জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ড্রোনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর যৌথ গবেষণা শুরু করতে সম্মত হয়েছে । তাদের আশা এই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এশিয়ান দেশের পরবর্তী ফাইটার জেটের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করবে।জাপান ২০৩৫ সালের মধ্যে ব্রিটেন এবং ইতালির সাথে একটি পরবর্তী প্রজন্মের ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র, এই ফাইটার জেট প্রকল্পের অংশ নয়।
জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ AI অধ্যয়নের উদ্দেশ্য হল “অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত মনুষ্যবিহীন বিমান যানের সাথে মেশিন লার্নিং একত্রিত করে বায়ুবাহিত যুদ্ধে বিপ্লব ঘটানো,” মার্কিন বিমান বাহিনী গত মাসে চুক্তি স্বাক্ষরের পর জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে । “এই যৌথ গবেষণায় বিকশিত AI জাপানের পরবর্তী ফাইটার এয়ারক্রাফ্টের পাশাপাশি চালিত ইউএভিতে প্রয়োগ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে “। এটি জোর দিয়ে বলেছে যে সহযোগিতাটি জাপান-মার্কিন জোটের “প্রযুক্তিগত সুবিধা” বজায় রাখার জন্য কার্যকরী হবে। জাপান এবং মার্কিন সমন্বয়ে তৈরি ড্রোনগুলি যুদ্ধবিমানগুলির কাছাকাছি উড়ে ডেটা সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ত্রিমুখী যুদ্ধবিমান উন্নয়ন চুক্তিটি নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে আলোচনা শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই ন্যাটো সদস্যের সাথে জাপানের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমর্থন ঘোষণা করেছিল কারণ এশিয়ান দেশটি ক্রমবর্ধমান ভাবে চীনের শক্তি বৃদ্ধির ফলে একটি গুরুতর নিরাপত্তাহীন পরিবেশের মুখোমুখি।
টোকিও প্রাথমিকভাবে নতুন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তথ্য গোপনীয়তার বিষয়ে কঠোর মার্কিন নিয়মের কারণে তারা অন্যান্য অংশীদারদের সন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপান তার F-2 বিমানের উত্তরসূরি তৈরি করতে চায়, অন্যদিকে ব্রিটেন এবং ইতালি তাদের ইউরোফাইটার জেট প্রতিস্থাপন করতে চায়।প্রসঙ্গত ফাইটার জেট প্রোগ্রামটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য দেশের সাথে জাপানের প্রথম যৌথ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উন্নয়ন চুক্তি।
আরও পড়ুন
Mahendra Singh Dhoni: একজন ক্রিকেট কিংবদন্তি
উত্তরাপথ: গত ৭ জুলাই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির(Mahendra Singh Dhoni) ৪২তম জন্মদিন । তিনি ২০০৭ সালে ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন এবং ভারতকে টি -২০ বিশ্বকাপ এনে দেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের অধিকারী, তার সংগ্রহ ৬,৬৩৩ রান ।উত্তরাপথের পক্ষ থেকে তার জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র অভিনন্দন । মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) বা"এমএসডি" যিনি "ক্যাপ্টেন কুল" নামেও পরিচিত, খেলা .....বিস্তারিত পড়ুন
Sustainable Energy: সূর্যের আলো এবং বায়ু,থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃদ্ধি
উত্তরাপথ: সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে সূর্যের আলো এবং বায়ু,থেকে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃদ্ধি ১২% উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এই পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদের ব্যবহার আমাদের অ নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের বিকল্পের দিকে ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে। সৌর এবং বায়ু শক্তির ব্যবহারের দ্রুত বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণ দ্বারা চালিত হয়েছে। প্রথমত, প্রযুক্তির অগ্রগতি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইনগুলি এখন আগের চেয়ে আরও দক্ষতার সাথে সূর্য এবং বায়ু থেকে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম, যার ফলে বিশ্বব্যাপী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি .....বিস্তারিত পড়ুন
জঙ্গলমহলে হলুদ বাহিনী আগামীতে তৃণমূলের মাথা ব্যথার কারণ
উত্তরাপথ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর হলুদ আবীরে ভরে গেছে জঙ্গলমহল। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজনৈতিক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল জঙ্গলমহল । আকর্ষণের এই কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠার অন্যতম কারণ নিঃসন্দেহে কুড়মি আন্দোলন। এই জঙ্গলমহল নিয়ে শাসকদলের মাথা ব্যাথা যেমন রয়েছে, তেমন রাজনৈতিক উৎকণ্ঠা রয়েছে বিজেপির । শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনে অনেকটাই নিজেদের জমি উদ্ধার করতে পেরেছে সন্দেহ নাই । .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন