

অনুষ্ঠান মঞ্চে শাহরুখ খানের এই ছবি এক্স হ্যান্ডেল থেকে সংগৃহিত
উত্তরাপথঃ সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন শাহরুখ খান। এখানে ইসরো বিজ্ঞানীদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছিল। এসবের মাঝে কিং খানের একটি অ্যাকশন য সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
পাঁচ বছর পর মিডিয়া ইভেন্টে অংশ নিলেন শাহরুখ খান।এই অনুষ্ঠানের শাহরুখের একটি ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এতে শাহরুখ ইসরোর বিজ্ঞানী পালানিভেল ভিরামুথুভেলের সঙ্গে দেখা করেন। পালানিভেল চন্দ্রযান ৩ মিশনের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। এই ইভেন্টের গ্রুপ ছবি তোলার সময় মঞ্চের পেছনের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন পালানিভেল, ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেন শাহরুখ ,তারপর শাহরুখ তার সাথে যা করেছিলেন তাতে যে সামাজিক মাধ্যমে জনগণ মুগ্ধ হয়ে যান তার ব্যবহারে।
ঘটনার সূত্রপাত যখন অ্যাওয়ার্ড শো শেষ হচ্ছিল, সমস্ত অতিথিরা ছবি তুলতে মঞ্চে এসেছিলেন। শাহরুখ মঞ্চে উঠার সাথে সাথে পালানিভেল ভিরামুথুভেল তাকে দাঁড়ানোর জায়গা দেন। আর তিনি নিজেই আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে লাগলেন। জনসাধারণ এর থেকে অনুমান করেছিল যে সম্ভবত পালানিভেল একজন লাজুক ব্যক্তি । তাই লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। সে কারণেই তিনি কিং খানের কাছে তার জায়গা ছেড়ে দিয়ে পেছনে চলে যান। কিন্তু শাহরুখ তার হাত ধরে তাকে তার পাশে দাঁড় করিয়ে দেন ছবি তোলার জন্য। আর সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
পালানিভেল ভিরামুথুভেলের জন্য অভিনেতার এই ভঙ্গি প্রশংসিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে অভিনেতা নিশ্চিত করেছেন যাতে পালানিভেলও এই মুহূর্তটি উপভোগ করতে পারেন। তার আগে, অ্যাওয়ার্ড শো চলাকালীন, বীরমুথুভেলের সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইসরো চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং তাঁকে এই পুরস্কার দিচ্ছিলেন। এরপর তিনি মজা করে সোমনাথকে ‘মহাকাশের শাহরুখ খান’ বলে ডাকেন।শাহরুখ খানের এই আচরণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। মানুষ তার ভূয়সী প্রশংসা করছে।
এক ভক্ত লিখেছেন, শাহরুখ খানের এই ব্যাপারটা কেউ খেয়াল করেনি। ইসরোর একজন বিজ্ঞানী একটি গ্রুপ ছবির সময় তাকে তার জায়গার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর সে নিজেও পিছনে কোথাও দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল। কারণ সেই সময় তিনি শাহরুখ খানের সামনে খুব নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু শাহরুখ তাকে টেনে তার পাশে দাঁড় করিয়ে দেন। এটি প্রমান করে কিং খান কেমন মানুষ।”
আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন,“এই ছোট জিনিসগুলিই শাহরুখ খানকে কিং খান করে তোলে। এত সাফল্য অর্জনের পরেও, যদি একজন ব্যক্তি নম্রতার শিল্প শিখতে চান এবং অন্যদের এত সম্মান দিতে চান, শাহরুখ খান একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।“
এই অ্যাওয়ার্ড শোতে অভিনেতা জানান, তার জীবন ও ক্যারিয়ারের সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, গত তিন-চার বছর তার জন্য খুবই কঠিন ছিল।তার ছবিতে কাজ হয়নি । তার পরিবারকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়গুলো তাকে নীরবে এবং পূর্ণ পরিশ্রম ও মর্যাদার সাথে কাজ করতে শিখিয়েছে। “
আরও পড়ুন
Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন
উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন