অসীম পাঠকঃ কাল্পনিক সংলাপ হয়তো বা বেদনাবিধুর ভালোবাসার অমলিন ছবি
[প্রস্তাবনা — হিমাচল প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ের কোলে সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সমাহারে এক সুসজ্জিত আশ্রম ….. সেখানে আনন্দ মহারাজ ধর্ম আলোচনা করেন প্রতিদিন সহস্র শিষ্য শিষ্যা সমভিব্যাহারে … দিল্লি থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের ফেমাস ক্রিমিনাল ল ইয়ার ঊর্মি আগরওয়াল ….. হঠাৎই আশ্রমের কথা শুনে তার ইচ্ছা হয় বিশাল কম্পাউন্ডের ভেতরে আসতে …. সিকিউরিটি কে নিজের পরিচয় দিয়ে সোজা আনন্দ মহারাজের ড্রইংরুমে ঢোকে ঊর্মি, সাদা চাদরে কাঁচা পাকা দাড়িতে সোফার উপরে ধ্যান মৌন আনন্দ মহারাজ …. ধূপ ধূনার গন্ধে শঙ্খধ্বনি তে আবিষ্ট গোটা ঘর …. একটু আগেই সন্ধ্যা আরতি হয়ে গেছে ……]
আনন্দ – দীপো জ্যোতি পরং ব্রহ্ম দীপো জ্যোতির্জনার্দনঃ। দীপো হরতু মে পাপং সন্ধ্যাদীপ নমোস্তুতে।
ঊর্মি – গুড ইভিনিং মহারাজ আমার প্রনাম নেবেন।
আনন্দ – কর্পূরগৌরং করুণাবতারং, সংসারসারম্ ভুজগেন্দ্রহারম্ সদাবসন্তং হৃদয়ারবিন্দে, ভবং ভবানীসহিতং নমামি।
ঊর্মি – ক্ষান্ত হও, ধীরে কও কথা। ওরে মন, নত করো শির। দিবা হল সমাপন, সন্ধ্যা আসে শান্তিময়ী। তিমিরের তীরে অসংখ্য-প্রদীপ-জ্বালা এ বিশ্বমন্দিরে এল আরতির বেলা।
আনন্দ – (অপলক তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ) বসুন
ঊর্মি- হ্যাঁ বসতে তো হবেই। এতো বড়ো বিস্ময় আমার জন্য এখানে অপেক্ষা করছিলো একটু আগেও তা বুঝিনি। কি বুঝলে তোমার গলার স্বর শুনে আমি বুঝতে পারবো না , জীবনের মূল্যবান পাঁচটা বছর ….. থাক এসব কথা। তারপর ভালো আছো তো আলোক। বাঃ প্রেসিডেন্সির ব্রাইট স্টুডেন্ট আলোক মুখার্জি আজ আনন্দ বাবাজী।
কিন্তু কেনো …. কেনো এরকম করলে আলোক?
আনন্দ – চুপ করো দেবী, এখানে আমার আগের আর কোন পরিচয় নেই , আমার শিক্ষা পরিবার পরিজন কিছুই নেই … আমি শুধু পরম প্রেমময় ঈশ্বরের সেবক।
ঊর্মি – আমি চিৎকার করে বলবো তুমি একটা ভন্ড , তুমি প্রতারক। তুমি আমাকে ভালোবেসে আমার মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছো। লজ্জা করে না কাপুরুষ।
আনন্দ – আজ সব জাগতিক অনুভূতির বাইরে। তুমি শান্ত হও।
ঊর্মি – কি করে শান্ত হবো বলতে পারেন আনন্দ বাবাজী। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মতো পনেরো বছর ধরে বোবা যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। আর আজ দেখি আমার সেই যন্ত্রনা ময় অতীত আমার সামনে।
আনন্দ- জানি আমি অপরাধী। জানি ভালোবেসে পালিয়ে গেছি। আসলে আমার তো আর কিছুই করার ছিলো না ঊর্মি। আমি ভীষণ অসহায় হয়ে চারদিকে ঠোক্কর খেয়ে আর পারিনি।
ঊর্মি – একবারও ভাবলে না আমার কথা, ভাবলে না সেই ঝোড়ো রাতের কথা।
আনন্দ- চুপ করো ঊর্মি চুপ করো। আমি আর পারছি না। প্রতি মুহূর্তে ওই অসহ্য যন্ত্রনা টা আমাকে কুরে কুরে খায়। আমি উন্মাদের মত সব ভুলতে চাই।
ঊর্মি – হায় রে পুরুষ সত্যিই স্যালুট। পুরুষ হৃদয়হীন, মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।
আনন্দ- এখনো তোমার গলায় সুন্দর কবিতা আসে।
ঊর্মি – আর হ্যাঁ আপনার গলায় বেদমন্ত্রের মাধুর্য্য।
আনন্দ- কেমন আছে সবাই ?
