Vitamin D শিশুদের বিষন্নতা, উদ্বেগ এবং মানসিক সমস্যা কমাতে পারে

উত্তরাপথ

ছবি- সংগৃহীত

ফিনিশ সমীক্ষা অনুসারে, শৈশবকালে ভিটামিন D3 এর প্রস্তাবিত মাত্রার চেয়ে বেশি গ্রহণ পরবর্তীকালে মানসিক রোগের লক্ষণগুলি হ্রাস করতে পারে।ভিটামিন ডি এর তিনগুণ স্ট্যান্ডার্ড ডোজ গ্রহণকারী শিশুরা স্ট্যান্ডার্ড ডোজ গ্রহণকারীদের তুলনায় কম বিষন্নতা, উদ্বেগের  লক্ষণগুলি দেখা যায়। গবেষণাটি সতর্ক করেছে যে এই ফলাফলগুলি নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।

গবেষনায় বলা হয়েছে যে প্রতি আটজন  শিশুর মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধিতে ভুগছে।  শিশুদের মানসিক সমস্যার বিষয়ে বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, কিন্তু অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে।  পূর্ববর্তী গবেষণা পরামর্শ দেয় যে শৈশবকালে কম ভিটামিন ডি স্তর পরবর্তী জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ার একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক ফিনিশ গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে দৈনিক ভিটামিন D3 নির্দিষ্ট মাত্রার উপরে নিলে স্কুল বয়সে অভ্যন্তরীণ সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে। 

গবেষণায় দেখান হয়েছে কিভাবে ভিটামিন D3 একটি শিশুর মানসিক ও সর্বাঙ্গিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গবেষনায় শিশুদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। একদল শিশুকে প্রতিদিন ১০mg ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের স্ট্যান্ডার্ড ডোজ দেওয়া হয় অন্য দলটিকে ট্রিপল ডোজ অর্থাৎ ৩০mg করে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয় সেটা দুই সপ্তাহ থেকে ২ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয় এবং ৩৪৬ জন  শিশুর বাবা- মায়ের মতামত নেওয়া হয়। গবেষণায় ১১.৮% শিশুর বাবা-মায়েরা অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা জানিয়েছেন যারা প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড ডোজ পেয়েছে। ট্রিপল ডোজ প্রাপক দের মধ্যে ৫.৬% মধ্যে এই সমস্যা রয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার

উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর  সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

স্বপ্নপূরণ না হলেও জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ

উত্তরাপথ: দোহায় ডায়মন্ড লিগে জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া কিন্তু তার জ্যাবলিনে ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার স্বপ্নপূরণ হল না । দোহায় তার জ্যাভিলিন থামল ৮৮.৬৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। গতবছরও এই লিগে প্রথম পদক জিতেছিলেন নীরজ। দোহার সুহেম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে প্রথমবার জ্যাভলিন ছুড়েই চমক দেন নীরজ। প্রথমবারেই তার জ্যাভলিন চলে যায় ৮৮.৬৭ মিটার। ২০২২ সালে জুরিখের ডায়মন্ড লিগে সফলতা হয়েছিলেন নীরজ এবং টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন তিনি। তার লক্ষ্য ছিল ৯০ মিটারের গণ্ডি পেরনোর কিন্তুসেই লক্ষ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top