

উত্তরাপথঃ টানাপোড়েনের পর আসন্ন এশিয়ান গেমসে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতীয় ফুটবল দল। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের এন্ট্রিতে উচ্ছ্বসিত ফুটবলপ্রেমী তথা গোটা দেশ। কিন্তু ২২ জনের যে সম্ভাব্য দল প্রকাশ্যে এল, তা সমর্থকদের মুখে খুব একটা হাসি ফোটাতে পারল না। জানা গিয়েছে এআইএফএফ এশিয়ান গেমসের জন্য যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে নেই সুনীল ছেত্রীর নাম। এমনকী খেলবেন না দলের আরও দুই তারকা সন্দেশ ঝিঙ্ঘান ও গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
আসলে এশিয়ান গেমসের নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষদের দলে ২৩ বছরের ঊর্ধ্বে মোট তিনজন ফুটবলার রাখা যাবে। মহিলাদের দলের ক্ষেত্রে অবশ্য এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) সভাপতি কল্যাণ চৌবে নিশ্চিত করেছিলেন যে ২৩ বছরের ঊর্ধ্বের তিন ফুটবলার হবেন সুনীল, গুরপ্রীত এবং সন্দেশ। কিন্তু এশিয়ান গেমসের জন্য ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দলের ফুটবলারদের যে নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে : আনোয়ার আলি, গুরমিত, লালেংমাওইয়া, নরেন্দ্র, রহিম আলি, লালনুনতলুয়াঙ্গা বাভিটলুং, রোহিত দানু, প্রভসুখান সিং গিল, অনিকেত অনিল যাদব, রাহুল কানোলি প্রবীণ, অমরজিৎ সিং কিয়াম, আকাশ মিশ্র, ধীরাজ সিং, তিব্রত সিং নাম নেই সুনীল, গুরপ্রীত এবং সন্দেশের।
প্রসঙ্গত ভারতের পুরুষ ও মহিলা উভয় ফুটবল দলকে এশিয়ান গেমসে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়ান গেমসের আসর বসছে চিনে। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলের অংশ গ্রহণ নিয়ে ঘনিয়েছিল বিতর্ক। তবে সব জল্পনা কাটিয়ে ছাড়পত্র পেয়ে যায় ইগর স্টিমাচের দল। এশিয়ান গেমসে ফুটবলের যে গ্রুপ বিন্যাস হয়েছে, তাতে ভারতের সঙ্গে রয়েছে চিন, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। তবে এবার দেখার সুনীল না খেললে, কার নেতৃত্বে দল নামান কোচ।
শোনা যাচ্ছে, ফেডারেশনের তরফে নাকি তিন ফুটবলারের জন্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন’ চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ‘স্পেশ্যাল কেস’ হিসেবে তাঁরা যাতে এশিয়াডে উপস্থিত থাকতে পারেন, তার জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ছাড়পত্র চেয়েছে এআইএফএফ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ২২ জনের যে দলের নাম পাঠানো হয়েছে, সেখানে যদি সুনীল-সহ তিন তারকাকে না-ই রাখা হয়, তাহলে কেন ‘অ্যাক্রেডিটেশন’ চাওয়া হল? আর যদি তা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কি শেষ মুহূর্তে তাঁদের দলে ঢোকার সম্ভাবনা আছে? উত্তর পেতে আমাদের এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন