন্দুত্ববাদ'কে আগে বুঝতে হবে। যথাযথ ভাবে হিন্দুত্ববাদ বা ব্রাহ্মণ্যবাদকে না বুঝলে কোনোভাবেই দলিত সাহিত্য আন্দোলনের নন্দনতত্ত্ব স্পর্শ করা যাবে না। আমরা যে হিন্দু ধর্মের কথা বলে থাকি, তা আসলে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম। আর্য আগমনের পর ভারতের মাটিতে আর্য আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আর্যদের একটি নিজস্ব ধর্মের প্রয়োজন হয়েছিলো। কারণ, ধর্মকে হাতিয়ার করেই প্রাচীন .....বিস্তারিত পড়ুন


মমতার স্বপ্নের "ধনধান্য" উদ্বোধন
উত্তরাপথ: কলকাতার আলিপুরে উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ধনধান্য অডিটোরিয়ামের। বিশাল এই অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতে ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক ইনডোর সুবিধাযুক্ত ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন আমাদের রাজ্যের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রতীক। তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতার আলিপুরে নির্মিত 'ধনধান্য' অডিটোরিয়াম। শঙ্খের আদলে তৈরি এই সাত তলা .....বিস্তারিত পড়ুন


বাংলার প্রাচীন রাজধানী ও ঐতিহাসিক শহর গৌড়
উত্তরাপথ: প্রাচীন বাংলার রাজধানী এবং হিন্দু মুসলিম সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন এই গৌড়। এটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় অবস্থিত। মালদা শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে প্রাচীন বাংলার রাজধানীর ধ্বংসস্তূপের শহর গৌড়। ১২ থেকে ১৬ শতাব্দীর মধ্যে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়।।চার শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একডজনের বেশি রাজবংশ এখানে শাসন করেছেন। গৌড়ে বাংলার ইসলামিক আমলের বহু দর্শনীয় ধ্বংসাবশেষ আজও বিরাজমান। ইতিহাস এবং তার সাথে স্থাপত্যকলা মিলে মিশে রয়েছে এই প্রাচীন শহরের ধ্বংসস্তূপে। পঞ্চম শতাব্দীতে গৌড় মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। সপ্তম শতাব্দীতে গৌড় ছিল বাংলার শক্তিশালী রাজা শশাঙ্কের অধীনত্ব। । অষ্টম শতাব্দী থেকে গৌড় পাল রাজবংশের শাসনের অধীনে ছিল। পাল রাজাদের শাসনের পরে সেন রাজবংশের শাসন শুরু হয়। এরপর সেন রাজাদের হারিয়ে মুঘল এবং আফগানরা দ্বাদশ শতাব্দীতে গৌড় দখল করে।এরপর যথাক্রমে খিলজি বংশ, মামলুক সলতানত, বলবান রাজবংশ এবং তুঘলক সলতানতের রাজধানী শহর হিসাবে গৌড় পরিচিত হয়। আলাউদ্দিন আলী শাহের রাজত্বকালে তিনি তার রাজধানী পান্ডুয়ায় স্থানান্তরিত করেন । তবে পান্ডুয়াতে বেশীদিন রাজধানী থাকেনি। তারপর বেশ কয়েক বছর ধরে একের পর এর রাজা গৌড়ে রাজত্ব করেছেন। শেষ পর্যন্ত ১৫৭৫ সালের অক্টোবর মাসে মুনিম খানকে প্লেগ মহামারীর কারনে মৃত্যুর কবলে পড়তে হয়। এই মহামারীর পর শহরটিকে পরিত্যাক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন