

উত্তরাপথঃ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে এবার ভারতেই তৈরি হবে কপ্টার। ফ্রান্সের কোম্পানি এয়ারবাস এবং টাটা গোষ্ঠী যৌথভাবে তৈরি করবে কপ্টার। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভারতে এসেছিলেন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সময় ভারত ও ফ্রান্সের এই দুটি প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে এই নয়া চুক্তি।বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর হেলিকপ্টার তৈরি নিয়ে ফরাসি সংস্থা এয়ারবাসের সঙ্গে বড় চুক্তি স্বাক্ষর করল টাটা গ্রুপ। দুটি কোম্পানি যৌথভাবে ভারতে এইচ ১২৫ (H125) হেলিকপ্টার তৈরি করবে।
চুক্তির অধীনে, Tata Advanced Systems Limited (TASL), টাটা গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, এই অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এয়ারবাস হেলিকপ্টারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এই যৌথ উদ্যোগের লক্ষ্য ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় মুখোমুখি হওয়া সমস্যাগুলি মোকাবেলা করা, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ সীমিত। টাটা-এয়ারবাস মেডিকেল হেলিকপ্টারগুলি গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সময়মত দূরবর্তী উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে দেবে ।এছাড়াও এই হেলিকপ্টারগুলি ব্যক্তিগত পরিবহনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে।
এইচ ১২৫ (H125) হেলিকপ্টারটিতে মোট ৬ জন যাত্রী বসার মতো পরিসর থাকে। এর বিশেষত্ব হল এটি প্রচন্ড গরম এবং প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও উড়তে পারে। ফলে যুদ্ধকালীন ক্ষেত্রেও এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে।এটি “মেক ইন ইন্ডিয়া” এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বনির্ভরতার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ । এর মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে ,অন্যদিকে তেমনি দেশের মহাকাশ অবকাঠামোর সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই চুক্তির বিষয়ে, এয়ারবাস হেলিকপ্টারসের তরফে জানানো হয়েছে, টাটা গ্রুপের সঙ্গে হেলিকপ্টার তৈরিতে পার্টনারশিপ করা হয়েছে। এক ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার এবং অন্য বিমান তৈরির জন্য দুই কোম্পানির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিমান বা হেলিকপ্টার তৈরি করা হবে গুজরাটের ভাদোদরায়। এ ছাড়াও ৪০ টি সি২৯৫ বিমান তৈরি করা হবে। এই বিমানগুলো সাধারণত পরিবহনের কাজে লাগে। পাশাপাশি প্রজেক্টের জন্য গুজরাটে ৩৬ একর অ্যাসেম্বলি লাইন তৈরি করা হবে। এই প্রস্তুতি পর্ব শুরু হবে ২০২৪ সালে, যা শেষ হবে এই বছরেরই শেষ নাগাদ। মেড ইন ইন্ডিয়া এইচ ১২৫ (H125) এর ডেলিভারি শুরু হবে প্রায় ২৪ মাস পরে অর্থাৎ ২০২৬ সালের আগে।
আরও পড়ুন
প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে
উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন