২৪ জানুয়ারি হিন্ডেলবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের সাথে তার প্রভাব পড়ে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। শুরু হয় শেয়ারের রেকর্ড পতন। শেয়ারবাজারের এই পতনের প্রভাব পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উপর । ৩০ জানুয়ারি এলআইসি পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয় আদানি গ্রুপের স্টক গুলির ক্রয় মূল্য ছিল ৩০.১২৭ কোটি টাকায়, বর্তমানে তা প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।অন্যদিকে এসবিআই সহ দেশের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক আদানি গোষ্ঠীকে প্রায় ৮১,২০০ কোটি টাকার লোন দিয়েছিল। শুধুমাত্র এসবিআই এর বিনিয়োগ আদানি গোষ্ঠীসমূহতে ২৭,০০০ কোটি টাকা। ২৪ জানুয়ারির আগে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপের সর্বোচ্চ স্তর ছিল প্রায় ২৫ লাখ কোটি। সেই স্তর থেকে আদানি শেয়ারের মূল্য মাত্র এক মাসে ৭১ শতাংশের বেশি কমেছে । বাজার মূল্যর দিক থেকে ১৭.৮ লক্ষ কোটির বেশি।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘বীমা এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন ‘ ব্যাঙ্কে জমা করা টাকার পরিমানের উপর সাধারণ মানুষের জন্য বীমা সুরক্ষার গ্যারান্টি দেয়। এমনকি যদি একটি ব্যাঙ্ক লোকসানে যায় বা ব্যর্থ হয়,তবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মানুষের অমানত সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকে। এসবিআই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্থ সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক অন্যদিকে এলআইসি ভারতের সবচেয়ে বড় বীমা প্রতিষ্ঠান তাই এই দুটি প্রতিষ্টানের গ্রাহকদের তাদের সঞ্জিত টাকা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ ছিলনা ২৪ জানুয়ারির আগে পযর্ন্ত। কিন্তু ২৪ জানুয়ারির পর আদানিগোষ্ঠীকে বাঁচাতে বা নিজেদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে আর কোনও লোন দিয়েছে কিনা,কত টাকা লোন দিয়েছে বা কত টাকা বিনিয়োগ করেছে তার কোনও তথ্য নেই । এই মুহূর্তে সরকারের কাছে আদানি সবচেয়ে বড় কাঁটা সেইসাথে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা যা এলআইসি ও এসবিআইএ জমা আছে সেগুলিকে সুরক্ষিত রাখা। সামনেই ২০২৪ এ নির্বাচন।
আরও পড়ুন
টাইফুন ইউন-ইউং এর আজ জাপানের টোকাই অঞ্চলে প্রত্যাশিত ল্যান্ডফল
উত্তরাপথঃ জাপানের জনগণ টাইফুন নং ১৩ যা ইউন-ইউং নামে পরিচিত যা শুক্রবার বিকেলের দিকে টোকাই অঞ্চলে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে নাগোয়া অবস্থিত। জাপান ইতিমধ্যে এর আগমনের জন্য নিজেদের আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছিল টাইফুন ১৩। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার টোকাই এবং কান্টো অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করছে, যা পরিবহন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।আবহাওয়া দপ্তরের মতে শুক্রবার সকাল ৬ টা নাগাদ ২৪ঘন্টা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ইজু দ্বীপপুঞ্জে ২৫০ মিলিমিটার, টোকাই অঞ্চলে ১৫০ মিলিমিটার এবং কান্টো-কোশিন অঞ্চলে ১০০ মিলিমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) .....বিস্তারিত পড়ুন
মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন
উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন
লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা
মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন
Diabetes Treatment: রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে ডালিয়া ফুলের নির্যাস কার্যকর
উত্তরাপথঃ ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষণায় ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Otago)নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে আবিষ্কার করেছে যে ডালিয়া ফুলের পাপড়ির নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। সেন্টার ফর নিউরোএন্ডোক্রিনোলজির একজন সহযোগী অধ্যাপক আলেকজান্ডার টুপসের( Alexander Tups) নির্দেশনায়, দলটি খুঁজে পেয়েছে যে, উদ্ভিদের একটি অণু, যা মস্তিষ্কে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য শরীরের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।প্রসঙ্গত ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় ব্যাধি যা অপর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়। .....বিস্তারিত পড়ুন