মানভূমে প্রচলিত কৃষিপদ্ধতি সংক্রান্ত প্রবাদ

ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত

সাবেক মানভূম তথা বর্তমান পুরুলিয়া জেলা ও সংলগ্ন অঞ্চলে কৃষিকাজের অনেকগুলি পর্যায় আছে। প্রথমে জমি তৈরি, তারপর শস্য রোপণ,  শস্যের যত্ন করা, শস্য যখন পরিপক্ক তখন তার উপযুক্ত প্রহরার ব্যবস্থা করা,  সময়মতো সেই শস্য ঘরে তোলা এবং কর্ষণ পরবর্তী সংরক্ষণ করা। এই pre- harvest technology ও post- harvest technology- কে কেন্দ্র করে পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজে অনেকগুলি প্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে । প্রথমেই  প্রাজ্ঞ  ব্যক্তিরা কৃষককে তার সুযোগ সুবিধা মত কৃষিকাজে প্রবৃত্ত হতে বলেন। কারণ সেটি ই কৃষকের প্রাথমিক কাজ।

যেদিন রস

সেদিন চষ্।

 ( শব্দার্থ : রস – ‘রস’ অর্থে মাটির সজীবতা বা সরসতাকে বোঝানো হয়েছে।

চষ্ – ‘চষ্’ অর্থে চাষের কাজ করাকে বোঝানো হয়েছে। )

ব্যাখ্যা : আলোচ্য প্রবাদটিতে কৃষিকার্যের মূল সত্যটি প্রকাশ পেয়েছে।  কৃষিকাজের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতিনীতি বা বিধিবদ্ধ নিয়ম কখনই চরম সত্য নয়। চাষের অনুকূল পরিবেশ- পরিস্থিতিই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তাই,  উৎকৃষ্ট ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসল পেতে গেলে দিন, তিথি,  গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি শুভক্ষণের চেয়ে চাষের অনুকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাটি সজীব থাকলে চাষের কাজের অধিকাংশই করা যায়। জমিতে লাঙ্গল দেওয়া, জমি মেরামত করা, আগাছা পরিষ্কার করা, বীজ বপন করা প্রভৃতি চাষের কাজগুলি মাটির সজীবতার উপর নির্ভর করেই করা হয়।

কৃষিকেন্দ্রিক গ্রামবাংলায় দীর্ঘ জীবন- অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আলোচ্য প্রবাদটির উদ্ভব হয়েছে। এই প্রবাদটিতে কৃষকসমাজের প্রতি চাষের অনুকূল পরিবেশ বিষয়ে একটি সাধারণ নির্দেশ রয়েছে। এ সম্বন্ধে প্রচলিত লোকবিশ্বাস হলো যে বার- তিথি- নক্ষত্র নির্বিচারে অনুকূল পরিবেশে চাষ করলে ফলন অবশ্যই ভালো হয়। 

 মানুষের জীবনে আলোচ্য প্রবাদটির প্রাসঙ্গিকতা- 

ব্যবহারিক জীবনেও দেখা যায় যে অনুকূল পরিবেশ পরিস্থিতির যদি আমরা সদ্ব্যবহার করতে পারি তাহলে অধিক সাফল্য পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে ইংরেজি সাহিত্যেও একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে : Strike the iron while it is hot. 

ফসলের উপযুক্ত মাটি প্রস্তুত করা কৃষকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের প্রধান কৃষিজ ফসল আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে স্পষ্ট চারটি পর্যায়ে মাটি প্রস্তুতকরণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে –

উগাল, সামহাল, জাবড়, কাদা-

চারে লিয়েঁ চাষ।

শব্দার্থ: উগাল- জমিতে প্রথমবার লাঙ্গল দেওয়ার কাজ,

সামহাল – জমিকে দ্বিতীয়বার কর্ষণ করা।

জাবড় – জমিতে তৃতীয়বার লাঙ্গল দেওয়ার কাজ।

কাদা – জমিতে চতুর্থ বার লাঙ্গল দেওয়ার কাজ অর্থাৎ চারা রোপণের আগে জমিতে শেষবারের মতো লাঙ্গল দিয়ে কর্দমাক্ত- থকথকে অবস্থা সৃষ্টি করা।

ব্যাখ্যা: ধান চাষের জন্য জমিতে চারবার লাঙ্গল দেওয়া প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গেই আলোচ্য প্রবাদটি পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ধানের উৎকৃষ্ট ফসলের জন্য লাঙ্গল দেওয়ার এই চারটি পর্যায় এতদ্ অঞ্চলে মেনে চলা হয়।  বর্ষার শুরুতেই ধান জমিতে প্রথমবার লাঙ্গল দেওয়া হয়। একে উগাল বলা হয়। জমিতে যখন জল জমে তখন দ্বিতীয়বার কর্ষণ করা হয়। একে সামহাল বলে। সামহালের তিন-চার দিন পর জমিতে তৃতীয়বার লাঙ্গল দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াকে জাবড় বলে। এরপর সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন পরে ওই জমিতে চতুর্থ বার বা শেষবারের মতো লাঙ্গল দেওয়া হয়। একে কাদা বলে। কাদার পর জমিটি চারা গাছ রোপণের উপযোগী হয় এবং ওই দিনেই জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়।

পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজে প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে উপরোক্ত চারটি পর্যায়ে ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি না করলে ভালো ফসল পাওয়া যায় না; তথা ফসলের পরিমাণগত ও গুণগত মান নেমে যায়।

মানুষের জীবনে আলোচ্য প্রবাদের প্রাসঙ্গিকতা –

একজন শিক্ষার্থীকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অনুরূপভাবে একাধিক পর্যায়ে অতিক্রম করতে হয়। যেমন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা বা পেশাদারি শিক্ষা ইত্যাদি। সাধারণ অজ্ঞ মানুষও কাজ করতে করতে বিভিন্ন পর্যায়ে অতিক্রম করে এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করে।

ঘন  কুত্থি , বিরল তিল 

ডেগে ডেগে পাট,

এমনভাবে বুনবি কাপাস

যেন না ঢুকে বাতাস।

( শব্দার্থ : ডেগে ডেগে – প্রতি  পদক্ষেপে, এক পদক্ষেপ স্থান দূরে দূরে )

ব্যাখ্যা : আলোচ্য প্রবাদটি হল কৃষিকেন্দ্রিক গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত বীজ বোনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রবাদ । দীর্ঘ জীবন-অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা এই প্রবাদে বলা হয়েছে কুত্থি বীজ ঘন ভাবে বপন করতে হয় । আর তিল বপনের পদ্ধতি হলো, দূরে দূরে কম পরিমাণ বীজ ছড়িয়ে দিতে হয় । অনেকে তিল বীজ বপন করার সময় তিলের সাথে বালি মিশিয়ে বীজ ছড়ায় । এর উদ্দেশ্যই হলো বীজ যাতে ঘন ভাবে বোনা না হয়। ডেগে ডেগে অর্থাৎ এক পদক্ষেপ দূরে দূরে পাট বুনতে হয় । কার্পাস বীজ বোনার পদ্ধতি একটু স্বতন্ত্র । অত্যন্ত ঘন ভাবে কার্পাস বীজ বুনতে হয় । যাতে তার মধ্যে যেন বাতাসও প্রবেশ করতে না পারে। এইভাবে বীজ বপন করলে ফসল ভালো হয়।

কৃষক বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকেই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে উপরোক্ত পদ্ধতিতে উপরোক্ত বীজগুলি বপন করলে ফসলের পরিমাণগত ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।

মুলার মাটি ধুলা, আর আলুর মাটি তুলা।

( শব্দার্থ : তুলা –  ‘ তুলা ‘ শব্দটি এখানে নরম ও আলগা মাটি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।)

ব্যাখ্যা : বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে মুলার বীজ বপনের সময় যদি মাটি শুকনো ও গুঁড়ো ধুলার মতো করা হয় তাহলে মুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত মান বৃদ্ধি পায় । অনুরূপভাবে আলু চাষের ক্ষেত্রেও দেখা যায় , বীজ বপনের সময় যদি মাটি নরম ও আলগা অর্থাৎ ঝুরঝুরে থাকে তাহলে সেই মাটিতে আলোর উৎপাদন গুণগত ও পরিমাণগত – উভয় দিক থেকেই বেশি হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে , আলোচ্য প্রবাদটিতে মুলা ও আলু চাষের ক্ষেত্রে অনুকূল মাটি তৈরির কথা ব্যক্ত হয়েছে ‌। এক্ষেত্রে প্রচলিত লোকবিশ্বাস হলো যে , উপরোক্ত পদ্ধতিতে মুলা ও আলু  চাষ করলে ফলন ভালো হবেই।

এছাড়াও কৃষিপদ্ধতি সংক্রান্ত অনেক প্রবাদ এই অঞ্চলে প্রচলিত রয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষদের দীর্ঘ জীবন-অভিজ্ঞতা ও জীবনচর্যা প্রকাশ লাভ করেছে এই কৃষি কেন্দ্রিক প্রবাদগুলির মধ্য দিয়ে । এগুলি এখানকার চাষিবাসি মানুষদের কৃষিভাবনার জীবন্ত দলিল।

খবরটি শেয়ার করুণ

1 thought on “মানভূমে প্রচলিত কৃষিপদ্ধতি সংক্রান্ত প্রবাদ”

  1. Pingback: Manbhum Sanskriti: মানভূমের কৃষিকেন্দ্রিক ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদ - উত্তরাপথ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক

উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই  সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top