![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/09/image-189.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/09/image-189.png)
উত্তরাপথঃ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ডেঙ্গু হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাল সংক্রমণ যা ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে জীবন-হানির জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মশাবাহিত এই রোগে কলকাতা সহ সারা রাজ্যে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত । একইসঙ্গে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য সরকার। প্রশাসনিকস্তরে চলছে একের পর এক বৈঠক। জেলাস্তরে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশিকা। সেইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের তরফে মানুষকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর সামনে আসছে । তাই সীমান্তরর্তী জেলাগুলির জেলাশাসকদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে । সেখানে ডেঙ্গির মশার উৎসগুলিকেই নির্মূল করার ওপরে বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশকিছু সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শহরাঞ্চলে বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহ-সহ যথাযথ সাফাই অভিযান চালাতে হবে। যে সমস্ত জায়াগাগুলিতে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি, সেখানে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।সেইসাথে. দুই দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডেঙ্গি টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সকল সম্পত্তির মালিক ডেঙ্গিবিধি মেনে চলছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রেল, বন্দর, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি এবং অন্যান্য শিল্প-সহ কেন্দ্রীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিটগুলিকে তাদের এলাকায় সঠিক সাফাই অভিযানের অনুরোধ করা হয়েছে।সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক না ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য সবপক্ষকে নিয়ে নিয়মিতভাবে রিভিউ মিটিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং হোম কেয়ারে থাকা সমস্ত ডেঙ্গি রোগীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও হোম কেয়ারে থাকা রোগীদের আরও কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেমন -জ্বর এবং শরীরে ব্যথার জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামলের খান।
কোনও পেইন কিলার খাবেন না।প্রচুর জল ও ফলের রস খান।
কোনও রকম কো-মর্বিডিটি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় সরকার চাইছেন,প্রতিটি ব্যক্তি যেন একক ভাবে সচেতন হন ,তাহলেই এই রোগের বাড়াবাড়ি অনেকটা কমানো যাবে।
আরও পড়ুন
সীমানা
অসীম পাঠক: কল্লোলিনী তিলোত্তমার অভিজাত বেলভিউ নার্সিং হোমের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শোরগোল পড়ে গেলো, ডাক্তার নার্স সবার ছুটোছুটি। সিনিয়র ডক্টর মিঃ লাহিড়ী সব শুনে চমকে গেলেন, অস্ফুটে গলা থেকে বেরোলো তাঁর "ইটস এ রেয়ার কেস অফ মেডিক্যাল সায়েন্স "। তারপর স্টেথো টা ঝুলিয়ে রিভলভিং ছেড়ে উঠতে উঠতে বললেন , " ইমিডিয়েট বাড়ির লোকেদের খবর দিন " …..বিশ্বজিৎ মজুমদার কুড়ি বছর কোমাতে। আজ ই রেসপন্স করছেন ।সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে ,জন্ম মৃত্যুর সীমানা থেকে তিনি তখন জেগে উঠেছেন, অবচেতনের সব জাগতিক অনুভূতি থেকে .....বিস্তারিত পড়ুন
১ কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে
উত্তরাপথ: গুয়াহাটির একটি স্থানীয় আদালতে আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের (এপিডব্লিউ) সভাপতি অভিজিৎ শর্মার রাজ্যসভার সাংসদ এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ১কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে। অভিজিৎ শর্মার অভিযোগ রঞ্জন গগৈ তার আত্মজীবনী জাস্টিস ফর এ জাজে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ করেছে । তাই তিনি প্রকাশক গগৈ এবং রুপা পাবলিকেশন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন এবং কোনও বই প্রকাশ, বিতরণ বা বিক্রি করা থেকে বিরত রাখার জন্য অন্তবর্তী .....বিস্তারিত পড়ুন
যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি
ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন
স্বপ্নপূরণ না হলেও জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ
উত্তরাপথ: দোহায় ডায়মন্ড লিগে জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া কিন্তু তার জ্যাবলিনে ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার স্বপ্নপূরণ হল না । দোহায় তার জ্যাভিলিন থামল ৮৮.৬৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। গতবছরও এই লিগে প্রথম পদক জিতেছিলেন নীরজ। দোহার সুহেম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে প্রথমবার জ্যাভলিন ছুড়েই চমক দেন নীরজ। প্রথমবারেই তার জ্যাভলিন চলে যায় ৮৮.৬৭ মিটার। ২০২২ সালে জুরিখের ডায়মন্ড লিগে সফলতা হয়েছিলেন নীরজ এবং টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন তিনি। তার লক্ষ্য ছিল ৯০ মিটারের গণ্ডি পেরনোর কিন্তুসেই লক্ষ্য .....বিস্তারিত পড়ুন