২০২৫সালের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন সুনিতা উইলিয়ামস

নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী ব্যারি উইলমোর ২০২৫সালের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। উভয় মহাকাশচারী দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) উপস্থিত ছিলেন। বোয়িং স্টারলাইনারে একটি ত্রুটির কারণে, দুই মহাকাশচারীর প্রত্যাবর্তন ফেব্রুয়ারি ২০২৫এ স্থগিত করা হয়েছিল। এই মিশনটি ছিল মাত্র আট দিনের, কিন্তু হিলিয়াম লিক এবং থ্রাস্টার ব্যর্থতার কারণে তিনি ফিরতে পারেননি। এখন সুনিতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোরকে এলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্রু ক্যাপসুল দ্বারা ফিরিয়ে আনা হবে। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ক্রু-৯ মিশন চালু হবে।

এর আগে ক্রু-৯ মিশনে চারজন নভোচারী যাওয়ার কথা থাকলেও এখন যাবেন মাত্র দুজন মহাকাশচারী। এর কারণ যাতে ফেরার সময় সুনিতা ও বুচকে ফিরিয়ে আনা যায়। তাই দুই মহাকাশচারীকে বাইরে রাখা হয়েছে, তাদের পরবর্তী মিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আট দিন মতো থাকার কথা ছিল সুনীতা ও উইলমোরের। কিন্তু, তা এখন বেড়ে দুই মাসের বেশি হতে চলেছে। এর আগে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের আগে তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছিল NASA. তাই NASA-র গবেষণায় সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। কারণ মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। আর এই পরিস্থিতিতে আরও বড় বিপদের ইঙ্গিত মিলছিল। আমেরিকার মিলিটারি স্পেস সিস্টেমস-এর প্রাক্তন কম্যান্ডার রুডি রিডল্ফি সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে বড় বিপদের কথা জানান।

যে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চেপে মহাকাশে রওনা দেন সুনীতা এবং ব্যারি, তাতে চেপে পৃথিবীতে তাঁদের ফেরায় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রুডি। তাঁর মতে, বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটি কী অবস্থায় রয়েছে, তার উপরই সুনীতা এবং ব্যারির নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নির্ভর করছে।

রুডির কথায়, “ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফেরার মতো উপযুক্ত অবস্থায় থাকলে ভাল। সেক্ষেত্রে সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে সম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তা যদি না হয়, সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢাক্কা খেয়ে, জ্বলন্ত অবস্থায় মহাকাশে ফিরে যেতে পারে মহাকাশযানটি। খাড়া অবস্থায় মহাকাশযানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে গেলে, তার বর্মটি নষ্ট হয়ে গিয়ে বিপর্যয় নেমে আসবে। ঘর্ষণের ফলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে মহাকাশযানটি। সেই সঙ্গে কার্যত বাষ্পীভূত হয়ে উবে যেতে পারেন সুনীতা এবং ব্যারি।”

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক

উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই  সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন

Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

সহযাত্রী

দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top