“মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন” বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে

মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন এর এক দৃশ্য ছবি – উত্তরাপথ

উত্তরাপথঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহুল প্রত্যাশিত বায়োপিক “মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন” বাংলাদেশে ২০০টিরও বেশি হলে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে থাকছে ইতিহাসের জানা অজানা অনেক তথ্য। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ (মুজিব : দ্য মেকিং অব আ নেশন) চলচ্চিত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে এসে এমন কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সিনেমায় ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য ও নতুন অধ্যায় সম্পর্কে বাংলাদেশবাসী জানতে পারবে বলেও আশা শেখ হাসিনার।

বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও‌য়ে বাংলা‌দেশ ফিল্ম আর্কাই‌ভে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শোয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেছেন, “এই চলচ্চিত্র দেখলে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। ইতিহাস কেউ কখনও মুছে দিতে পারে না।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা ইতিহাস জানার জন্য এই চলচ্চিত্রটি সবাইকে দেখার  অনুরোধও করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর নির্মিত এই চলচ্চিত্র নিয়ে। এরই মধ্যেই ইউটিউবে প্রকাশ হয় বায়োপিকের ট্রেলার। এবার সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হল। আগামী কাল শুক্রবার বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। কিছুদিন পরে ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহেও সিনেমাটি মুক্তি পাবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন ভারতের চিত্রনির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, তাজউদ্দিন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ অভিনয় করেছেন। এই সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফিরদৌস আহমেদ, দিঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকির আহমেদ ও মিশা সওদাগর-সহ বাংলাদেশের শতাধিক শিল্পী। এই চলচ্চিত্রে অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী অভিনয়ের জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেননি।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে থাকছে ইতিহাসের জানা অজানা অনেক তথ্য। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘ মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন ‘ চলচ্চিত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে এসে এমন কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সিনেমায় ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য ও নতুন অধ্যায় সম্পর্কে বাংলাদেশবাসী জানতে পারবে বলেও আশা শেখ হাসিনার।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে

উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর  প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে

উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top