উত্তরাপথ; ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে ।তাই রাজ্যে সংগঠনের হাল জানতে ও পথ নির্দেশ দিতে বাংলায় এসে রবিবার দলের বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা । আর সেই সাংগঠনিক বৈঠকে ভাষণ দেব না বলে নাড্ডার সামনেই সাফ জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন রা্জ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আর সেই ঘটনা নিয়ে প্রবল আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে।সেদিনের বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পর বক্তব্য রাখেন নাড্ডা।
সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয়, এলাকার মানুষের সঙ্গে নিরন্তর জনসংযোগ, মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আন্দোলন ও জনমানসে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরির উপর জোর দিতে বলেন নাড্ডা। এরপর উপস্থিত সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতে চান। সূত্রের খবর, উপস্থিত ১২-১৪জন জনপ্রতিনিধি নিজেদের কথা সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানালেও ভাষণ দিতে অস্বীকার করে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, এখানে বলার অনেক লোক আছে তাঁরাই বরং বলুক। দলীয় সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলার পর থেকেই দলের সঙ্গে নিজের দূরত্ব বাড়াচ্ছেন ক্ষুব্ধ দিলীপ। প্রকাশ্যে বা দলের অভ্যন্তরে মুখ খোলা বন্ধ রেখেছেন। এর জন্য তাঁর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছে একাংশের।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে আগামী দিনে কে কি করবে কেউ বুঝতে পারছে না।
এটিই শুধু নয়। বিজেপির অন্দরে একের পর এক ক্ষোভ-বিক্ষোভ, বেনজির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে নাড্ডার এবারের সফরে। অভিযোগ, প্রথম দিন শনিবারই বিমানবন্দরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে স্বাগত জানাতে গিয়ে যথাযথ সম্মান জোটেনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। যে গোঁসা থেকে রাতের গুরুত্বপূর্ণ কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। তার আগে সায়েন্স সিটির ভরা প্রেক্ষাগৃহে নিজের বুথে জিততে না পারার জন্য নাম না করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে কটাক্ষও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। যদিও বিজেপির এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।
এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,ওই বৈঠককে গোষ্ঠীবাজির বৈঠক বলাই ভাল। ওটা নব্য আর আদি বিজেপির সার্কাস। ওই শোকসভা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করাতে দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন নাড্ডা। শনি ও রবিবার পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন ছাড়াও দু’বার কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। রবিবার সকালে সাংগঠনের হাল জানতে ও পথনির্দেশ দিতে দলের বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গেও বসেছেন। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তাল কেটেছে সব আসরেই। সেজন্য কপালে গভীর ভাঁজ নিয়েই দিল্লি ফিরতে হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।
আরও পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন