উত্তরাপথ
সিঙ্গুর এখন অতীত, পার্থক্য একটাই আগের মতো ঢাক ঢোল পেটানোর দরকার হয়নি। হয়তো টাটারা বুঝেগিয়েছিলো রাজনৈতিক দলগুলোর লাভ হলেও টাটাদের কোনো লাভ হবে না। পশ্চিমবঙ্গে ন্যানোর কারখানা তৈরিতে ব্যর্থ হয়ে টাটা, গুজরাটে ন্যানোর কারখানা স্থাপন করে। তবে গাড়িটির বাজার চাহিদা না থাকার কারনে বন্ধ হয়ে যায় এই কোম্পানিটি। তাই টাটা হিটাচির এই কর্মকান্ডে মেদিনীপুর তথা বাংলায় খুশির হাওয়া। আগের বারের ঘটনার মতো কোনরকম ক্ষোভ নেই কোম্পানি, সরকার তথা বিরোধীদের মধ্যে। ২০০৯ সাল থেকে খড়্গপুরে টাটা-হিটাচির একটি উৎপাদন ইউনিট ছিল। সিঙ্গুর পর্বে সেখানেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। আজ সেখানে তৈরি হচ্ছে মিনি এক্সকাভেটর, হুইল লোডার, ব্যাক হো লোডার, ডাম্প ট্রাক ইত্যাদি। ২০১৪ সালে, কারখানাটি বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে রপ্তানি শুরু করে। সম্প্রতি খড়্গপুরে টাটা মেটালিকস ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের দ্বিতীয় কারখানা তৈরি করেছে যেটি কিছুদিন আগেই উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে মমতা জানান সম্প্রতি, টাটা গোষ্ঠী রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আরো ১০০ একরের বেশি জমি কিনেছে। নতুন এই ইউনিটে উৎপাদন আরও বাড়াবে। টাটার এই নতুন প্রকল্প আগামী কয়েক বছরে ৪১ লক্ষেরও বেশি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উপকৃত হবে। তিনি আরো বলেন টাটা হিটাচি -এর নতুন ইউনিট বীরভূমের দেউচা-পাচামিতে কয়লা উত্তোলনের পর্যায়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ জামশেদপুর থেকে তাদের কারখানা খড়্গপুএ নিয়ে এসেছে সঙ্গে তাদের ওখানকার কর্মীদের পুরোপুরি ভাবে নিয়ে এসেছে।
টাটা স্টিলের আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান টাটা স্পঞ্জ আয়রন লিমিটেডের কারখানা ও তার পরিচালনা পর্ষদ ওডিশার কেওনঝারে জোদা থেকে বাংলায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই কোম্পানির সদর দফতর কলকাতায় আনা হয়েছে। রাজ্যে গত ১০-১২ বছরে বাংলায় তাঁদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। TCS কলকাতায় তাদের কর্মীর সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করেছে (২০১১ থেকে ২০২১)। শুধু তাই নয়, নিউটাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে তারা ইতিমধ্যে আরো ২০ একর জমি নিয়েছে এবং সঞ্চয়িতা পার্ক বানিয়েছে (TCS গীতাঞ্জলি পার্ক ক্যাম্পাসের পাশে)। IHCL ( টাটা গ্রুপের হসপিটালিটি চেন) বাংলায় তাদের হোটেলের সংখ্যা ১ থেকে বাড়িয়ে ১০ করেছে গত কয়েক বছরে।
টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে যৌথ উদ্যোগে দুটো ক্যান্সার ইউনিট তৈরি করেছে – SSKM ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজে।
আরও পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
মণিপুরের সামগ্রিক উন্নয়ন বর্তমান সমস্যার সমাধান হতে পারে
উত্তরাপথ: মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায় তফসিলি উপজাতির তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি অব্যাহত রাখবে এবংআন্দোলন তীব্রতর করবে বলে খবর। অন্যদিকে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ, কিছু পাহাড়ি উপজাতির একটি তড়িঘড়ি তৈরি করা ছাতা সংগঠন,তারা মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই পরিস্থিতি আরও অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলছে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। যদিও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে দীর্ঘ .....বিস্তারিত পড়ুন
শালডিহা কলেজের ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স
উত্তরাপথঃ বাঁকুড়া জেলার শালডিহা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সমীর কুমার মণ্ডল এর উদ্যোগে এবং Mahindra Group - এর Mahindra Pride Classroom ও Naandi Foundation -এর যৌথ উদ্দগ্যে শুধু মাত্র ছাত্রীদের জন্য ৭ দিনের (৪০ ঘন্টা) একটি সার্টিফিকেট course -এর আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রকম স্কিল নিয়ে বিশদে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে হল communication skill, soft skill, life skill, presentaion skill ও interview skill ইত্যাদি। Mohindra Educator -এর ভূমিকাই আসেন সরোজ রাই। তিনি মনে করেন, এই জাতীয় প্রশিক্ষণ শালডিহার মতো প্রান্তিক কলেজের মেয়েরা খুবই উপকৃত হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশা করে ভবিষ্যতে মাহিন্দ্রা গ্রুপ এই কলেজে ক্যাম্পাসিং এর .....বিস্তারিত পড়ুন
Green Washing থেকে সাবধান
প্রিয়াঙ্কা দত্ত, রঘনাথপুর: আপনি নিশ্চয়ই একজন পরিবেশ সচেতন নাগরিক? যদি নাও হন তবুও বাজার চলতি ভোগ্যপণ্য খরিদ করার সময় আপনি কি এখন একশ শতাংশ প্রাকৃতিক দ্রব্য কিনতেই পছন্দ করেন? এবং কেনেন? প্রসাধন দ্রব্য কেনার সময় কি আপনি নিম ,তুলসী, চন্দন বা গোলাপের নির্যাস যুক্ত জিনিসই কেনেন ? আর জামাকাপড়? একশ শতাংশ পচনশীল পদার্থ দিয়ে তৈরী? টুথ পেস্ট থেকে আরম্ভ করে তেল, সাবান, শাম্পু কিংবা ভোজ্য তেল , ফ্রুট জুস বা খাবার জিনিস! সব কিছুতেই আপনি পরিবেশে বান্ধব প্যাকেজিং এবং সম্পূর্ন প্রাকৃতিক এই লেবেল দেখেই কিনছেন। তাই না? বর্তমান যুগের .....বিস্তারিত পড়ুন