পঞ্চায়েত নির্বাচন কার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ না কেন্দ্রীয় বাহিনী?

উত্তরাপথ

নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে । শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ। এবার প্রশ্ন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা কাদের দায়িত্বে? তার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতে স্পষ্ট করেছে, “আমরা নিজেরাই সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট করতে আগ্রহী নই।” এই শুনানির প্রথমার্ধেই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা ভাবতে পারে কমিশন। সেক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি বলেন, “হনুমান জয়ন্তীর সময় আমরা বলেছিলাম সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে। তারা রাজ্যকে সহযোগিতা করতে এসেছিল। এ ক্ষেত্রেও কমিশন চাইলে সহযোগিতা চাইতে পারে। কমিশন ৬ থেকে ১০টি জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যেতে পারে।”

এ প্রসঙ্গে বলতেই গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনলে ভাল হয়। রাজ্য নিজের মতো বাহিনী দেবে। কিন্তু তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখবে কে?” এখানেই প্রধান বিচারপতি কমিশনকে সতর্ক করেন, “মনে রাখতে হবে, সিভিক কিন্তু পুলিশ নয়। তারা পুলিশকে সাহায্য করার কাজে যুক্ত।” চুক্তিভিত্তিক কর্মী কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে যে একাধিক অভিযোগ উঠছে, তাও বলেন প্রধান বিচারপতি।

উল্লেখ্য, শুনানির প্রথমার্ধ শেষের পরই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারকে নীল জলপাইরঙের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার অন্য জেলায় যাবে, অন্য জেলা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এই জেলায় আসবে। যাতে কেউ চিনতে না পারে।”

দ্বিতীয়ার্ধের শুনানির শুরুতেই কমিশনের তরফ থেকেই আদালতে জানানো হয়, “আমরা নিজেরাই সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট করতে আগ্রহী নই।” আদালতে এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে রাজ্য। সেক্ষেত্রে ভোট নিরাপত্তার দায়িত্ব কাদের ওপর বর্তায়, সেটাই দেখার।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top