রাশিয়া-পাকিস্থানের মধ্যে প্রথম ব্যবসায়িক আদান-প্রদানের সুচনা

উত্তরাপথ

বৈশ্বিক কূটনীতিতে কেউ চিরস্থায়ী বন্ধু নয় এবং কেউ শত্রুও নয়।   ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।  এ কারণেই রাশিয়া এখন এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্য বাড়াচ্ছে।  এই পর্বে, একটি রাশিয়ান কনটেইনার জাহাজ ক্রিস্টাল সেন্ট পিটার্সবার্গ মাত্র ২১ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি বন্দরে পৌঁছেছে।  এটি পাকিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি শিপিং লিঙ্কের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ান কার্গো জাহাজটি করাচিতে পৌঁছালে পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী খুররম দস্তগীর, সামুদ্রিক বিষয়ক মন্ত্রী ফয়সাল সবজওয়ারি এবং রাশিয়ার কনসাল জেনারেল আন্দ্রে ভিক্টোরোভিচ ফেদোরভ করাচিতে একটি অনুষ্ঠানে জাহাজটিকে অভ্যর্থনা জানান।    জাহাজটিতে ২০০০টি ট্রান্সশিপমেন্ট কন্টেইনার বোঝাই ছিল।  এর মাধ্যমে রাশিয়ার পণ্য পাকিস্তানের বাজারে এবং পাকিস্তানি পণ্য রাশিয়ার বাজারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।  এই বাণিজ্যের জন্য অর্থপ্রদান হবে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে এবং ডলার বা পাকিস্তানি রুপিতে নয়।  পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব ভারতের জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।  কিছুদিন আগে বাণিজ্য বাড়াতে রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে।

বর্তমানে ভারত ও চীন রাশিয়া থেকে শক্তির সবচেয়ে বড় ক্রেতা।  এশিয়ায় রাশিয়ার কয়লা রপ্তানির দুই-তৃতীয়াংশ এই দুটি দেশ একাই কেনে।  ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কাও রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লার ক্রেতা হয়ে উঠেছে।  এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানও এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।  এই কারণেই পাকিস্তানি শাসকরা রাশিয়ার সাথে তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক দ্রুত উন্নতি করছে। 

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Scroll to Top