তৃণমূল, সিপিআই, এনসিপি হারাল জাতীয় পার্টির মর্যাদা

উত্তরাপথ

নির্বাচন কমিশন আপ-কে জাতীয় পার্টির মর্যাদা দিয়েছে, অন্যদিকে তৃণমূল, এনসিপি, সিপিআই এর কাছ থেকে জাতীয় পার্টির মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কমিশন উত্তর প্রদেশে আরএলডি, অন্ধ্রপ্রদেশে বিআরএস, মণিপুরে পিডিএ, পুদুচেরিতে পিএমকে, পশ্চিমবঙ্গে আরএসপি এবং মিজোরামে এমপিসিকে দেওয়া রাজ্য দলের মর্যাদাও প্রত্যাহার করেছে।

আপ ইতিমধ্যেই দিল্লি, গোয়া এবং পাঞ্জাবের একটি রাজ্য দল হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে এবং গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। উপরন্তু, দলটি বিধানসভার একশত আশিটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে। নির্বাচন কমিশন  তার আদেশে উল্লেখ করেন এর সব যোগ্যতার ভিত্তিতে আপ জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআই(এম), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এবং এএপি এখন জাতীয় দল।

কমিশন জানিয়েছে যে এনসিপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে যথাক্রমে নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে রাজ্য দল হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, একটি রাজনৈতিক সংগঠন অন্তত চারটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় দল হিসেবে স্বীকৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি জাতীয় দল হয়ে যায়। একটি রাষ্ট্রীয় দল হিসাবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য, একটি রাজনৈতিক দলকে কমপক্ষে দুটি আসন জিততে হবে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ন্যূনতম ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা

উত্তরাপথ: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদে শনিবার শিলিগুড়িতে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক। এই নিয়োগে ইন্টারভিউতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি বলে ইন্টারভিউয়াররাই বিচারপতির কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

কতো অজানা রে

মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top