বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন পরিবার এবং প্রিয়জনরা ওজন কমানোর ইছাকে নষ্ট করতে পারে

উত্তরাপথ

আপনার পরিবার আপনার রোগা হওয়ার ইচ্ছা কে কি কম করে দিচ্ছে ? সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ সারে থেকে একটি মজার গবেষণা সামনে এসেছে তাতে বলা হয়েছে একজন মানুষের রোগা হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনরা। তাঁরা অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত অতিরিক্ত খাবার খায়িয়ে আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে কম করে দিতে পারে।  এই অধ্যয়নটি ক্রমবর্ধমান প্রমান করে যে প্রিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধব  সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। সারের এই গবেষকদলটি দেখিয়েছেন সামাজিকতা সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করছে, এবং স্বাস্থ্য রক্ষা মূলক গোষ্ঠীতে যোগদানে বাধা সৃষ্টি করেছে, যা প্রায়শই একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মানকে ক্ষুন্ন করে, ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

জেন ওগডেন, হেলথ সাইকোলজির অধ্যাপক এবং সারে ইউনিভার্সিটির গবেষণার প্রধান লেখক বলেছেন: ওজন কমানোর ফলে প্রায়ই একজন ব্যক্তির মানসিক পরিবর্তন হয় যার প্রভাব তার সামাজিক সম্পর্কের উপর পড়ে, সেই সময় একজন ব্যক্তির আরও বেশী আত্মবিশ্বাস দরকার হয় ।অনেকে এই ধরনের পরিবর্তনগুলিকে স্বাগত জানায় না এবং সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে, জিনিসগুলিকে একই ভাবে রাখার জন্য ওজন কমানোর জন্য একজন ব্যক্তির প্রচেষ্টাকে সেভাবে উৎসাহিত নাও করতে পারে। বরং অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাসকে আরও বাড়াতে পারে। অধ্যাপক ওগডেন আরও বলেন “লোকেরা বিভিন্ন কারণে ওজন কমানোর চেষ্টা করে, তা তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য হোক বা নিজেদের সম্পর্কে ভাল বোধ করার জন্য হোক।  বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কাছ থেকে সমর্থন মানুষকে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি অমূল্য হাতিয়ার হতে পারে তবে কখনও কখনও তাদের সবচেয়ে কাছের লোকেরা তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।

উৎস: “Sabotage, Collusion, and Being a Feeder: Towards a New Model of Negative Social Support and Its Impact on Weight Management” by Jane Ogden and Sophia Quirke-McFarlane; Current Obesity Reports 2023: DOI: 10.1007/s13679-023-00504-5

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

মণিপুরের সামগ্রিক উন্নয়ন বর্তমান সমস্যার সমাধান হতে পারে

উত্তরাপথ: মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায় তফসিলি উপজাতির তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি অব্যাহত রাখবে এবংআন্দোলন তীব্রতর করবে বলে খবর। অন্যদিকে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ, কিছু পাহাড়ি উপজাতির একটি তড়িঘড়ি তৈরি করা ছাতা সংগঠন,তারা মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই পরিস্থিতি আরও অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলছে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। যদিও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।  কিন্তু এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে দীর্ঘ .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top