উত্তরাপথ
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-5.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-5.png)
তীব্র তাপদাহে ৬৫০০ হাজি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সৌদিতে। তাদের সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসা দিচ্ছে দেশটির মেডিকেল টিম। সৌদি গণমাধ্যম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ আল-আব্দুলালি জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ।সৌদি টিভি আল এখবারিয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ভোরে পবিত্র শহর মক্কার কাছে মিনা উপত্যকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।আল-এখবারিয়া টিভির সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন সৌদি নিরাপত্তা কর্মী একজন হাজিকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঠান্ডা করার জন্য জল ছিটাচ্ছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাজিদের সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া বুধবার (২৮ জুন) শুরু হওয়া শয়তানকে পাথর মারার প্রতীকী আচার সম্পাদনের জন্য অনুকূল সময় বেছে নিতেও বলেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং অন্যান্য তরল পানের পাশাপাশি সূর্য থেকে রক্ষা করার জন্য ছাতা ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর , মক্কা ও মদিনায় গত ৩৯ দিনে ১ লাখ ১১ হাজার ৭৬১ হাজি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পেয়েছেন। এ বছর হাজিদের সেবায় সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোতে মোট ১৭২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৪০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও ৩২টি হাসপাতাল হাজিদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছে ।গত বছরের হজ মৌসুমে সাফল্যের পর ভার্চুয়াল হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এটি এ বছরও চালু রাখা হয়েছে। এ বছর পবিত্র স্থানগুলোতে আরও ভার্চুয়াল ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। হাজিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ৩২ হাজারের ও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত রয়েছে ।
আরও পড়ুন
বঞ্চনার আর এক নাম শবর
বলরাম মাহাতো: শবর কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ‘সগর’ থেকে। ‘সগর’ শব্দের অর্থ হলো কুঠার। বোঝাই যাচ্ছে, শবররা কুঠার হাতে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। সেখান থেকেই শবর নামটির প্রচলন হয়। শবররা বাস করেন পশ্চিম বাংলা, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশ, ছোটনাগপুর আর উড়িষ্যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে শবরদের সংখ্যা ২,০০০ এর কিছু বেশি। শবর কোনো একজনের নাম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর নাম। বর্তমানে ভারতে এই শবর জনগোষ্ঠী একটি .....বিস্তারিত পড়ুন
শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি: স্লিপ অ্যাপনিয়া দীর্ঘ কোভিড ঝুঁকির সাথে যুক্ত
উত্তরাপথ: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রিকভার ইনিশিয়েটিভ এবং এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের একটি সমীক্ষা অনুসারে কোভিড পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষণগুলির জন্য ১২-৭৫% কোভিডের ঝুঁকি বেড়েছে, যা সরাসারি স্লিপ অ্যাপনিয়ার সঙ্গে যুক্ত । অথচ শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি প্রায় নেই । .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন। কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
ওসাকা ক্যাসেল – ঐতিহাসিক এক দুর্গ ভ্রমণ
ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী, টোকিও, জাপান: কেল্লা বা দুর্গ এই নাম শুনলেই কল্পনায় ঐতিহাসিক ঘটনায় মোড়া রোমাঞ্চকর এক ভ্রমণক্ষেত্রের দৃশ্য ভেসে ওঠে। জাপানে এমন শতাধিক দুর্গ আছে যার সৌন্দর্য আজও যেমন বিমুগ্ধকর ঠিক তেমনি তার অতীতের সাদা কালো দিনের গল্প দর্শনার্থীকে অবাক করে। প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে দুর্গ তৈরি হয়ে আসছে, তবে ইতিহাস বলছে দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন ও গৃহ যুদ্ধের কারণে ১৫ শতকের গোড়া থেকে দুর্গের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। সামন্ত যুগে, জাপান বেশ কিছু ছোট ছোট স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায়ই যুদ্ধ ঘোষণা করত এবং .....বিস্তারিত পড়ুন