

উত্তরাপথঃ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রথম বৈঠক চলে।প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও বৈঠকে অংশ নিতে এসেছিলেন।বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ১৭টি রাজ্যের ১৫৫ টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের হারানো আসনগুলি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।খুব দ্রুত বিজেপি তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে। এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু প্যারামিটারের ভিত্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করবে বলে খবর। ‘নম’ অ্যাপে (নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ) জনসাধারণের কাছ থেকে এমপিদের সম্পর্কে মতামত নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও বেশ কিছু সংস্থাকে দিয়ে প্রতিটি মন্ত্রীর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করানো হয়েছে।
অন্তত ৬০-৭০ জন সংসদ সদস্যের টিকিট বাতিল হওয়ার খবর রয়েছে যাদের পারফরম্যান্স ভালো নয় ।দুইবার জয়ী অনেক পুরনো এমপির জায়গায় নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়া হবে বলে খবর। ২০১৯ সালের তুলনায় ৩৩% বেশি মহিলা প্রার্থী থাকবে।লোকসভা নির্বাচনে সর্বাধিক সংখ্যক মহিলা প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।দলের কোর গ্রুপও এ বিষয়ে একমত হয়েছে।বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং স্মৃতি ইরানি সহ রেকর্ড সংখ্যক মহিলাকে কোথায় প্রার্থী করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।একজন সিনিয়র নেতা জানান, গতবারের চেয়ে এবার নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৩ শতাংশ বেশি হবে। ২০১৯ সালে, ৫৩ জন মহিলা বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।৩৩% বেশি,অর্থাৎ ৭০ জন মহিলা এবার টিকিট পেতে পারেন।
এর আগে, কোর গ্রুপের বৈঠকে, ২৩ টি রাজ্যের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা উপস্থাপন করা হয়েছিল।নতুন মুখ নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। আসামের ১৪ টি লোকসভা আসন: বিজেপি ১১ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, জোট ৩ টিতে আসাম গণ পরিষদ (এজিপি) দুটি আসনে বারপেটা এবং ধুবরি থেকে প্রার্থী দেবে এবং ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল) কোকরাঝাড় থেকে একটি আসনে প্রার্থী দেবে।বৈঠকে মধ্যপ্রদেশের সম্ভাব্য নাম নিয়ে এক দফা আলোচনা হয়। ত্রিপুরা, গুজরাট, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডের নাম নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, বিজেপির প্রথম তালিকায় থাকতে পারে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তামিলনাড়ু থেকে প্রার্থী হতে পারেন এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কর্ণাটক থেকে প্রার্থী হতে পারেন। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব, পুরুষোত্তম রুপালা, মনসুখ মান্ডাভিয়া, রাজীব চন্দ্রশেখরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মেয়াদও আগামী দুই বছরে পূর্ণ হবে। তাই লোকসভা নির্বাচনে তাদের মাঠে নামানো নিয়ে চলছে আলোচনা। নির্মলা ও রাজীব কর্ণাটক থেকে, জয়শঙ্কর কেরালা বা তামিলনাড়ু থেকে ভূপেন্দ্র হরিয়ানা বা রাজস্থান থেকে এবং ধর্মেন্দ্র ওড়িশা থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
আরও পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন