আনন্দ ধাম

অসীম পাঠকঃ কাল্পনিক সংলাপ হয়তো বা বেদনাবিধুর ভালোবাসার অমলিন ছবি

[প্রস্তাবনা — হিমাচল প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ের কোলে সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সমাহারে এক সুসজ্জিত আশ্রম ….. সেখানে আনন্দ মহারাজ ধর্ম আলোচনা করেন প্রতিদিন সহস্র শিষ্য শিষ্যা সমভিব্যাহারে … দিল্লি থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের ফেমাস ক্রিমিনাল ল ইয়ার ঊর্মি আগরওয়াল ….. হঠাৎই আশ্রমের কথা শুনে তার ইচ্ছা হয় বিশাল কম্পাউন্ডের ভেতরে আসতে …. সিকিউরিটি কে নিজের পরিচয় দিয়ে সোজা আনন্দ মহারাজের ড্রইংরুমে ঢোকে ঊর্মি, সাদা চাদরে কাঁচা পাকা দাড়িতে সোফার উপরে ধ্যান মৌন আনন্দ মহারাজ …. ধূপ ধূনার গন্ধে শঙ্খধ্বনি তে আবিষ্ট গোটা ঘর …. একটু আগেই সন্ধ্যা আরতি হয়ে গেছে ……]

আনন্দ – দীপো জ্যোতি পরং ব্রহ্ম দীপো জ্যোতির্জনার্দনঃ। দীপো হরতু মে পাপং সন্ধ্যাদীপ নমোস্তুতে।

ঊর্মি – গুড ইভিনিং মহারাজ আমার প্রনাম নেবেন।

আনন্দ – কর্পূরগৌরং করুণাবতারং, সংসারসারম্ ভুজগেন্দ্রহারম্ সদাবসন্তং হৃদয়ারবিন্দে, ভবং ভবানীসহিতং নমামি।

ঊর্মি – ক্ষান্ত হও, ধীরে কও কথা। ওরে মন, নত করো শির। দিবা হল সমাপন, সন্ধ্যা আসে শান্তিময়ী। তিমিরের তীরে অসংখ্য-প্রদীপ-জ্বালা এ বিশ্বমন্দিরে এল আরতির বেলা।

আনন্দ – (অপলক তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ) বসুন

ঊর্মি- হ্যাঁ বসতে তো হবেই। এতো বড়ো বিস্ময় আমার জন্য এখানে অপেক্ষা করছিলো একটু আগেও তা বুঝিনি। কি বুঝলে তোমার গলার স্বর শুনে আমি বুঝতে পারবো না , জীবনের মূল্যবান পাঁচটা বছর ….. থাক এসব কথা। তারপর ভালো আছো তো আলোক। বাঃ প্রেসিডেন্সির ব্রাইট স্টুডেন্ট আলোক মুখার্জি আজ আনন্দ বাবাজী।
কিন্তু কেনো …. কেনো এরকম করলে আলোক?

আনন্দ – চুপ করো দেবী, এখানে আমার আগের আর কোন পরিচয় নেই , আমার শিক্ষা পরিবার পরিজন কিছুই নেই … আমি শুধু পরম প্রেমময় ঈশ্বরের সেবক।

ঊর্মি – আমি চিৎকার করে বলবো তুমি একটা ভন্ড , তুমি প্রতারক। তুমি আমাকে ভালোবেসে আমার মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছো। লজ্জা করে না কাপুরুষ।

আনন্দ – আজ সব জাগতিক অনুভূতির বাইরে। তুমি শান্ত হও।

ঊর্মি – কি করে শান্ত হবো বলতে পারেন আনন্দ বাবাজী। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মতো পনেরো বছর ধরে বোবা যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। আর আজ দেখি আমার সেই যন্ত্রনা ময় অতীত আমার সামনে।

আনন্দ- জানি আমি অপরাধী। জানি ভালোবেসে পালিয়ে গেছি। আসলে আমার তো আর কিছুই করার ছিলো না ঊর্মি। আমি ভীষণ অসহায় হয়ে চারদিকে ঠোক্কর খেয়ে আর পারিনি।

