ফাস্ট ফুডে ব্যবহৃত সিন্থেটিক রংগুলো কি সত্যিই স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ?

সম্প্রতি কৃত্রিম খাদ্য রং এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের মধ্যে যোগসূত্র অধ্যয়নরত একজন বিজ্ঞানী কৃত্রিম খাদ্য রং ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু তথ্য দিয়েছেন।

ওয়েস্টার্ন ডায়েটের সমস্যা

 কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে,ব্যবহৃত  খাদ্যের ৬০% উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে তৈরি, যা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে যুক্ত। এই খাবারগুলিতে প্রায়শই লাল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস, যোগ করা শর্করা এবং পরিশোধিত শস্য থাকে।

কৃত্রিম খাদ্য রং: একটি উদ্বেগ

যদিও এই রঙিন খাবারগুলিকে অনেকগুলি আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য, সেগুলিতে অধিকাংশ সময় সিন্থেটিক রং ব্যবহার করা হয় যা শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়াগুলিকে দ্রুত করতে পারে। এই রঞ্জকগুলি ব্যবহার করা হয় কারণ এগুলি সস্তা, উজ্জ্বল এবং দীর্ঘস্থায়ী, তবে তাদের অনেকগুলি বিষাক্ত।

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের কারণ কি?

দুটি কারণে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হতে পারে।

১। ডিএনএ ড্যামেজ-  যখন ক্যান্সার চালিত জিনে ডিএনএ ক্ষতি হয়, তখন এটি একটি মিউটেশন হতে পারে যা কোষকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভক্ত হতে বলে এবং ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে।

২।প্রদাহ- দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ অণুগুলিকে মুক্ত করতে পারে যা ডিএনএ এবং সুস্থ কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

কৃত্রিম খাদ্য রং এবং ক্যান্সার

যদিও এফডিএ-অনুমোদিত সিন্থেটিক ফুড কালারগুলির কোনওটিই কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় না, কিন্তু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে তারা এখনও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যেমন:

* আপনার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সিন্থেটিক রঞ্জকগুলিকে ক্যান্সারের কারণ হিসাবে পরিচিত অণুতে ভেঙে দিতে পারে।

* কৃত্রিম খাদ্য রং কোষের ভিতরে ডিএনএ এবং প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ হতে পারে।

* এমন প্রমাণ রয়েছে যে কৃত্রিম রং শরীরের প্রদাহজনক যন্ত্রপাতিকে উদ্দীপিত করতে পারে।

করনীয়ঃ-

 ছুটির মরসুমে, কৃত্রিম খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এমন বিকল্প খাবারগুলির কথা বিবেচনা করতে হবে। যদিও কৃত্রিম খাদ্য রঞ্জকগুলির সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন, তবে আপনি কি ধরনের খাবার গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।মনে রাখবেন, সম্পূর্ণ পুস্তিগুন সমৃদ্ধ  স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং কম প্রক্রিয়াজাত খাবার আপনার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি

ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

স্বপ্নপূরণ না হলেও জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ

উত্তরাপথ: দোহায় ডায়মন্ড লিগে জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া কিন্তু তার জ্যাবলিনে ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার স্বপ্নপূরণ হল না । দোহায় তার জ্যাভিলিন থামল ৮৮.৬৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। গতবছরও এই লিগে প্রথম পদক জিতেছিলেন নীরজ। দোহার সুহেম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে প্রথমবার জ্যাভলিন ছুড়েই চমক দেন নীরজ। প্রথমবারেই তার জ্যাভলিন চলে যায় ৮৮.৬৭ মিটার। ২০২২ সালে জুরিখের ডায়মন্ড লিগে সফলতা হয়েছিলেন নীরজ এবং টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন তিনি। তার লক্ষ্য ছিল ৯০ মিটারের গণ্ডি পেরনোর কিন্তুসেই লক্ষ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top