

শনিবার, ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)-এর বিরুদ্ধে নীল জার্সির পরিবর্তে সবুজ মেরুন জার্সি পরে খেলতে নামল এলএসজি।কলকাতার ঐতিহ্যশালী ক্লাব মোহন বাগানের জার্সির রঙের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এলএসজির এই জার্সির ডিজাইন করা হয়েছিল। মোহন বাগানের ইতিহাস, প্রভাব ও সাফল্যর কথা মাথায় রেখে প্রতীকী শ্রদ্ধার্ঘ হিসেবে নতুন জার্সি পরে কেকেআরের মোকাবিলা করল এলএসজি। উল্লেখ্য, লখনউ সুপার জায়ান্টস ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশীদার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এটিকে মোহন বাগান ফুটবল ক্লাবেরও অংশীদার।কিন্তু নববর্ষে ফিল সল্টের দাপটে ইডেনে কার্যত দাঁড়াতেই পারল না কেএল রাহুলের দল। চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ বের করে নিলেন সল্ট ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার।
টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জল্পনা মতোই কুইন্টন ডি’কক তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে ২৭ বলে ৩৯ করে দাঁড়িয়ে যান অধিনায়ক রাহুল। আয়ুষ বাদোনি ও নিকোলাস পূরণও ২৯ ও ৪৫ করে যান। কিন্তু আশা জাগাতে পারেনি লখনউ। ইডেনের এই উইকেটে ১৬১ যে খুব একটা ভদ্রগোছের টার্গেট নয় তাও বলে দিতে হবে না।
আগাগোড়া মাঠে ছিলেন শাহরুখ খান। ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। কিন্তু তাঁর মোহনবাগান তাস একেবারেই কাজে এল না। এমনিতে নামের আগে ‘এটিকে’ বসানো নিয়ে বাগান সমর্থকরা তাঁর ওপর চটে ছিলেন। গত মরসুমের পর মোহনবাগানও ‘সুপার-জায়ান্টস’ হয়ে যাওয়ায় সেই ক্ষোভে জল পড়েছে। মোহনবাগান এই মরসুমে খেলছেও ভাল। বেঙ্গালুরু এফসিকে চার গোল মেরেছে শেষ ম্যাচে। ফলে গোয়েঙ্কা ভেবেছিলেন, সবুজ মেরুন জার্সি পরালেই শহরের বাগান সমর্থকরা হেলে যাবেন তাঁর দিকে। কিন্তু শেষ অবধি দেখা গেল, ম্যাচ শুরুর দিকে গ্যালারিতে সবুজ-মেরুন লখনউ জার্সি চোখে পড়লেও খেলা গড়াতেই গ্যালারির দখল নেয় বেগুনি-সোনালি ব্রিগেড।
ব্যাটে নেমে একাই ম্যাচের স্টিয়ারিং ধরেন ফিল সল্ট। ৪৭ বলে ৮৯ রানের তাঁর মহাকাব্যিক ইনিংসের পরে আর কাউকে কিছু ভাবতে হয়নি কেকেআরের। সঙ্গ দেন শ্রেয়স আইয়ার। টুকটুক করে ৩৮ বলে ৩৮ করেন। এই ম্যাচের বাড়তি ভরসা, ম্যাচে ফিরেছেন মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভারে ২৮ রান দিলেও ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।
প্রসঙ্গত বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও লখনউ সুপার জায়ান্টস লিগ পর্যায়ে ভালো পারফর্ম করেছে। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছিল তারা। কেকেআরকে হারাতে পারলে নিশ্চিতভাবে প্লে-অফে পৌঁছতে পারত।
তারা আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে পাঁচ রানে হারিয়েছিল এলএসজি। ৪৭ বলে ৮৯* রানের ইনিংস খেলে মার্কাস স্টইনিস ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে এলএসজিকে জিততে পারলে কলকাতা শহরবাসীকে সবুজ মেরুন আবেগে আবার ভাসতে দেখত কলকাতা।
আরও পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি
উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন