

উত্তরাপথঃ পৃথিবী থেকে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর দাবি করেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাস্ক বলেছেন যে তিনি একটি “গেম প্ল্যান” নিয়ে কাজ করছেন। যার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে এক মিলিয়ন মানুষকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক রবিবার এক্স-এ একটি পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছেন।একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যখন লাল গ্রহে যাওয়ার জন্য একটি স্টারশিপ চালু করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, মাস্ক বলেছিলেন যে স্টারশিপ পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চাঁদে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। স্টারশিপ হল সবচেয়ে বড় রকেট এবং এটি আমাদের মঙ্গলেও নিয়ে যাবে। যদিও মঙ্গল গ্রহে যেতে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে।
এর আগে জানুয়ারিতে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক বলেছিলেন, আগামী আট বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানো যাবে। আট বছর পর আমরা মঙ্গলে অবতরণ করব এবং চাঁদেও মানুষ পাঠাব। মানবজাতির উচিত মঙ্গল গ্রহে চাঁদ-ভিত্তিক শহর স্থাপন করা। এ বছর স্টারশিপের তৃতীয় ফ্লাইট চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মাস্ক।
ইলন মাস্ক পৃথিবী থেকে মঙ্গলে মিশনের জন্য তার পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলেননি তবে গত সপ্তাহে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X (পূর্বে টুইটার) অনুগামীদের বলেছিলেন যে তিনি একটি “গেম প্ল্যান” কাজ চলছে। যখন একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে স্পেসএক্সের স্টারশিপ “আমাদেরকে মঙ্গলে নিয়ে যাবে”, তখন ইলন মাস্ক উত্তর দিয়েছিলেন, “আমরা মঙ্গল গ্রহে এক মিলিয়ন মানুষকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গেম প্ল্যান ম্যাপ করছি৷ এই প্রসঙ্গে তিনি গ্রহের গ্রেট ফিল্টার নিয়ে কাজ করার কথা বলেন।
গ্রেট ফিল্টার হল এই ধারণা যে একটি প্রজাতিকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদী বেঁচে থাকার জন্য কিছু বাধা অতিক্রম করতে হবে। ইলন মাস্ক এর আগে বলেছিলেন যে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য মানুষকে একটি “মাল্টি-প্ল্যানেট প্রজাতি” হতে হবে।
“আমরা সেই একক গ্রহের প্রজাতির একজন হতে চাই না, আমরা বহু-গ্রহের প্রজাতি হতে চাই। চাঁদে মানুষ শেষবার যাওয়া প্রায় অর্ধশতাব্দী হয়ে গেছে। এটি খুব দীর্ঘ, আমাদের সেখানে ফিরে যেতে হবে এবং চাঁদে একটি স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করতে হবে । তারপরে চাঁদে একটি মহাকাশযান সভ্যতা তৈরি করতে হবে এবং একটি বহু-গ্রহের প্রজাতি হয়ে উঠতে মঙ্গলেও একটি শহর তৈরি করতে হবে।
অবশ্যই, মাস্কের দৃষ্টিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা অতিক্রম করতে হবে। এর মধ্যে প্রধান হল মঙ্গল গ্রহে যাত্রা করা লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ভ্রমণের দীর্ঘ সময়কাল, লাল গ্রহের কঠোর অবস্থা এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির সম্ভাবনা সবই গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি তৈরি করে যা নিয়ে আরও বেশী প্রস্তুতির প্রয়োজন।
যদিও মাস্কের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও কারো কারো কাছে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর মতো মনে হতে পারে, এটি স্পষ্ট যে তিনি এটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।তিনি এক সময় বলেছিলেন, “মানবতার ভবিষ্যত মৌলিকভাবে দুটি দিকের একটিতে বিভক্ত হতে চলেছে: হয় আমরা একটি বহুগ্রহের প্রজাতি এবং একটি মহাকাশযান সভ্যতায় পরিণত হতে যাচ্ছি, অথবা আমরা কিছু ঘটনা(বিলুপ্তির ঘটনা) না হওয়া পর্যন্ত একটি গ্রহে আটকে থাকব।”
আরও পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন