বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ

অসীম পাঠকঃ ভারতের প্রান্ত ভূখন্ডে দন্ডায়মান গৈরিকধারী এক দীপ্ত তরুণ , প্রাণ প্রাচুর্যে তিনি স্পন্দমান দিব্য বিভায় বিভাসিত । যাঁর বজ্র কন্ঠে ধ্বনিত হলো যুব সমাজ কে জাগ্রত করার অগ্নিগর্ভ আহ্বান , ভারত আত্মার জ্যোতির্ময় পুরুষ , খরশান তরবারি র মতো শানিত ব্যাক্তিত্ব আমাদের সর্বজনপ্রিয় স্বামীজী , তিনি ই সেই যৌবনের ঋত্বিক যিনি সোনার ভারত গড়ার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন কোন পক্বকেশ পরিকল্পনা কারীর কাছে নয় , প্রবল দুর্দম তরুণদের হাতে আধমরা দের ঘা মেরে বাঁচানো সবুজদের কাছে । যাঁর কর্মময় জীবন এবং অমিয় বানী যুগে যুগে লাঞ্ছিত অত্যাচারিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির পথ , স্বামী বিবেকানন্দ র পথ ই হলো সূর্যের পথ বিবর্তনের পথ , তীর্থের পথ । ১৮৬৩ সালে ৯ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন নামকরা উকিল। তার মা ভুবনেশ্বরী দেবী তার নামকরণ করেছিলেন, নামকরণের দিনে তিনি বলেন শিব ঠাকুরের দয়ায় ছেলেকে পেয়েছেন তাই তার নাম রাখা হবে বীরেশ্বর, বীরেশ্ব্রর থেকে সংক্ষেপে তাকে ডাকা হল বিলে। ছোটবেলায় নরেণ এতো দুরন্ত ছিলো যে তাঁর মা সর্বদা বলতেন, শিবের কাছে ছেলে চাইলুম , তা তিনি নিজে না এসে পাঠালেন তার চেলা এক ভূতকে । .....বিস্তারিত পড়ুন

দাবি আদায়ে এবার ভোটের ময়দানে আদিবাসী কুড়মি সমাজ

বলরাম মাহাতোঃ কুরমিদের সমর্থন পেয়ে গত লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের মতো আসনগুলিতে বড় জয় পেয়েছিল পদ্ম শিবির। তবে এবারের ২০২৪ সালের নির্বাচনে পশ্চিমের ৪টি আসনে বিজেপির সামনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে এই কুড়মি সমাজ। বিগত বহু বছর ধরে তাঁদের আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে কুড়মি সমাজ। তাঁদের সে দাবি পূরণ হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একই দাবিতে একাধিকবার রেল এবং সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে এই কুড়মিদের। এই আবহে গত পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন। আর এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলার চার আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। রবিবার ছররা এলাকায় কুড়মিদের একটি জনসভা ছিল। সেখানে থেকে একথা ঘোষণা করেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত। এর মধ্যে থেকে পুরুলিয়া আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের আরও তিনটি আসনে আদিবাসী সংগঠন প্রার্থী দেবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে চিন্তায় পড়েছে বিজেপির দলীয় কর্মীরা।প্রসঙ্গত এর আগে কুরমি সমাজের দাবি,আদায়ের জন্য কোনো দলই বিশেষ ভূমিকা নেয়নি। .....বিস্তারিত পড়ুন

মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও বড় ধূমকেতু ?

ড. সায়ন বসুঃ কেমন লাগবে যদি কোন এক সন্ধ্যেবেলা আপনি বাড়ির ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হঠাৎ দেখলেন আকাশে প্রকাণ্ড আকারের মানে মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও বড় এক ধূমকেতু ! জ্যোতিবিজ্ঞানীরা ঠিক এমনই এক ধূমকেতুর হদিশ পেয়েছেন যা কিনা খালি চোখে দেখা যেতে পারে| 12P/Pons-Brooks নামে ধূমকেতুটি ৭০ বছরে এই প্রথমবার আমাদের সৌরজগতে আসছে। যেহেতু এটি হ্যালির ধূমকেতুর মতন একটি ধূমকেতু তাই আমাদের জীবদ্দশায় হয়তো একবারই দেখা যাবে। সামনের ২১ এপ্রিল প্রথমবারের জন্যে এই ধূমকেতুটি সূর্যের সব থেকে কাছে আসবে। ধূমকেতুটি তারপরে পৃথিবীর আরও কাছে আসতে থাকবে এবং ২ জুন ২০২৪ এটি ২৩২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে সবচেয়ে কাছে পৌঁছাবে। যদিও এই তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে যে এই ধূমকেতুটি চতুর্দশ শতাব্দীতে দেখা গিয়েছিলো। এই নির্দিষ্ট ধূমকেতুটির দেখা মিলেছিল কমপক্ষে ১৩৮৫ সালের দিকে, যখন চীনা এবং ইউরোপীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটি দেখার রেকর্ড করেছিলেন। এই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়েছিল একজন ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিন-লুই পন্স (Jean-Louis Pons) নামানুসারে যিনি প্রথম ১৮১২ সালে আবিষ্কার করেছিলেন এবং একজন ব্রিটিশ-মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট  ব্রুকস (William Robert Brooks) নামানুসারে যিনি ১৮৮৩ সালে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানভূমে বসন্ত : অন্যরূপে

ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ মানভূমে বসন্ত এক অন্য মাত্রা নিয়ে আসে। এই সময় প্রকৃতি নবসাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। গাছে গাছে কচি পাতা, কুঁড়ি, ফুল, নতুন শাখা- প্রশাখার সমারোহ। মানভূমের মানুষ অভাব ও দারিদ্র্যের দ্বারা পীড়িত হলেও তাদের মন সবসময় উদার ও প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম থাকে। আধুনিক সভ্যতার সর্বগ্রাসী প্রভাবে চারদিকে যখন প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান তখন মানভূমের প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষেরা বিভিন্ন পরব-পার্বণ উদযাপনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সদা তৎপর। তাই তারা বসন্তে নবসাজে সজ্জিত প্রকৃতি যাতে বিনষ্ট বা সামান্য পরিমাণও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য এই সময় কয়েকটি পরব-পার্বণের উদযাপনের মাধ্যমে নিজেদের প্রকৃতির সাথে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।  টাঙ্গি টাঙ্গা পার্বণ : ফাল্গুন- চৈত্র- বৈশাখ মাসে যেহেতু মানভূম অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ অর্থাৎ শাল, পিয়াল, মহুল,  অর্জুন, হরীতকী,  আমলকি, বহেড়া ইত্যাদি গাছে নতুন পাতা,  কুঁড়ি, শাখা-প্রশাখা গজায়, শীতে পাতা ঝরানোর পর উদ্ভিদ জগত নব সাজে সজ্জিত হয়, তাই জল- জঙ্গল- জমিন কেন্দ্রিক মূলনিবাসী ও আদিবাসী কৃষকেরা এই সময় কোন গাছ তথা উদ্ভিদ কাটেনা। তারা গাছ কাটার  হাতিয়ারের প্রতীক রূপে ' টাঙ্গি ' ঘরের মাচায় তুলে রাখে এই সময়।  এই প্রক্রিয়াটিকে মানভূমে ' টাঙ্গি টাঙ্গা ' পার্বণ রূপে অভিহিত করা হয়। এই টাঙ্গি টাঙ্গা পার্বণের .....বিস্তারিত পড়ুন

Parrot Fever: ইউরোপের পাঁচটি দেশে এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে

উত্তরাপথঃ Parrot fever ইউরোপের পাঁচটি দেশে এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে। এ জ্বরে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে যে পাখিদের থেকে এই রোগটি এখন মানুষকে প্রভাবিত করছে। ডব্লিউএইচও একটি বিবৃতিতে বলেছে যে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের প্রথম দিকে, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডে (Parrot fever)এই জ্বরের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক এবং অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি রেকর্ড লক্ষ্য করা গেছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি।এখন প্রশ্ন হল Parrot fever কিভাবে ছড়ায়? প্যারট ফিভার (Parrot fever) ,যা সিটাকোসিস নামেও পরিচিত । এটি একটি জুনোটিক রোগ যা সংক্রামিত পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি ক্ল্যামিডিয়া পিসিটাসি (ক্ল্যামিডোফিলা পিসিটাসি) নামক এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। এই ব্যাকটেরিয়া কুকুর, বিড়াল এবং ঘোড়া সহ অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীকে সংক্রামিত করতে পারে। তবে, এই ব্যাকটেরিয়া বেশিরভাগ পাখিকে সংক্রামিত করে। ক্ল্যামাইডোফিলা সিটাসি ব্যাকটেরিয়ায় ভরা বায়ুবাহিত কণা শ্বাসের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে মাত্র কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া  মানুষ থেকে মানুষে এই রোগের সংক্রমনের ঘটনা খুবই বিরল। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top