উত্তরাপথ
ছবি সৌজন্যে: টুইটার সম্বিৎ পাত্র
বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একজন “মহারাজ” বলে সম্বোধন করেছেন এবং বলেন যে রাজারাও কেজরিওয়ালের বাসস্থানের “বিলাসিতা ও আরামের লালসা” এর জন্য মাথা নত করবে।তিনি বলেন করোনা কালে যখন দিল্লি র লোক স্বাস্থ্য পরিষেবা পওয়ার জন্য ছুটোছুটি করছিলেন সেই সময় কেজরিওয়াল ব্যাস্ত ছিলেন তাঁর বাসভবন সংস্কার করতে।
বিজেপির মুখপাত্র পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান আপ প্রধান ৪৫ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে তাঁর বাসভবন সংস্কার করতে । তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে আবাসনের জন্য কেনা আটটি নতুন পর্দার মধ্যে একটির দাম ৭.৯৪ লাখ টাকার বেশি এবং সবচেয়ে সস্তার দাম ছিল ৩.৭৫ লাখ টাকা। বিজেপি মুখপাত্র বলেছেন যে ১.১৫ কোটির বেশি মূল্যের মার্বেল ভিয়েতনাম থেকে আনা হয়েছিল
সম্বিত পাত্র বলেন, এটি কেবল বাসস্থানের সংস্কারের বিষয়ে নয়, আম আদমি পার্টির আদর্শ এবং এর নেতাদের মানসিকতারও বিষয়, তিনি রাজনীতিতে কেজরিওয়ালের প্রথম দিকের বক্তৃতা গুলি দেখান যেখানে তাকে ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিবিদদের দেওয়া বড় বাড়ি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিরুদ্ধে বলতে শোনা যায় ।দিল্লি বিধানসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর কেজরিওয়ালের সাম্প্রতিক আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এই কথাগুলি বলছিলেন।
অন্যদিকে আপের পক্ষ থেকে সংস্কারের আগে ঘরের জরাজীর্ণ দশা তুলে ধরা হয়েছে। আপ মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা কক্কর টুইট করে বলেছেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিন ঘণ্টার সফরে ৮০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিমান কিনেছেন। দিল্লির সিভিল লাইনে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর এই আবাস সংস্কারের খরচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই আসরে নেমেছে কংগ্রেসও। দলের নেতা অজয় মাকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় কেজরিওয়াল লালবাতি গাড়ি না চড়া, সরকারি বাংলো না নেওয়ার কথা বলেছিলেন। অথচ বাস্তব বলছে অন্যকথা। আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে এই সব বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। নিজেকে ফকির দাবি করা প্রধানমন্ত্রী ৫০০ কোটি খরচ করে নতুন আবাস বানাচ্ছেন। তাঁর বর্তমান বাসস্থান সংস্কার করতে ৯০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
১ কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে
উত্তরাপথ: গুয়াহাটির একটি স্থানীয় আদালতে আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের (এপিডব্লিউ) সভাপতি অভিজিৎ শর্মার রাজ্যসভার সাংসদ এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ১কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে। অভিজিৎ শর্মার অভিযোগ রঞ্জন গগৈ তার আত্মজীবনী জাস্টিস ফর এ জাজে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ করেছে । তাই তিনি প্রকাশক গগৈ এবং রুপা পাবলিকেশন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন এবং কোনও বই প্রকাশ, বিতরণ বা বিক্রি করা থেকে বিরত রাখার জন্য অন্তবর্তী .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন। কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি'সিনেমাটির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
উত্তরাপথ: 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ায় সিনেমাটির সিনেমার নির্মাতারা বাংলার নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের দাবী ছিল নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । নির্মাতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে যুক্তি জানতে চেয়েছে । প্রধান বিচারপতির একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে, যখন এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে চলছে।পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাটি কেন নিষিদ্ধ করা উচিত? এটি একই রকম জনসংখ্যার সংমিশ্রণ রয়েছে এম .....বিস্তারিত পড়ুন