ঊর্মি – কেমন রেখেছো তুমি ? আজ আমার সবকিছু , বাড়ি গাড়ি সন্তান স্বামী ক্যারিয়ার … কিন্তু একটা কাঁটা সবসময় যেনো বিঁধে চলে ….
আনন্দ – হ্যাঁ সব জানি। দেখি তো ক্রিমিনাল ল ইয়ার ঊর্মি আগর ওয়াল অনেক টপ পজিসনে। আমার এই ছোট্ট আশ্রমের সীমানা ওতোদূর পৌঁছায় না। তবে আকাশ তো বড়ো …..
আমাদের গলায় কই সেই উদ্দাম উল্লাস,ঘাসের ঘাগরায় দুরন্ত সমুদ্র -দোলা?
কেমন করে থাকবে?
আমাদের জীবনে নেই জ্বলন্ত মৃত্যু,
সমুদ্র নীল মৃত্যু পলিনেসিয়ার!
আফ্রিকার সিংহ- হিংস্র মৃত্যু!
আছে শুধু স্তিমিত হয়ে নিভে যাওয়া,
– ফ্যাকাশে রুগ্ন তাই সভ্যতা!
ঊর্মি – সভ্যতাকে সুস্থ করো, করো সার্থক।
আনো তীব্র, তপ্ত, ঝাঁঝালো, মৃত্যুর স্বাদ,
সূর্য আর সমুদ্রের ঔরসে যাদের জন্ম,
মৃত্যু- মাতাল তাদের রক্তের বিনিময়।
ভরাট -করা সমুদ্র আর উচ্ছেদ করা অরণ্যের জগতে
কি লাভ গ’ড়ে কৃমি -কীটের সভ্যতা,
লালন ক’রে স্তিমিত দীর্ঘ পরমায়ু কচ্ছপের মত?
অ্যামিবারও ত’ মৃত্যু নেই।
মৃত্যু জীবনের শেষ সার আবিষ্কার আর শিব নীলকন্ঠ!
আনন্দ – আমি পারিনি তোমার জীবনের আলো হতে, হয়েছি অভিশাপ। ভেবেছিলাম দূরে বহুদূরে চলে যাই, এসেও শেষ রক্ষা হলো না। এখানেও মূর্তিমান বাস্তব বিভীষিকার মতো যেন প্রেত নৃত্য করে।
উর্মি – সত্যের সামনে দাঁড়াতে এতো ভয় কেনো আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু আনন্দ মহারাজের ?
আনন্দ – সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম। সে কখনো করে না বঞ্চনা।
ঊর্মি – ঠিক কি হয়েছিলো বলোতো? সেই গেষ্ট হাউস ঝড় জলের রাত, আর তার পরদিন তুমি বর্ধমানে তোমার দেশের বাড়ি বেরিয়ে গেলে …. ভাবলে না একবারো একটা মেয়ের জীবনের চরম সর্বনাশ করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে।
আনন্দ – পারছি না, আর পারছি না ঊর্মি।
ঊর্মি – বলতে তোমাকে হবেই। ভাগ্যিস অরুন সব জেনেও আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলো, নাহলে কি পিতৃ পরিচয় হতো তোমার ছেলের ?
আনন্দ – আমার ছেলে ?
ঊর্মি – আকাশ থেকে পড়লে আলোক ? এতো নির্লজ্জ স্বার্থপর তুমি ….
আনন্দ – বলো বলো যা মন চায় বলো। তবে আমার ছেলে এখন কতো বড়ো হয়েছে ? কেমন দেখতে হয়েছে ?
ঊর্মি – তোমার ছেলে তোমার মতোই। তবে অরুন তার কোন অভাব রাখে নি। সে একজন আদর্শ স্বামী , আদর্শ বাবা।
আনন্দ- অরুনকে আমার বুকভরা ভালোবাসা।
ঊর্মি – আর ঊর্মিকে ?
আনন্দ – আমি সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। জাগতিক মোহ আকাঙ্ক্ষা থেকে অনেক দূরে। হ্যাঁ তোমার সন্তানের জন্য অনেক শুভকামনা। একবার আমাকে দেখাবে ?
ঊর্মি – না, ওটাই তোমার বাকি জীবনের শাস্তি, হ্যাঁ প্রতারনার শাস্তি। একটা মেয়ের সরল বিশ্বাস নিয়ে খেলার শাস্তি।
আনন্দ- যা শাস্তি দেবে সব অবনত মস্তকে স্বীকার। অপরাধ আর অপরাধ …. একটার পর একটা অপরাধ আর পালিয়ে বেড়ানো …. আদৌ কি পেরেছি সব ভুলতে ? পারিনি , আমি পারিনি ঊর্মি ।
ঊর্মি – আমি সবটা জানতে চাই আলোক। সময়ের ধূলিকণা সরিয়ে সত্যি টা জানতে চাই। আমার কাছ থেকে না হয় পালিয়ে গেলে কিন্তু।নিজের পরিবার, নিজের ক্যারিয়ার, তোমার সমস্ত স্বপ্ন কে বিসর্জন দিয়ে একাকী নির্বাসনে কেনো? কেনো নিজেকেই শাস্তি দিয়ে চলেছো সবসময়? তুমি পালিয়ে গিয়েও ভালো নেই আলোক। তোমার চোখে বিমর্ষ মৃত্যুর ছায়া। তুমি নিস্পৃহ, তুমি যেনো যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত।
আনন্দ- শোনো তাহলে, সেই ঝড়জলের রাত পেরিয়ে ভোরে যখন আমি বর্মানের কালনার বাড়িতে আসি তখন আমি জীবনের যে চরম সত্য কে প্রত্যক্ষ করেছি তা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই।
ঊর্মি – বলো আলোক বলো তারপর
আনন্দ- আমার বাবাকে হারিয়েছি অনেকদিন। তিনি হঠাৎই কার একসিডেন্টে মারা গিয়েছিলেন। আমার মা আমার কাছে ধ্রুবতারার মতো ছিলেন। যখন দেখলাম সেই মা …. পারছি না ঊর্মি আর বলতে পারছি না।
ঊর্মি – বলো আলোক, বোবা পাষানভার টাকে নামিয়ে দাও বুক থেকে। আমি ক্রিমিনাল ল ইয়ার। অপরাধ বিজ্ঞান আমার হাতের তালুর মতো চেনা।
আনন্দ – মা কে আমি বাড়িতে বাবার বন্ধুর সাথে অবৈধ অবস্থায় দেখি। অথচ বাবার মৃত্যুর পর ওই বাস্টার্ড টাকে আমি আমাদের অভিভাবক ভাবতাম। আমি মাথা ঠিক রাখতে পারনি। দেওয়ালে ঝোলানো বাবার শখের তরবারি টা নিয়ে সজোরে ঢুকিয়ে দিলাম রাস্কেলটার পেটে। এলোপাতাড়ি সেই তরবারি চালিয়ে নৃশংস মেরে ফেললাম তাকে। মা যেনো অবাক বিস্ময়ে হতবাক।
ঊর্মি – তারপর, তারপর কি হলো আলোক
আনন্দ- কি ভাবছো রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার … হয়তো তাই।
