

ছবি সৌজন্য – উত্তরাপথ
উত্তরাপথঃ চোখের ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।আমাদের রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চোখের ফ্লু-এর মামলা ক্রমাগত সামনে আসছে। বর্ষাকালে, চোখের এই সমস্যা বিশেষত চোখে লালচেভাব, জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি প্রায়ই মানুষের মধ্যে দেখা যায়। প্রতি বছর বর্ষাকালে চোখের ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর। চোখের ফ্লু যা কনজেক্টিভাইটিস বা পিঙ্ক আই নামেও পরিচিত।
বর্তমানে আমাদের রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ এই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন।বর্তমানে চোখের ফ্লু সংক্রান্ত একটি নতুন গবেষণা সামনে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এবং অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের কনজাংটিভাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এই গবেষণায় অংশ নেওয়া চোখের ফ্লুতে আক্রান্ত প্রায় ৯২% লোকের ভিটামিন ডি কম ছিল। শুধু তাই নয়, তাদের কারও কারও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ছিল ৫-এর কম।প্রসঙ্গত আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বাভাবিক মাত্রা ৩০-এর কাছাকাছি। গবেষণায় জড়িত বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের গবেশনাটি মূলত আক্রান্ত ব্যক্তিদের চোখের জলের নমুনা উপর ভিত্তি করে করা। তাই তাদের করা এই গবেষণার ফলাফল কনজেক্টিভাইটিসের চিকিৎসার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যখন একজন মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম থাকে, তখন চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে ভাইরাস সহজেই তাকে আক্রমণ করে। ভাইরাস চোখের প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা থেকে গুরুতর কনজেক্টিভাইটিস হতে পারে। এছাড়াও, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী চোখের ফ্লুতে আক্রান্ত প্রায় ৫৭-৬০%লোকের অ্যালার্জির প্রবণতা ছিল। কনজেক্টিভাইটিস বেশিরভাগ অ্যাডেনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা স্পর্শ এবং তরল দ্বারা ছড়িয়ে যেতে পারে।
ভিটামিন ডি এর অভাব মেটাতে এই টিপসগুলি অনুসরণ করুন
ভিটামিন ডি এর মাত্রা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন।
সূর্যের রশ্মি ভিটামিন ডি এর, সর্বোত্তম উৎস, তাই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সূর্যালোক নিন।
চর্বিযুক্ত মাছের মাংস এবং ভিটামিন ডি 3 সমৃদ্ধ মাছের লিভার তেল খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে ডিমের কুসুম এবং পনির খেতে পারেন।
কিছু মাশরুমে ভিটামিন ডি2ও পাওয়া যায়।
এছাড়াও, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং সিরিয়ালের মতো অনেক খাদ্যদ্রব্যেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
বিদ্র: নিবন্ধে উল্লিখিত পরামর্শগুলি শুধুমাত্র পাঠদের সাধারণ তথ্যের দানের উদ্দেশ্যে । এটিকে কোনও পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ হিসাবে নেওয়া উচিত নয়। আপনার কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকলে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন