CBSC: সিবিএসই পঠনপাঠনের ব্যাপক পরিবর্তন

উত্তরাপথ: সম্প্রতি সিবিএসই পঠনপাঠনের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে । এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান,”  আমি CBSE কে অভিনন্দন জানাই তার সমস্ত স্কুলে কিন্ডারগার্টেন থেকে ১২ তম শ্রেণী পর্যন্ত ভারতীয় ভাষায় শিক্ষার বিকল্প প্রদান করার জন্য।“ এতদিন পর্যন্ত সিবিএসই এবং আই সি এস সি শুধুমাত্র হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা দিত। কিন্তু এই নতুন ঘোষণা অনুসারে সিবিএসই ভারতের সংবিধানের 8 অনুচ্ছেদে ঘোষিত আরও ২২টি ভারতীয় ভাষায় পড়াশোনা করা এবং বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিল । এবার থেকে NCERT- হিন্দি এবং ইংরেজি সহ আরও ২২টি ভারতীয় ভাষায় বই প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত  নিয়েছে।

কিন্তু সিবিএসই পঠনপাঠনের ব্যাপক পরিবর্তন কতটা ছাত্র -ছাত্রীদের উপকারে লাগবে তা নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় একাধিক স্কুলের অবিভাবকদের সাথে কথা বলি । তাতে দুই ধরনের মতামত সামনে এসেছে।  একদল অবিভাবক এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ।তাদের বক্তব্য, মাতৃভাষায় শিক্ষা শিশুদেরকে তাদের পাঠগুলি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। এতে ভাষার বাঁধা দূর হবে এবং এতে ছাত্র- ছাত্রীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো একাডেমিক পারফরম্যান্স করতে পারবে। এছাড়াও শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা পেলে তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের সাথে দৃঢ় সংযোগ বজায় রাখতে পারবে।সেই সাথে হোমওয়ার্ক করানো থেকে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ সব ক্ষেত্রে অবিভাবকদের অনেক সুবিধা হবে বলে তারা জানান ।

অন্য আর একদল অবিভাবকদের বক্তব্য তাদের শিশুদের শুধুমাত্র  মাতৃভাষায় শিক্ষিত করলে তাদের অন্যান্য ভাষার জ্ঞান সহ তাদের চাকুরীর ক্ষেত্রে সুযোগও সীমিত হয়ে যাবে । শুধুমাত্র মাতৃ ভাষায় শিক্ষা নিলে তারা অন্যান্য ভাষা শিখবেনা তারফলে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষাতে বিশেষ অসুবিধার সৃষ্টি হবে। এছাড়া একটি বড় অংশের অবিভাবকদের বক্তব্য তাদের যেহেতু জীবিকার কারণে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় সেক্ষেত্রে ভারতের সব জায়গায় ২২ টি ভাষার শিক্ষক পাওয়া একটি বড় সমস্যা হবে ।

সিবিএসই পঠনপাঠনের ব্যাপক পরিবর্তন আগামী দিনে একটা বড় অংশের ছাত্র-ছাত্রীকে উপকৃত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।তথ্যে প্রকাশ সারা বিশ্বে প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী এমন স্কুলে যায় যেখানে শিক্ষকরা তাদের এমন ভাষায় শেখার যা তারা বলতে পারে না। সিবিএসই তার সমস্ত ২৮ হাজার স্কুলকে মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে বলে খবর।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সহযাত্রী

দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন

Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক

উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই  সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top