ঊর্মি – তা নয় আলোক, প্রতিদিন এতো বিচিত্র ক্রিমিনাল আর হরেক লাল নীল ক্রাইম দেখি যে এসব এখন জলভাত। আশ্চর্য হই না কারন অপরাধীর চোখের ভাষা আমি পড়তে পারি।
আনন্দ- তারপর সেই ব্যাভিচারী মা আমার হাত থেকে সেই ধারালো তলোয়ার টা নিয়ে আমাকে বাড়ির বাইরে ধাক্কা মেরে বের করে দরজা বন্ধ করে নিজেই আত্মঘাতী হলো। পুলিশ রিপোর্টে প্রমান হলো মা তার প্রেমিককে মেরে আত্মঘাতী।
আমি পালিয়ে গেলাম দূরে বহুদূরে।নিজের থেকে নিজে পালাতে পালাতে একদিন পুনা স্টেশনে সর্বানন্দ মহারাজকে পেলাম । তিনি আমাকে এখানে এনে নতুন নাম দিলেন আনন্দ। আলোক আজ মৃত।
ঊর্মি – হুম …. আসলে সময় কখন কার জন্য কি নিয়ে অপেক্ষা করছে , তা আমরা কেও জানি না। কেন মোরে দূর করে দাও
দূর করে দাও আকাশ তলে ।
লাগে তীক্ষ্ণ রোদের ছটা আলোর ঘটা
মোর কপালে ।
আনন্দ- কঠিনের আরও কঠিন
পরখ জোটে কিসের ছলে?
ধৈর্য্যের বাঁধ অটুট যাহার আছে বাহার
গড়া সে বাঁধ পলে পলে।
চাইলেও যায় না ভাঙা মাটি রাঙা
যতই যায় তার তলে তলে।
মাথার ‘পরে আছেন যিনি দেখেন তিনি
রক্ষা করেন আপন বলে ।।
মাতাল হাওয়া যায় বহে যায়
উড়িয়ে চুল তাল বেতালে।
আমি যে একটা ভয়ংকর অপরাধী ঊর্মি।
উর্মি- আমি বলবো তুমি পরিস্থিতির শিকার। সবদিন ই একটুতেই রেগে যেতে। আর পছন্দ মতো যা চাইছো তা না পেলে সব তছনছ করে ফেলতে। তোমার মধ্যে একটা বন্যতা ছিলো। আজ ঠিক ততোখানি শান্ত। তবে আমাদের আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতা আমাদের মধ্যেই বন্দী থাকবে। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম আলোক …. সরি আনন্দ মহারাজ। আজ্ঞা দিন , আমি এবার যাই।
আনন্দ – হ্যাঁ জানি তবে যাই না বলে আসি কি বলা যায় না ?
ঊর্মি – না, কেননা আমি আর এখানে আসবো না। আপনার আর আমার জগত আলাদা আলাদা। আপনি তো আমার উপরে ভরসা রাখেননি, পালিয়ে বেড়িয়েছেন। আমার আলোককে আমি আজো ভালোবাসি। তার দুরন্ত দুর্নিবার আকর্ষনের কাছে আমার সবটুকু সঁপে দিই বারবার। আমার আলোক আমার প্রানে নিত্য জাগরুক।
আনন্দ – হ্যাঁ সেই মৃত আলোক তোমার বুকেই শান্তি তে ঘুমাক। নিঃস্ব রিক্ত এই আনন্দ মহারাজ শূন্যতা বুকে নীলকন্ঠ হয়ে থাক।
ঊর্মি – দূরের পথিক! তুমি ভাব বুঝি তব ব্যথা কেউ বোঝে না, তোমার ব্যাথার তুমিই দরদী একাকী, পথে ফেরে যারা পথ-হারা, কোন গৃহবাসী তারে খোঁজে না, বুকে ক্ষত হ’য়ে জাগে আজো সেই ব্যথা-লেখা কি? দূর বাউলের গানে ব্যথা হানে বুঝি শুধু ধূ-ধূ মাঠে পথিকে?
আনন্দ- এ যে মিছে অভিমান পরবাসী! দেখে ঘর-বাসীদের ক্ষতিকে!
তবে জান কি তোমার বিদায়-কথায় কত বুক-ভাঙা গোপন ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিছে কোথায় পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক! কেহ ভালোবাসিল না ভেবে যেন আজো মিছে ব্যথা পেয়ে যেয়ো না, ওগো যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেয়ো না ।।
আরও পড়ুন
ধানের সাধ ভক্ষণ : জিহুড়
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: আশ্বিন সংক্রান্তিতে কৃষক সমাজের মধ্যে জিহুড় পার্বণ পালিত হয়। কৃষক সাধারণের মধ্যে জিহুড় পার্বণের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জিহুড় অর্থাৎ আশ্বিন সংক্রান্তির সময় বহাল জমিতে লাগানো ধান বা বড়ান ধানে থোড় আসতে শুরু করে। সুতরাং ধান গাছ গর্ভাবস্থায় থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের আচার-সংস্কার পালন করা হয়। এই সংস্কারগুলির অন্যতম হলো " ন' মাসি " অর্থাৎ গর্ভাবস্থার নবম মাসে যে আচার -অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সন্তানজন্মগ্রহণ করে। মানব- সমাজের গর্ভাবস্থাজনিত এই ধরনের আচার সংস্কারের সঙ্গে ধান গাছের গর্ভাবস্থার কারণে পালনীয় অনুষ্ঠান জিহুড়ের সাদৃশ্য থাকে দেখা যায়। সেই জন্য অনেকে জিহুড় অনুষ্ঠানকে ধান গাছের 'সাধভক্ষণ' বলে থাকেন। জিহুড়-এ ধান গাছ .....বিস্তারিত পড়ুন
শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু কলকাতা পুরসভা এবং বন্দর কতৃপক্ষের
উত্তরাপথঃ শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনের, প্রতিমা বিসর্জনে এ বার বিশেষ বন্দোবস্ত করছে কলকাতা পুরসভা।এ বছর ২১ অক্টোবর দুর্গা পুজা শুরু এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী। বিজয়া দশমীর পর আরও দু’দিন প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। তাই সেই প্রতিমা বিসর্জন পর্ব মসৃণ করতে কলকাতা বন্দর এবং পুরসভা কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সোমবার কলকাতা পুরসভায় প্রাক্-পুজোর বৈঠকে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের পাশাপাশি, ছিলেন কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি-সহ একাধিক সরকারি দফতরের আধিকারিকেরা। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
বিশ্ব উস্নায়ন এবং তাকে কেন্দ্র করে জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ধীরে ধীরে একাধিক উপায়ে মানব সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি প্রায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এটি আমাদের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আমাদের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ।সদ্য হয়ে যাওয়া হিমাচল প্রদেশের বন্যা আমাদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল । এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে ,যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বহু গুণ বেশী। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৯.৬ মিমি যা স্বাভাবিক গড় ৭৬.৬ মিমি থেকে প্রায় ৭০% বেশী .....বিস্তারিত পড়ুন
পোল্ট্রি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চলেছে নতুন জিন প্রযুক্তি
উত্তরাপথ - পোল্ট্রি শিল্পে পুরুষ ছানা মারার অভ্যাস দীর্ঘকাল ধরে নৈতিক উদ্বেগের বিষয়।পরিসংখ্যানে প্রকাশ প্রতি বছর পোলট্রিগুলিতে ৭ বিলিয়ন পুরুষ ছানাকে হত্যা করা হয়।কারণ পুরুষ ছানারা ডিম দিতে পারে না সেই সাথে তারা মাংসের জন্যও উপযুক্ত না হওয়ার কারণে,তারা অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক বলে বিবেচিত হয় । সেই কারণে ডিম ফোটার পরপরই তাদের euthanized করা হয়।এবার এই সমস্যা সমাধানে মধ্য ইস্রায়েলের Yuval Cinnamon এর গবেষণাগারে এক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয় যার দ্বারা সমস্ত ছানাই মহিলা হবে।এক্ষেত্রে পুরুষ ছানাগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ডিম থেকে বেরোনোর আগেই তাদের বাঁধা দেওয়া হবে। এই নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার মুর্গীর পুরুষ ছানাগুলিকে প্রায়শই ম্যাসারেশন বা গ্যাসিং পদ্ধতির মাধ্যমে হত্যা করার মত অমানবিক কাজ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। .....বিস্তারিত পড়ুন