উত্তরাপথ


এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজন হচ্ছে ভারতের মাটিতে। ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে সূচিও।আর তাতেই শুরু হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্বাচনে নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ। ঘোষণা মত এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এবং ফাইনালও হবে একই ভেন্যুতে। দুইটি সেমিফাইনাল হবে মুম্বাই ও কলকাতায়। এছাড়া দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, পুনে, লক্ষ্ণৌ ও ধর্মশালাতেও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু মোহালি, ইন্দোর এবং নাগপুরের মতো ভেন্যুতেই নেই কোনো ম্যাচ। যে কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি ভেন্যু নির্বাচনে রাজনীতির অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
ইন্দোরে ম্যাচ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আভিলাষ খান্ডেকার বলেন, ১৮৯৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচ আয়োজন করেছিল ইন্দোর। এই ভেন্যুকে বাদ দেওয়ায় আমাদের খুব খারাপ লেগেছে। আমি জানি না, বিসিসিআইয়ের ওপর কোনো চাপ ছিল কি না বা বাধ্যবাধকতা ছিল কি না। তবে ইন্দোরের ক্রিকেট সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। এজন্যই আমরা আশা করেছিলাম যে বিশ্বকাপের ম্যাচ আমরা পাব। ’
যেই মোহালিতে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবার সেটিতেও নেই কোনো ম্যাচ। এতে হতাশ পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী গুরমিত সিং মান বলেছেন, রাজনীতির চালের কথা। প্রকাশ করেছেন নিজের ক্ষোভ।
তিনি বলেছেন, এখান থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক মহাতারকার জন্ম হয়েছে, যে স্টেডিয়ামকে দেশের সেরা ৫ ভেন্যুর মধ্যে রাখা হয়, সেখানে একটি ম্যাচও রাখা হয়নি। অন্যদিকে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের মতো বড় ম্যাচও রাখা হয়েছে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ধর্মশালাও ৫টি ম্যাচ পাচ্ছে। কিন্তু পাঞ্জাব একটিও পায়নি। এতেও পরিষ্কার যে এখানে রাজনীতি খেলা হয়েছে।
নাগপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার মতে, ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তারা যেসব শহর থেকে এসেছেন, সেই ভেন্যুগুলোই শুধু ম্যাচ পেয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু একটি ম্যাচও পেলাম না। এমনকি একটি প্রস্তুতি ম্যাচও না পাওয়াটা হতাশার।
আরও পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন