ইলন মাস্ক টেসলাকে ভারতের বাজারে আনার বিষয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী‘

উত্তরাপথ

সম্প্রতি খবরে প্রকাশ এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন টেসলা খুব শীঘ্র ভারতের বাজারে প্রবেশ করছে।কিছুদিন আগে আমেরিকায় ইলন মাসের সাথে প্রধান মন্ত্রী মোদীর চূড়ান্ত কথা –বার্তা হয়েছে বলে খবর। টেসলা বিখ্যাত বৈদ্যুতিক যান (EV) কোম্পানি যা তাঁর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আংশিকভাবে স্বয়ংক্রিয় বৈশিষ্ট্যের জন্য ইতিমধ্যেই পরিবেশবাদীদের প্রশংসা অর্জন করেছে ।ইলন মাস্ক  তাঁর টুইটারে জানিয়েছেন যে তিনি ‘আত্মবিশ্বাসী “ টেসলা খুব শীঘ্রই ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করবে।

বর্তমানে ভারত তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে যা টেসলার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ । ভারত বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানির দূষণ এবং নির্ভরতা কমাতে বৈদ্যুতিক মাধ্যমের উপর জোর দিচ্ছে। ভারত সরকার বৈদ্যুতিক যান (EV) ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য বিভিন্ন নীতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

ইলন মাস্ক টেসলাকে ভারতের বাজারে আনার বিষয়ে তার আগ্রহ সরাসরি প্রকাশ করেছেন।তিনি বেশ কয়েকটি টুইটার সাক্ষাত্কারে, বৈদ্যুতিক গাড়ির উচ্চ সম্ভাবনা এবং চাহিদা উল্লেখ করে ভারতীয় বাজারের জন্য তার উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় অনুসারীদের সাথে মাস্কের কথাবার্তা দেশে টেসলার প্রবেশকে ঘিরে প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতীয় ভোক্তাদের মধ্যে বৈদ্যুতিক যান নিয়ে আগ্রহ থাকলেও সরকারের কিছু নীতি বিদেশী কোম্পানিগুলির ভারতের বাজারে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।বর্তমানে ভারত সরকার ইলেকট্রিক গাড়ির আমদানি শুল্ক কমানো সহ ইভি সম্পর্কিত নীতি এবং বিধিগুলিকে স্ট্রিমলাইন করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ।

আমাদের দেশে টেসলার উপস্থিতি শুধুমাত্র ভোক্তাদের উচ্চ-মানের বৈদ্যুতিক গাড়ি দেবে না বরং দেশের ক্লিন এনার্জি লক্ষ্যে অবদান রাখবে সেই সাথে বায়ু দূষণ, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে ।আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে পেট্রোল ও ডিজেলের পরিবর্তে অধিক মাত্রায় বৈদ্যুতিক যানের ব্যবহার আমাদের স্থানীয বাস্তুতন্ত্রের বিকাশকে সাহায়্য করবে ।  

টেসলার ভারতে প্রবেশের প্রত্যাশায় সম্ভাব্য ক্রেতারা টেসলা গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন৷ উদ্ভাবন, কর্মক্ষমতা এবং স্থায়িত্বের জন্যএই কোম্পানির খ্যাতি আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী ফ্যান বেস অর্জন করেছে।

টেসলাকে ভারতে আনার ক্ষেত্রে এলন মাস্কের আস্থা বিশ্ব বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) ল্যান্ডস্কেপে ভারতকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে ।টেসলার আগমন শুধুমাত্র স্বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরী শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে না ,পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটা কম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন

উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি  তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন

Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি

উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা  ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top