

উত্তরাপথঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর দুই বছর পেরিয়ে গেছে, বাস্তব পরিস্থিতি এখনও বিস্ফোরক রয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই খবর এসেছে যে সেখানে ২০ জন ভারতীয় এখনও আটকে রয়েছেন। কিন্তু এবার রক্তক্ষয়ী এই লড়াইয়ে রুশ সেনাবাহিনীতে নাম লিখিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের এক যুবক ।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত বছর তেইশের যুবকের নাম হামিল মাঙ্গুকিয়া। একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখে হামিল রাশিয়াতে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন। তার পর চেন্নাই থেকে পৌঁছে যান মস্কোতে। সহকারী হিসাবে যোগ দেন রুশ সেনাবাহিনীতে। দুদিন আগেই সুরাটে পরিবারের কাছে হামিলের মৃত্যুসংবাদ পৌঁছে দেওয়া হয়। যদিও এখনও তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হল সেই ভারতীয়দের চাকরির অজুহাতে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল এবং তারপরে যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কয়েকটি রিপোর্টের দাবি, বেশ কয়েকজন ভারতীয় সিকিউরিটি হেল্পার হিসাবে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। অভিযোগ, তাঁদের জোর করে রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের সংঘর্ষস্থলে তাঁদের মোতায়েন করা হচ্ছে। যদিও এর মাঝে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে নয়াদিল্লির অনুরোধে কয়েকজন ভারতীয়দের রুশ সেনার সঙ্গে চুক্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং সমস্ত ভারতীয়দের উদ্ধারের কথা বলেছে।
বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা জানি প্রায় ২০ জন আটকা পড়েছে।তাদের দ্রুত মুক্তির জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি।আমরা দুটি বিবৃতি জারি করেছি।আমরা জনগণকে যুদ্ধক্ষেত্রে না যেতে বা কঠিন পরিস্থিতিতে না পড়তে বলেছি।আমরা এখানে নয়াদিল্লি এবং মস্কোতে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়েও এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের অবস্থান সর্বজনবিদিত। আমরা বিভিন্ন স্তরে বলেছি, সর্বোচ্চ স্তরে, ভারত চায় আলোচনা, যাতে উভয় পক্ষই একত্রিত হতে পারে এবং শান্তির জন্য একটি সমাধান খুঁজে পেতে পারে। এর আগেও ভারতের অবস্থান একই ছিল এবং প্রতিবারই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।রুশ প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রতিবারই বলা হয়েছে শুধু কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে, যুদ্ধের মাধ্যমে কিছুই অর্জিত হবে না।
আরও পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন