

উত্তরাপথঃ গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির (Griffith University) গবেষকদের দ্বারা করা একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় আমাদের দীর্ঘ জীবন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার এক দারুণ সমাধান প্রকাশিত হয়েছে।সেখানে বলা হয়েছে নিয়মিত শারীরিক কাজকর্ম একজন মানুষের নিশ্চিত ভাবে আয়ু বাড়াতে পারে। ৪০ বছরের বেশি শারীরিক কাজকর্মে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা সম্ভাব্যভাবে অতিরিক্ত পাঁচ বছর জীবন বেশী বাঁচতে পারে।
গবেষণায়, গবেষকরা অ্যাক্সিলোমেট্রি ব্যবহার করে জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশের শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা পরীক্ষা করেছেন। এটি এমন এক পদ্ধতি যা সমীক্ষার উপর নির্ভর করার তুলনায় আরও সঠিক তথ্য প্রদান করে। অ্যাক্সিলোমেট্রি ব্যবহার করে তারা যা তথ্য খুঁজে পান তা সত্যিই অসাধারণ – সবচেয়ে সক্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ ২৫ শতাংশের মৃত্যুর ঝুঁকি তাদের সর্বনিম্ন সক্রিয় সদস্যদের তুলনায় ৭৩ শতাংশ কম ছিল। যারা সক্রিয় নন, তাদের জন্য মাত্র এক ঘন্টা হাঁটা তাদের জীবনে প্রায় ছয় ঘন্টা যোগ করতে পারে।
প্রধান গবেষক প্রফেসর লেনার্ট উইয়ারম্যান স্বল্প-সক্রিয় গোষ্ঠীতে স্বাস্থ্য লাভের অপার সম্ভাবনার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে কাজকর্মের মাত্রা বৃদ্ধি, এমনকি দিনে এক ঘন্টার মতো হাঁটাও, উল্লেখযোগ্য সুবিধা দিতে পারে, সম্ভাব্যভাবে একজনের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কয়েকটি বছর যোগ করতে পারে।
গবেষকরা ধূমপানের সাথে ব্যায়ামের তুলনা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন যে এমনকি অল্প পরিমাণে শারীরিক কাজকর্ম ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম করতে পারে। সক্রিয় থাকার ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিছু ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মানুষ রক্ষা পেতে পারে। বিজ্ঞানীরা জাতীয় অনুশীলন নির্দেশিকা সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
গবেষণায় শারীরিক ক্রিয়াকলাপে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে যা ব্যায়ামকে উৎসাহিত করে, যেমন হাঁটা ও বাইক চালানোর সাথে সাশ্রয়ী মূল্যের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এটি বলার মাধ্যমে, গবেষকরা মানুষকে দীর্ঘজীবন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেছেন।
সূত্রঃ “Physical activity and life expectancy: a life-table analysis” by Lennert Veerman, Jakob Tarp, Ruth Wijaya, Mary Njeri Wanjau, Holger Möller, Fiona Haigh, Peta Lucas and Andrew Milat, 14 November 2024, British Journal of Sports Medicine.
DOI: 10.1136/bjsports-2024-108125
আরও পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে হারিয়ে Afghanistan এ ঈদের মতো পরিস্থিতি
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আফগানিস্তান। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান আর এই পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্থানে(Afghanistan)এখন ঈদের মতো পরিস্থিতি।এক আফগানিস্থানি সমর্থকের মতে এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এবং নিজেদের মত করে তারা তাদের এই খুশী উদযাপন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক সমর্থকের মতে, সেদিন উদযাপন ছিল, পার্টি ছিল। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এছাড়াও, এটি ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় বড় আপসেট । টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ২৮২ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান দল ২৮৩ রান তাড়া করে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে হারের পর বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময়, তিনি দলের ত্রুটিগুলি তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরাজয়ের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন