বিজেপির সংগঠনে রদবদল, মুসলমানদের ভোটের চিন্তাতেই কি তারিক মনসুর

উত্তরাপথ: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সংগঠনে রদবদল করা হয়েছে । সহসভাপতি  করা হয়েছে তারিক মনসুরকে,মুসলমানদের ভোটের চিন্তাতেই কি এই রদবদল ? শুরু হয়েছে এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক। উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তারিক মনসুরকে বিজেপির সহসভাপতি করা হয়েছে। আজ শনিবার তাকে এই পদে মনোনীত করা হয়। তারিক মনসুর দলের ত্রয়োদশ সহসভাপতি হিসেবে মনোনিত হলেন। তার সঙ্গেই সহসভাপতি মনোনীত করা হয়েছে কেরালার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অনিল অ্যান্টনিকে যিনি প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির ছেলে। কিছুদিন আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে তিনি ছাত্রসমাজকে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে ‘সংযত”রাখার চেষ্টা করেছিলেন।তিনি চেয়েছিলেন ছাত্ররা যেন  সব সময় উগ্র আন্দোলনের পথ পরিত্যাগ করে। তিনি ছাত্রসমাজকে মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী করে তুলতে চেয়েছিলেন । হিন্দু–মুসলমান সৌভ্রাত্ববোধ ছড়িয়ে দিতে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন। সেই কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) এর সঙ্গে কাজও করেছেন।

বিজেপির সংগঠনে রদবদল এর ফলে বিজেপিতে মোট সহসভাপতি হয়েছেন ১৩ জন। দলের সম্পাদকও করা হয়েছে ১৩ জনকে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকছেন বি এল সন্তোষ।রাজ্য থেকে সহ-সভাপতির দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন দিলীপ ঘোষ ,তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন অনুপম হাজরা ।

উত্তর প্রদেশের মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ মুসলমান। ৩০টির মতো লোকসভা আসনে জয়–পরাজয়ের নির্ণায়ক মুসলমান সমর্থন । ধারণা করা হচ্ছে, সেই ভোট টানতেই তারিক মনসুরকে দলে নেওয়া হয়েছে। বিজেপির কাছে তিনি ‘জাতীয়তাবাদী মুসলমান’।

বিজেপি জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির নবনিযুক্ত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সুরেশ কাশ্যপ, সঞ্জয় জয়সওয়াল, বিষ্ণুদেব সাই, ধরমলাল কৌশিক, অশ্বিনী শর্মা, বান্দি সঞ্জয় কুমার, সোমবীর রা, দীপক প্রকাশ, কিরোদি লাল মীনা এবং সতীশ পুনিয়া। এই সদস্যদের নিয়োগের মাধ্যমে, জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটি সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্থায় পরিণত হল বলে দলীয় ভাবে জানানো হয়েছে।এই পদক্ষেপটি বিজেপির প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ

জে পি নাদ্দা দ্বারা নিয়োগকরা কমিটি অবিলম্বে কার্যকর হবে, যা দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটি নীতিমালা প্রণয়ন, নির্বাচনী প্রচার পরিকল্পনা এবং জাতীয় পর্যায়ে দলের কার্যক্রম সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


West Bengal Panchayet Election 2023: পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ

উত্তরাপথ: এ যেন অনেকটা প্রত্যাশিত ফলাফল । সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ Panchayet Election 2023 ফলাফল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট হতাশাবাঞ্জক । এই নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে যে আশার বাণী শুনিয়েছিল বাস্তবে তা অশ্বডিম্ব প্রসব করল । গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গলমহল,উত্তরবঙ্গ সহ নন্দিগ্রামে যে বিশাল গেরুয়া ঝড়ের আশা করেছিল শুধুমাত্র নন্দিগ্রামে ছাড়া পুরটাই হাতছাড়া হল বিজেপির । .....বিস্তারিত পড়ুন

Snake Robot : এবার মহাকাশে সাপ রোবট পাঠাবে NASA

উত্তরাপথ: মহাকাশ অনুসন্ধানের সীমানা আরও বিস্তৃত করতে এবং বহির্জাগতিক পরিবেশের দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে NASA ক্রমাগত উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সন্ধান করেছে। এর একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল Snake robot বা সাপের মতো রোবট তৈরি করা যা মহাকাশে নেমে যাবতীয় অনুসন্ধানের কাজগুলি করবে এবং সেই সাথে মহাকাশে বসবাসের ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করবে। এই যুগান্তকারী সৃষ্টিতে মহাকাশ অভিযানে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা দূরবর্তী এবং প্রতিকূল পরিবেশে গবেষণার কাজ নিখুঁত ভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top