মতুয়া ইস্যুতে তৃনমুল-বিজেপি দন্ধ প্রকাশ্যে

উত্তরাপথ

গত কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি তাঁর নবজোয়ার যাত্রার অংশ হিসাবে মতুয়া সম্প্রদায়ের দুর্গ ঠাকুরনগরে পৌঁছন। সেখানে  অভিষেককে কালো পতাকা দেখানো হয় সেই সাথে তাঁকে ঠাকুর ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দিরে ঢুকতে না পেরে মন্দিরের বাইরে পুজো করেন। সেদিনের সেই ঘটনা নিয়ে নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির বাকযুদ্ধ অব্যাহত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে  চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।  তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এখানে আসব।  পারলে আমাকে থামাও। তিনি বলেন, এই বিশৃঙ্খলার জন্য শান্তনু ঠাকুর এবং তার বিজেপির সহযোগীরা দায়ী।  আমি এখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসিনি।  আমি শুধু প্রার্থনা করতে মন্দিরে এসেছি।  কিন্তু তারা মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে তালা দিয়ে আমাকে পূজা করতে দেয়নি।

অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেছেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনের কয়েক ঘন্টা আগে, পুরো মন্দির কমপ্লেক্স রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অভিষেক ব্যানার্জির সহযোগী সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেরাই প্রতিরোধ করেছিল। এই পারস্পরিক বাকযুদ্ধের মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুকান্ত মজুমদার একটি টুইট করেন তিনি বলেন কয়েক মাস আগে, সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অফিসিয়াল টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে মতুয়াদের সবচেয়ে সম্মানিত আধ্যাত্মিক নেতাদের নাম ভুল উচ্চারণ করে সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায়কে অপমান করেছিলেন।আর এখন তৃণমূলের গুন্ডা ভক্তদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটা দেখায় দিদি মতুয়াদের ঘৃণা করে। বিজেপির টুইটের জবাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  শান্তনু ঠাকুর, বিজেপি ও CISF-এক সাথে যেভাবে ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে  জুতা পরে প্রবেশ করেছে তাতে ঠাকুরবাড়ির জায়গার অসম্মান করা হয়েছে এবং মহিলা ভক্তদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার নিন্দা জানাই।তারা রাজনীতির নামে ঠাকুরবাড়ির পবিত্রতা ক্ষুন্ন করেছে।

এদিকে রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঠাকুরবাড়ির মান সম্মান নিয়ে দুই দলের লড়াই মূলত মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের লড়াই। সামনে যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন তাঁর আগে সব দল চায় মতুয়া ভোট বাঙ্ককে নিজেদের অনুকূলে রাখতে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে  

উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে  উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়।  সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সুপার পটেটোর অনুসন্ধান - বিজ্ঞানীরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন

উত্তরাপথঃ আলু বহু শতাব্দী ধরে রান্নার বহুমুখীতা এবং উচ্চ পুষ্টির মানের জন্য খাদ্যের একটি প্রধান উৎস। আলু আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে উৎপাদিত হয়, যা আলুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে । বছরের পর বছর ধরে, বিজ্ঞানীরা আলুর ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টি উপাদান উন্নত করার জন্য এবং আরও ভাল আলুর জাত প্রজননের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আলুর জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন যা আলু গবেষণা এবং প্রজননে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত হবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা । .....বিস্তারিত পড়ুন

মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প

উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে।  রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত।  রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে কিছু মাছের প্রজাতি সঙ্কুচিত হচ্ছে

উত্তরাপথঃ আমাদের গ্রহে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা আমাদের পরিবেশের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করছে।সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে কিছু মাছের প্রজাতি সঙ্কুচিত হচ্ছে এর প্রভাবে। বিজ্ঞানীদের করা এই গবেষণাটি আমাদের মহাসাগরের উষ্ণায়নের প্রত্যক্ষ পরিণতি বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকদের একটি আন্তর্জাতিক দল দ্বারা পরিচালিা সাম্প্রতিক এই গবেষণায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছের জনসংখ্যা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে কড এবং হ্যাডকের মতো বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সহ অসংখ্য প্রজাতির আকার গত কয়েক দশক ধরে হ্রাস পাচ্ছে। আকারের এই হ্রাস সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র এবং মৎস শিল্প উভয় ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top