পদার্থবিদ্যায় নোবেল ২০২৪- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জয়

অধ্যাপক জন জে. হপফিল্ড (বামদিকে) ও অধ্যাপক জিওফ্রে ই. হিনটন (ডানদিকে)। ছবিগুলো NobelPrize এর X-handle থেকে সংগৃহীত।

ডঃ সায়ন বসুঃ নোবেল পুরস্কার সম্বন্ধে বিশ্ব প্রথম জানতে পারে ১৮৯৫ সালে, যখন সুইডিশ আবিষ্কারক, বিজ্ঞানী, এবং শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেল তার উইল বা ইচ্ছাপত্রে এটির কথা উল্লেখ করেন। তিনি নোবেল পুরস্কার পাঁচটি ক্ষেত্রে প্রদানের নির্দেশ দেন: পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তি। প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় ১৯০১ সালে, যা এই বিশেষ পুরস্কার প্রদানের ঐতিহ্যের সূচনা করে। প্রথম নোবেল পুরস্কার পদার্থবিদ্যায় প্রদান করা হয় ১৯০১ সালে, এবং এই পুরস্কার লাভ করেন উইলহেল্ম কনরাড রন্টজেন। তিনি এক্স-রে আবিষ্কারের জন্য এই সম্মান অর্জন করেন, যা চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব ঘটিয়েছিল। তিনি ক্যাথোড রশ্মি নিয়ে কাজ করছিলেন, যা উচ্চ-ভোল্টেজের অধীনে গ্যাস-ভরা টিউবের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ তৈরি করে। একদিন তিনি লক্ষ্য করলেন যে তার টিউবটি কালো কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখার পরও কাছের একটি ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিন উজ্জ্বল হচ্ছে। এর অর্থ ছিল, টিউব থেকে একটি নতুন ধরনের রশ্মি নির্গত হচ্ছে যা কাগজের ভেতর দিয়ে যেতে পারছে। তিনি এই নতুন রশ্মির নাম দেন “এক্স-রে” কারণ এটি ছিল একটি অজানা (অজ্ঞাত) রশ্মি। তাঁর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তিনি দেখতে পান যে এই রশ্মি মানব শরীরের মাংসের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, কিন্তু হাড় আটকে দেয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই প্রথমবার মানুষের হাড়ের ছবি তোলা হয়, যা এক্স-রে ইমেজিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করে। 

এরকমই নানান আবিষ্কার যেগুলির মানবসভ্যতায় অবদান বিপুল, সেগুলিকেই নোবেল পুরস্কারের জন্যে মনোনীত করা হয় প্রতি বছর| ১৯০১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পদার্থবিদ্যায় মোট ১১৭টি নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে, যা ২২৫ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জন বারডিন একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুবার ফিজিক্সে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন (১৯৫৬ এবং ১৯৭২ সালে)। প্রথম পুরস্কার পান ১৯৫৬ সালে ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের জন্য এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭২ সালে সুপারকন্ডাক্টিভিটির তত্বের জন্য​| তবে এই পুরস্কারটি ৬টি বছরে প্রদান করা হয়নি: ১৯১৬, ১৯৩১, ১৯৩৪, ১৯৪০, ১৯৪১ এবং ১৯৪২। এর মূল কারণ ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। কিছু বিজ্ঞানী পদার্থবিদ্যায় এই পুরস্কার পাওয়ার সাথে সাথে নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, আলফ্রেড ফাইনম্যান (১৯৬৫) এবং অ্যান্ড্রে গেইম (২০১০) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন| বলে রাখা ভালো, ভারত থেকে এখনো পর্যন্ত মোট ৯ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এঁদের মধ্যে সিভি রামন (১৯৩০) এবং সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখর (১৯৮৩), এই দু’জনই পদার্থবিদ্যায় এই পুরস্কার পেয়েছেন।

২০২৩ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন পিয়েরে আগোস্তিনি, ফেরেঙ্ক ক্রাউসজ, এবং অ্যান ল’হুইলিয়ার। এই পুরস্কার তাদের অ্যাটোসেকেন্ড পালসের উৎপাদনের জন্য দেওয়া হয়েছে, যা কণার গতিশীলতা অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই গবেষণার মাধ্যমে তারা কণা এবং পদার্থের মধ্যে আন্তঃক্রিয়াগুলির বিশদ বিশ্লেষণ করার নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি। এদের কাজের মাধ্যমে কণার গতি এবং সেগুলির আচরণ সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, যা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কোয়ান্টাম মেকানিক্সে, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে। 

