কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়  পুরো শরীর পরীক্ষা করানো দরকার?

প্রীতি গুপ্তা

আমাদের  স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়  পুরো শরীর পরীক্ষা করানো দরকার। কারন আমাদের শরীরে এমন অনেক সমস্যা হতে পারে যেগুলি প্রারম্ভিক পর্যায়ে বোঝা না গেলেও  পুরো বডি চেকআপের মাধ্যমে আগে থেকেই রোগ শনাক্ত করা যায়।এবং  গুরুতর হওয়ার আগেই আমরা  চিকিৎসা  পেতে সক্ষম হব।  এমন পরিস্থিতিতে,সকলের জানা উচিত যে পুরো শরীর পরীক্ষা করার সময় কোন পরীক্ষা করা হয় এবং তাদের সুবিধাগুলি কী। 

 সম্পূর্ণ বডি চেকআপে পরীক্ষা

 সম্পূর্ণ বডি চেকআপে রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা, ব্লাড সুগার, কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা ইত্যাদি ধরা পড়ে।  ডেঙ্গু বা ফ্লু ইত্যাদির লক্ষণও রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।  প্রস্রাব পরীক্ষা, চোখ ও কান পরীক্ষা, লিপিড প্রোফাইল, কিডনি ফাংশন পরীক্ষা, ক্যান্সার পরীক্ষা, লিভার ফাংশন পরীক্ষা ইত্যাদি সম্পূর্ণ বডি চেকআপ করা হয়।  এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমে ডাক্তার আপনার শরীরের অবস্থা মূল্যায়ন করে।  শুধুমাত্র এর পরে তারা আপনার আর কোন পরীক্ষা করা উচিত তার  পরামর্শ দেয়।  অনেক সময় ডাক্তাররা এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন।  তবে এটি ব্যক্তির পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।  ব্যক্তির অবস্থা অনুযায়ী আল্ট্রাসাউন্ডেরও পরামর্শ দেওয়া হয়।  ইকোকার্ডিওগ্রাফি, ইসিজি, ট্রেডমিল টেস্ট করারও  প্রয়োজন হয় ।

  সতকর্তা – 

 সম্পূর্ণ বডি চেকআপ করানোর আগে কয়েকটি ব্যাপারে আগাম সতর্কতা জরুরী,  প্রথমে আপনার ডাক্তারকে জানাতে  হবে যে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা সেইসাথে আপনি বর্তমানে কোনো ওষুধ খাচ্ছেন কিনা সেটাও জানাতে হবে।

এ ছাড়া শরীরে অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তা দ্রুত চিকিৎসককে জানাতে হবে।আপনার যদি কোনো গুরুতর রোগ হয়ে থাকে এবং এর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, তাহলে চিকিৎসা চলাকালীন আপনার ডাক্তারকেও জানাতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে, ডাক্তার আপনাকে সঠিক পরীক্ষা করার পরামর্শ দেবে। পারিবারিক ইতিহাসে কোনো রোগ থাকলেও তা চিকিৎসককে জানাতে হবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


রাহুলের ভারতজোড় সাফল্য পেলেও, অভিষেক কি পারবে ?

উত্তরাপথ: রাহুল গান্ধীর ১৪৬ দিনের প্রায় ৩৮৫০ কিলোমিটার ভারতজোড় যাত্রার সাফল্য কংগ্রেস ঘরে তুলতেই তৃনমূলের নতুন উদ্যোগ জনসংযোগ যাত্রা।এই যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০ দিনে ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ " জনসংযোগ " করবেন। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা রাজ্যের সবচেয়ে দক্ষিণ প্রান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপে শেষ হবে। এই পুরো যাত্রায় অভিষেক মোট ২৫০টি সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এখন প্রশ্ন তৃণমূল তথা অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর ভারতজোড় যাত্রার উদ্দেশ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার

উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর  সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top