ঊর্মি – একবারও ভাবলে না আমার কথা, ভাবলে না সেই ঝোড়ো রাতের কথা।

আনন্দ- চুপ করো ঊর্মি চুপ করো। আমি আর পারছি না। প্রতি মুহূর্তে ওই অসহ্য যন্ত্রনা টা আমাকে কুরে কুরে খায়। আমি উন্মাদের মত সব ভুলতে চাই।

ঊর্মি – হায় রে পুরুষ সত্যিই স্যালুট। পুরুষ হৃদয়হীন, মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।

আনন্দ- এখনো তোমার গলায় সুন্দর কবিতা আসে।

ঊর্মি – আর হ্যাঁ আপনার গলায় বেদমন্ত্রের মাধুর্য্য।

আনন্দ- কেমন আছে সবাই ?

ঊর্মি – কেমন রেখেছো তুমি ? আজ আমার সবকিছু , বাড়ি গাড়ি সন্তান স্বামী ক্যারিয়ার … কিন্তু একটা কাঁটা সবসময় যেনো বিঁধে চলে ….

আনন্দ – হ্যাঁ সব জানি। দেখি তো ক্রিমিনাল ল ইয়ার ঊর্মি আগর ওয়াল অনেক টপ পজিসনে। আমার এই ছোট্ট আশ্রমের সীমানা ওতোদূর পৌঁছায় না। তবে আকাশ তো বড়ো …..
আমাদের গলায় কই সেই উদ্দাম উল্লাস,ঘাসের ঘাগরায় দুরন্ত সমুদ্র -দোলা?
কেমন করে থাকবে?
আমাদের জীবনে নেই জ্বলন্ত মৃত্যু,
সমুদ্র নীল মৃত্যু পলিনেসিয়ার!
আফ্রিকার সিংহ- হিংস্র মৃত্যু!
আছে শুধু স্তিমিত হয়ে নিভে যাওয়া,
– ফ্যাকাশে রুগ্ন তাই সভ্যতা!

ঊর্মি – সভ্যতাকে সুস্থ করো, করো সার্থক।
আনো তীব্র, তপ্ত, ঝাঁঝালো, মৃত্যুর স্বাদ,
সূর্য আর সমুদ্রের ঔরসে যাদের জন্ম,
মৃত্যু- মাতাল তাদের রক্তের বিনিময়।
ভরাট -করা সমুদ্র আর উচ্ছেদ করা অরণ্যের জগতে
কি লাভ গ’ড়ে কৃমি -কীটের সভ্যতা,
লালন ক’রে স্তিমিত দীর্ঘ পরমায়ু কচ্ছপের মত?
অ্যামিবারও ত’ মৃত্যু নেই।
মৃত্যু জীবনের শেষ সার আবিষ্কার আর শিব নীলকন্ঠ!

আনন্দ – আমি পারিনি তোমার জীবনের আলো হতে, হয়েছি অভিশাপ। ভেবেছিলাম দূরে বহুদূরে চলে যাই, এসেও শেষ রক্ষা হলো না। এখানেও মূর্তিমান বাস্তব বিভীষিকার মতো যেন প্রেত নৃত্য করে।

উর্মি – সত্যের সামনে দাঁড়াতে এতো ভয় কেনো আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু আনন্দ মহারাজের ?

আনন্দ – সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম। সে কখনো করে না বঞ্চনা।

ঊর্মি – ঠিক কি হয়েছিলো বলোতো? সেই গেষ্ট হাউস ঝড় জলের রাত, আর তার পরদিন তুমি বর্ধমানে তোমার দেশের বাড়ি বেরিয়ে গেলে …. ভাবলে না একবারো একটা মেয়ের জীবনের চরম সর্বনাশ করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে।

আনন্দ – পারছি না, আর পারছি না ঊর্মি।

ঊর্মি – বলতে তোমাকে হবেই। ভাগ্যিস অরুন সব জেনেও আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলো, নাহলে কি পিতৃ পরিচয় হ‍তো তোমার ছেলের ?

আনন্দ – আমার ছেলে ?

ঊর্মি – আকাশ থেকে পড়লে আলোক ? এতো নির্লজ্জ স্বার্থপর তুমি ….

আনন্দ – বলো বলো যা মন চায় বলো। তবে আমার ছেলে এখন কতো বড়ো হয়েছে ? কেমন দেখতে হয়েছে ?

ঊর্মি – তোমার ছেলে তোমার মতোই। তবে অরুন তার কোন অভাব রাখে নি। সে একজন আদর্শ স্বামী , আদর্শ বাবা।

আনন্দ- অরুনকে আমার বুকভরা ভালোবাসা।

ঊর্মি – আর ঊর্মিকে ?

আনন্দ – আমি সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। জাগতিক মোহ আকাঙ্ক্ষা থেকে অনেক দূরে। হ্যাঁ তোমার সন্তানের জন্য অনেক শুভকামনা। একবার আমাকে দেখাবে ?

ঊর্মি – না, ওটাই তোমার বাকি জীবনের শাস্তি, হ্যাঁ প্রতারনার শাস্তি। একটা মেয়ের সরল বিশ্বাস নিয়ে খেলার শাস্তি।

আনন্দ- যা শাস্তি দেবে সব অবনত মস্তকে স্বীকার। অপরাধ আর অপরাধ …. একটার পর একটা অপরাধ আর পালিয়ে বেড়ানো …. আদৌ কি পেরেছি সব ভুলতে ? পারিনি , আমি পারিনি ঊর্মি ।

ঊর্মি – আমি সবটা জানতে চাই আলোক। সময়ের ধূলিকণা সরিয়ে সত্যি টা জানতে চাই। আমার কাছ থেকে না হয় পালিয়ে গেলে কিন্তু।নিজের পরিবার, নিজের ক্যারিয়ার, তোমার সমস্ত স্বপ্ন কে বিসর্জন দিয়ে একাকী নির্বাসনে কেনো? কেনো নিজেকেই শাস্তি দিয়ে চলেছো সবসময়? তুমি পালিয়ে গিয়েও ভালো নেই আলোক। তোমার চোখে বিমর্ষ মৃত্যুর ছায়া। তুমি নিস্পৃহ, তুমি যেনো যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত।

আনন্দ- শোনো তাহলে, সেই ঝড়জলের রাত পেরিয়ে ভোরে যখন আমি বর্মানের কালনার বাড়িতে আসি তখন আমি জীবনের যে চরম সত্য কে প্রত্যক্ষ করেছি তা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই।

ঊর্মি – বলো আলোক বলো তারপর

আনন্দ- আমার বাবাকে হারিয়েছি অনেকদিন। তিনি হঠাৎই কার একসিডেন্টে মারা গিয়েছিলেন। আমার মা আমার কাছে ধ্রুবতারার মতো ছিলেন। যখন দেখলাম সেই মা …. পারছি না ঊর্মি আর বলতে পারছি না।

ঊর্মি – বলো আলোক, বোবা পাষানভার টাকে নামিয়ে দাও বুক থেকে। আমি ক্রিমিনাল ল ইয়ার। অপরাধ বিজ্ঞান আমার হাতের তালুর মতো চেনা।

আনন্দ – মা কে আমি বাড়িতে বাবার বন্ধুর সাথে অবৈধ অবস্থায় দেখি। অথচ বাবার মৃত্যুর পর ওই বাস্টার্ড টাকে আমি আমাদের অভিভাবক ভাবতাম। আমি মাথা ঠিক রাখতে পারনি। দেওয়ালে ঝোলানো বাবার শখের তরবারি টা নিয়ে সজোরে ঢুকিয়ে দিলাম রাস্কেলটার পেটে। এলোপাতাড়ি সেই তরবারি চালিয়ে নৃশংস মেরে ফেললাম তাকে। মা যেনো অবাক বিস্ময়ে হতবাক।

ঊর্মি – তারপর, তারপর কি হলো আলোক

আনন্দ- কি ভাবছো রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার … হয়তো তাই।

ঊর্মি – তা নয় আলোক, প্রতিদিন এতো বিচিত্র ক্রিমিনাল আর হরেক লাল নীল ক্রাইম দেখি যে এসব এখন জলভাত। আশ্চর্য হই না কারন অপরাধীর চোখের ভাষা আমি পড়তে পারি।

আনন্দ- তারপর সেই ব্যাভিচারী মা আমার হাত থেকে সেই ধারালো তলোয়ার টা নিয়ে আমাকে বাড়ির বাইরে ধাক্কা মেরে বের করে দরজা বন্ধ করে নিজেই আত্মঘাতী হলো। পুলিশ রিপোর্টে প্রমান হলো মা তার প্রেমিককে মেরে আত্মঘাতী।
আমি পালিয়ে গেলাম দূরে বহুদূরে।নিজের থেকে নিজে পালাতে পালাতে একদিন পুনা স্টেশনে সর্বানন্দ মহারাজকে পেলাম । তিনি আমাকে এখানে এনে নতুন নাম দিলেন আনন্দ। আলোক আজ মৃত।

ঊর্মি – হুম …. আসলে সময় কখন কার জন্য কি নিয়ে অপেক্ষা করছে , তা আমরা কেও জানি না। কেন মোরে দূর করে দাও
দূর করে দাও আকাশ তলে ।
লাগে তীক্ষ্ণ রোদের ছটা আলোর ঘটা
মোর কপালে ।

আনন্দ- কঠিনের আরও কঠিন
পরখ জোটে কিসের ছলে?
ধৈর্য্যের বাঁধ অটুট যাহার আছে বাহার
গড়া সে বাঁধ পলে পলে।
চাইলেও যায় না ভাঙা মাটি রাঙা
যতই যায় তার তলে তলে।
মাথার ‘পরে আছেন যিনি দেখেন তিনি
রক্ষা করেন আপন বলে ।।
মাতাল হাওয়া যায় বহে যায়
উড়িয়ে চুল তাল বেতালে।
আমি যে একটা ভয়ংকর অপরাধী ঊর্মি।

উর্মি- আমি বলবো তুমি পরিস্থিতির শিকার। সবদিন ই একটুতেই রেগে যেতে। আর পছন্দ মতো যা চাইছো তা না পেলে সব তছনছ করে ফেলতে। তোমার মধ্যে একটা বন্যতা ছিলো। আজ ঠিক ততোখানি শান্ত। তবে আমাদের আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতা আমাদের মধ্যেই বন্দী থাকবে। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম আলোক …. সরি আনন্দ মহারাজ। আজ্ঞা দিন , আমি এবার যাই।

আনন্দ – হ্যাঁ জানি তবে যাই না বলে আসি কি বলা যায় না ?

ঊর্মি – না, কেননা আমি আর এখানে আসবো না। আপনার আর আমার জগত আলাদা আলাদা। আপনি তো আমার উপরে ভরসা রাখেননি, পালিয়ে বেড়িয়েছেন। আমার আলোককে আমি আজো ভালোবাসি। তার দুরন্ত দুর্নিবার আকর্ষনের কাছে আমার সবটুকু সঁপে দিই বারবার। আমার আলোক আমার প্রানে নিত্য জাগরুক।

আনন্দ – হ্যাঁ সেই মৃত আলোক তোমার বুকেই শান্তি তে ঘুমাক। নিঃস্ব রিক্ত এই আনন্দ মহারাজ শূন্যতা বুকে নীলকন্ঠ হয়ে থাক।

ঊর্মি – দূরের পথিক! তুমি ভাব বুঝি তব ব্যথা কেউ বোঝে না, তোমার ব্যাথার তুমিই দরদী একাকী, পথে ফেরে যারা পথ-হারা, কোন গৃহবাসী তারে খোঁজে না, বুকে ক্ষত হ’য়ে জাগে আজো সেই ব্যথা-লেখা কি? দূর বাউলের গানে ব্যথা হানে বুঝি শুধু ধূ-ধূ মাঠে পথিকে?

আনন্দ- এ যে মিছে অভিমান পরবাসী! দেখে ঘর-বাসীদের ক্ষতিকে!
তবে জান কি তোমার বিদায়-কথায় কত বুক-ভাঙা গোপন ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিছে কোথায় পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক! কেহ ভালোবাসিল না ভেবে যেন আজো মিছে ব্যথা পেয়ে যেয়ো না, ওগো যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেয়ো না ।।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন  

উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর  অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে

উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে   ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি  গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ  ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top