২০২৪ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিনটন। তারা কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের (Artificial Neural Network (ANN)) উপর ভিত্তি করে মেশিন লার্নিং (Machine Learning) প্রযুক্তির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এই গবেষণা মানুষের মস্তিষ্কের গঠনের অনুপ্রেরণা থেকে এসেছে এবং তারা পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন ধারণা ব্যবহার করে এমন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন, যা প্যাটার্ন চিনতে এবং শিখতে পারে। তাদের কাজ ১৯৮০-এর দশকে শুরু হয়েছিল এবং এখন এটি চিত্র শ্রেণিবিন্যাস, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত প্রযুক্তিগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে| অধ্যাপক জন জে. হপফিল্ড (John J. Hopfield) হলেন একজন পদার্থবিদ, যিনি ১৯৮০-এর দশকে হপফিল্ড নেটওয়ার্ক উদ্ভাবন করেন। এটি একটি মডেল যা তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করতে পারে, যেখানে পদার্থবিদ্যার স্পিন সিস্টেমের ধারণা ব্যবহার করা হয়। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুপূর্ণ বা বিকৃত চিত্রগুলোকে ধীরে ধীরে সঠিক চিত্রের সাথে মেলানো যায়, যেটি পরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অধ্যাপক হপফিল্ড বর্তমানে আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে (Princeton University) যুক্ত রয়েছেন। তিনি স্নায়বিক নেটওয়ার্ক এবং জীববিজ্ঞানের সাথে পদার্থবিদ্যার মেলবন্ধন নিয়ে কাজ করেছেন এবং তার অবদানের জন্য আগেও বহু পুরস্কার পেয়েছেন। অধ্যাপক জিওফ্রে ই. হিনটন (Geoffrey E. Hinton) হপফিল্ড নেটওয়ার্কের ওপর ভিত্তি করে বোল্টজম্যান মেশিন (Boltzmann Machine) তৈরি করেন, যা তথ্যের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে সক্ষম। তিনি পরিসংখ্যানিক পদার্থবিদ্যার ধারণা ব্যবহার করে কৃত্রিম নেটওয়ার্ককে প্রশিক্ষণ দেন, যা বর্তমানে মুখাবয়ব শনাক্তকরণ, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, এবং চিত্র শ্রেণিবিন্যাসে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বর্তমানে কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Toronto) অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি, তিনি গুগলের সাথে সংযুক্ত রয়েছেন, যেখানে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং গভীর শিক্ষণ (Deep Learning) নিয়ে গবেষণা করেন। হিনটনকে অনেক সময় “ডিপ লার্নিং-এর জনক” বলা হয় তার অবদানের জন্য, যা আজকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) মূল ভিত্তি। 

কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক এবং মেশিন লার্নিং বর্তমানে জ্যোতির্বিদ্যায় ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষত বড় পরিসরে ডেটা বিশ্লেষণ এবং প্যাটার্ন শনাক্তকরণে। যেমন:

এক্সোপ্ল্যানেট শনাক্তকরণ: টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিশাল পরিমাণ তথ্য থেকে ক্ষুদ্র সংকেত আলাদা করতে মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে গ্রহের ট্রানজিট শনাক্ত করে, যা পূর্বে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে খুবই জটিল ছিল।

গ্যালাক্সি শ্রেণিবিন্যাস: কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক দিয়ে গ্যালাক্সির চিত্রগুলি দ্রুত শ্রেণিবিন্যাস করা যায়, যা গ্যালাক্সির আকার ও গঠন বুঝতে সাহায্য করে। এটি বড় ডেটাসেট, যেমন Sloan Digital Sky Survey (SDSS), বিশ্লেষণ করতে খুবই কার্যকর।

গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং: মহাবিশ্বের দূরবর্তী অংশ থেকে আসা আলো যেভাবে বাঁকছে, তা বিশ্লেষণ করতে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। এটি মহাজাগতিক কাঠামো এবং অদৃশ্য পদার্থের (ডার্ক ম্যাটার) গঠন নিয়ে গবেষণায় সহায়ক।

ব্ল্যাক হোল-এর সিগন্যাল শনাক্তকরণ: লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি (LIGO)-তে ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষ থেকে আসা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করতে মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা মানুষের চোখে অনেক সময় অদৃশ্য থেকে যেতে পারে।

এই সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন ধারণার ওপর ভিত্তি করে বড় ডেটা সেট থেকে নির্ভুল তথ্য বের করে আনে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে​।

** লেখক বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার University of Witwatersrand-এ পদার্থবিদ্যা বিভাগে কর্মরত।

বিশেষ প্রতিবেদনঃ পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন

উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি  তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন

PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে

উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top