মালদায় আমের অত্যাধিক ফলন দাম নিয়ে চিন্তায় চাষিরা

উত্তরাপথ

পর পর দুই বছর আমের তেমন ফলন হয়নি মালদায় ,কিন্তু এবছর মালদায় আমের ফলন বেশ ভালো। কিন্তু আমের এই ভালো ফলনও চাষিদের মুখে হাসি আনতে পারছেনা। তাদের বক্তব্য ফলন বেশী হলে আমের দাম পাওয়া যাবেনা। আম যেহেতু সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয় তাই আম যখন বাজারে আসে তখন একসাথে সব আম বাজারে আসে। বাইরে রপ্তানি করতে না পারলে লোকাল বাজারে একদম আমের দাম পাওয়া যায় না। মালদার এক আম ব্যবসায়ীর মতে এখন যে পরিমাণে তেলের খরচ বেড়েছে তাতে ভালো দাম না পেলে রপ্তানি করে লাভ হবে না। দক্ষিণবঙ্গে  মালদার আমের ভালো নাম আছে সেখানকার মানুষ মালদার আম কিনতে চাই কিন্তু পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমের দাম একটু বেশী পড়ে যায়। বাইরের ব্যবসায়ীরা তাই মালদার আম নিতে চাই না। তারা দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আম কে মালদার আম বলে বিক্রি করে বেশী দাম দিয়ে। সাধারন মানুষ কি আর আম চেনে ?

অন্য এক আম চাষির বক্তব্য মালদহের অনেক বাগানের আম জলের অভাবে শুকিয়ে গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছে।এতে বাগান মালিক থেকে আমচাষি সবাই ক্ষতির মুখে পড়ছেন।  বাগানের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজন এর সুবিধা নিচ্ছেন।  স্থানীয় লোকজন পড়ে থাকা আম সংগ্রহ করে বাজারে সস্তায় বিক্রি করে দিচ্ছে। অথচ সরকারের বন বিভাগ কিছুই করছে না এই গাছ গুলিকে কি করে বাঁচানো যায় সেই ব্যাপারে। সরকার এই দিকে দেখছেও না, অথচ ঠিক খাজনা নিচ্ছে। আমরা পরিষেবা কিছুই পাচ্ছি না।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


ইঞ্জিনিয়ারড ব্যাকটেরিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে

উত্তরাপথ: লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এবং ইউসি বার্কলে এর সহযোগিতামূলক গবেষণায় গবেষকরা একটি অভিনব ব্যাকটেরিয়া ইঞ্জিনিয়ারড করেছেন যা জ্বালানি, ওষুধ এবং রাসায়নিক উত্পাদনের সময় উত্পন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে ডিকার্বনাইজশন এর মাধ্যমে। সম্প্রতি Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই আবিষ্কারটি । আর এটি "Carbene Transfer Chemistry in Biosynthesis" নামে পরিচিত । একটি অভিনব প্রতিক্রিয়ার সাথে প্রাকৃতিক এনজাইমেটিক বিক্রিয়াকে সংহত করতে ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগায়। আর যা সাধারণত জীবাশ্ম .....বিস্তারিত পড়ুন

বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী

উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top