![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-121.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/07/image-121.png)
উত্তরাপথঃ সম্প্রতি গুজরাট হাইকোর্টের বিচারককে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা বিহার উচ্চ আদালতে বদলির মামলাটি যথেষ্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং ভারতের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে৷ বিচারকদের স্থানান্তর একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া যার লক্ষ্য দক্ষতা এবং কাজের চাপ বন্টন নিশ্চিত করা।কিন্তু যখন এই ধরনের বদলিকে বিচার বিভাগের সততা ও নিরপেক্ষতা বাজায় রাখার জন্য করা হয়, তখন তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি মোদী পদবি নিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের অভিযোগের জেরে সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু’বছরের জেলের সাজা দিয়েছিল। পরে সুরাত জেলা দায়রা আদালতের দেওয়া সেই সাজা বহাল রেখেছিল গুজরাত হাই কোর্ট ।রাহুল গান্ধীকে সাজা দেওয়া সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের ‘বেআইনি পদোন্নতি’র উপর স্থগিতদেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল । এ বার রাহুলের সাজা বজায় রাখা গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতিকে বদলি করল সুপ্রিম কোর্ট । শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছককে পটনা হাই কোর্টে বদলি করেছে। বিচারপতি প্রচ্ছকের সঙ্গেই বদলি করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টের আরও আট জন বিচারপতিকে
সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা এক সাথে এতজন বিচারপতির স্থানান্তর মামলা বিচার বিভাগের সততা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।বিচার বিভাগ যা গণতন্ত্রের ভিত্তি যেখানে একজন সাধারণ নাগরিক আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং নাগরিকদের অধিকার পাওয়ার জন্য নির্ভর করে । বিচারব্যবস্থায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ঘটনা শুধুমাত্র বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করছে তা নয় এটি গণতন্ত্রের নীতিকেও ক্ষুন্ন করছে।
একটি রাজ্যের উচ্চ আদালত রাজ্যের মানুষের ন্যায় পাওয়া সহ নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয় স্থল। কারণ আমাদের বেশীর ভাগ মানুষের সাধ্য নেই প্রতিটা মামলা সুপ্রিম কোর্ট এ এসে লড়বার । সেই উচ্চ আদালতের বিচারকরা যদি বাহ্যিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রদান থেকে বিরত থাকে তাহলে জনগণ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাতে বাধ্য।
সুপ্রিম কোর্টের একটি অপরিহার্য কাজ হল বিচারিক পর্যালোচনার ক্ষমতা।অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের ভারতের সমস্ত কোর্ট এর আইন এবং নির্বাহী কর্মের সাংবিধানিকতা পরীক্ষা করার কর্তৃত্ব রয়েছে । এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে,সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সুরক্ষা হিসাবে কাজ করে এবং এটি নিশ্চিত করে যে সরকার সহ দেশের সমস্ত বিচার বিভাগ এক গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে কাজ করছে। কিন্তু বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টকে যেভাবে বিচার ব্যবস্থাকে বাঁচাতে যেভাবে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে তা গভীর উদ্বেগের ।
আরও পড়ুন
কানারা ব্যাঙ্কের উপর ২.৯২ কোটি জরিমানা করল আরবিআই
উত্তরাপথ: সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য কানারা ব্যাঙ্কের উপর ২.৯২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে আরবিআই দ্বারা ব্যাঙ্কের একটি স্ক্রুটিনি করা হয়েছিল,তাতে যাচাই-বাছাইয়ের পরে, আরবিআই দেখতে পেয়েছে যে ব্যাঙ্ক ফ্লোটিং রেট খুচরা ঋণ এবং এমএসএমই-কে ঋণের সুদকে একটি বাহ্যিক বেঞ্চমার্কের সাথে সংযুক্ত করতে কানারা ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয়েছে এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে অনুমোদিত ও পুনর্নবীকরণকৃত ফ্লোটিং রেট রুপি ঋণের সুদকে তার প্রান্তিক খরচের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।আরবিআই বলেছে, অযোগ্য সংস্থার নামে বেশ .....বিস্তারিত পড়ুন
পরম সুন্দরী
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: চাকরির বাজার ভীষণ মন্দা। পাত্র সৃজিত এম. এস.সি পাশ করেও কোনো চাকরি পাচ্ছে না। অগত্যা পরিবারের ব্যাবসার হাল ধরেছে। পারিবারিক সূত্রে তাদের মিষ্টির বেশ বড় দোকান রয়েছে। সৃজিত পড়াশোনা তে বেশ ভালো ছাত্র ছিল। প্রতিদিন সকালে পেপারে চাকরির বিজ্ঞাপন খোঁজা তার একটি কাজ। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, বয়স তো থেমে থাকবে না। বাবা মা ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ চিন্তিত। তারা কিছু দিনের মধ্যেই ছেলের বিয়ে দেবেন এরকম স্থির করেন। মোনালিসা ভূগোলে সদ্য এম.এ, পি. এইচ. ডি করে একই ভাবেই চাকরির খোঁজ করে যাচ্ছে। বাবা সুভাষ বাবু সরকারি .....বিস্তারিত পড়ুন
মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব
দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন