বাংলায় প্রায় ৫০ লক্ষ কুড়মি তাও বঞ্ছনার অভিযোগ

উত্তরাপথ

এখনও নিজেদের দাবিতে আনড় কুড়মিরা । দাবি আদায়ে তাঁরা একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। টানা পাঁচদিন রেল ও রাস্তা অবরোধের পর এই তপ্ত গরমে কলকাতা পর্যন্ত সাইকেল র‍্যালি । দাবি একটাই পুরাতন জাতি সত্ত্বা ফেরত  চাই । রাজ্য সরকারও আপাতত আলোচনা করেই সমস্যা মেটাতে চাইছে। শাসক দলের অনেক নেতাই চাইছে কুড়মিরা আপাতত আন্দোলন থেকে  সরে আসুক । এই ব্যাপারে শাসক দলের অনেক নেতার আবেদন-অনুরোধেও কুডমি নেতারা  সারা দিতে রাজি হচ্ছে না। তাদের  বক্তব্য না তৃণমূল না বিজেপি কেউ আমাদের জন্য কিছু করেছে না। একমাত্র অধীর চৌধুরী আমাদের  বিষয়টি সংসদে তুলে ধরেছিলেন। তবে এসবের মধ্যে একটা জিনিস স্পষ্ট শাসকদলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে কুড়মি সমাজের।তাদের দাবি তাদের কথা মানা না হলে আসন্ন  পঞ্চায়েত ভোটে  তারা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে  বয়কট করবে। এদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে আদিবাসী কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী কুড়মি সমাজ শাসক দলের তীব্র বিরোধিতা করবে। আদিবাসী কুড়মি সমাজের কোনও নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এবং কুড়মিদের দেওয়ালে বিনা অনুমতিতে দেওয়াল লিখন  করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনের সময় মিটিং মিছিলে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে হবে ।   

 এখন প্রশ্ন কুড়মিদের এই ভোট বয়কট আদৌ কি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলিকে চাপে রাখতে পারবে?  খবরে প্রকাশ বাংলায় প্রায় ৫০  লক্ষ কুড়মি রয়েছে এবং তাদের ভোট কমপক্ষে ৩৫ টি বিধানসভা আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে জঙ্গলমহলের চারটি জেলায়।  অর্থাৎ এসব আসনে প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এই সম্প্রদায়ের মানুষ। পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম সহ মূলত জঙ্গলমহল ঘেঁষা জেলার একাধিক ব্লকেই রয়েছে কুড়মিদের বসবাস। পুরুলিয়ায় কুড়মিদের সংখ্যা সবথেকে বেশি বলে জানা যায়। এই জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক কুড়মি প্রধান । তাই এই সম্প্রাদায় যদি কোনও রাজনৈতিক দলকে বয়কট করে তার প্রভাব নির্বাচনী রাজনীতিতে পড়তে বাধ্য ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন

উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট  এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন

ধানের সাধ ভক্ষণ : জিহুড়

ড.  নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: আশ্বিন সংক্রান্তিতে কৃষক সমাজের মধ্যে জিহুড় পার্বণ পালিত হয়। কৃষক সাধারণের মধ্যে জিহুড় পার্বণের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জিহুড় অর্থাৎ আশ্বিন সংক্রান্তির সময় বহাল জমিতে লাগানো ধান বা বড়ান ধানে থোড় আসতে শুরু করে। সুতরাং ধান গাছ গর্ভাবস্থায় থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের আচার-সংস্কার পালন করা হয়। এই সংস্কারগুলির অন্যতম হলো " ন' মাসি " অর্থাৎ গর্ভাবস্থার নবম মাসে যে আচার -অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সন্তানজন্মগ্রহণ করে। মানব- সমাজের গর্ভাবস্থাজনিত এই ধরনের আচার সংস্কারের সঙ্গে ধান গাছের গর্ভাবস্থার কারণে পালনীয় অনুষ্ঠান জিহুড়ের সাদৃশ্য থাকে দেখা যায়। সেই জন্য অনেকে জিহুড় অনুষ্ঠানকে ধান গাছের 'সাধভক্ষণ'  বলে থাকেন। জিহুড়-এ ধান গাছ .....বিস্তারিত পড়ুন

সুপার পটেটোর অনুসন্ধান - বিজ্ঞানীরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন

উত্তরাপথঃ আলু বহু শতাব্দী ধরে রান্নার বহুমুখীতা এবং উচ্চ পুষ্টির মানের জন্য খাদ্যের একটি প্রধান উৎস। আলু আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে উৎপাদিত হয়, যা আলুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে । বছরের পর বছর ধরে, বিজ্ঞানীরা আলুর ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টি উপাদান উন্নত করার জন্য এবং আরও ভাল আলুর জাত প্রজননের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আলুর জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা আলু সুপার প্যানজেনোম তৈরি করেছেন যা আলু গবেষণা এবং প্রজননে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত হবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা । .....বিস্তারিত পড়ুন

বিক্রম সারাভাই: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার একজন দূরদর্শী পথিকৃৎ

উত্তরাপথঃ ডঃ বিক্রম সারাভাই ছিলেন ভারতের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী। তিনি একজন বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিল্পপতি এবং স্বপ্নদর্শীর ভূমিকা সমন্বিত, ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির জনক হিসাবে বিখ্যাত।তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় ভারত মহাকাশ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) এর প্রতিষ্ঠা ছিল তার অন্যতম সেরা সাফল্য। তিনি রাশিয়ান স্পুটনিক উৎক্ষেপণের পর ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য মহাকাশ কর্মসূচির গুরুত্ব সম্পর্কে সরকারকে সফলভাবে বোঝান।এরপর ডঃ হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা, যিনি ভারতের পারমাণবিক বিজ্ঞান কর্মসূচির জনক হিসাবে পরিচিত, ভারতে প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপনে ডঃ সারাভাইকে সমর্থন করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top