যন্ত্রনার নীল গভীরতা থেকে প্রাপ্তির সবুজ দ্বীপ 🌼 প্রগতির পথে আন্দোলনের পথে নারী🌼

অসীম পাঠক, বাঁকুড়া

“বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর “

আকাশ থেকে নেমে এসে নয় মাটির উপর দাঁড়িয়ে মানুষের দিন যাপন প্রাণ ধারণের গ্লানি …. সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সময়ে দাঁড়িয়ে নারী প্রগতির তাৎপর্য সমাজের গভীরে নিহিত সমস্যাকে সমাধানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ঋগ্বেদে নদীতমা বলা হয়েছে যে নদীকে সেই সরস্বতী নদীতটে ভারতীয় সভ্যতার প্রথম প্রান চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এখানে আর্য সংস্কৃতি ও হরপ্পীয় সভ্যতার যে নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে নারী সমাজের প্রতি বিশেষ মর্যাদার উল্লেখ রয়েছে। সমাজ সভ্যতার অগ্রগতির পরিবর্তনে যুক্তি ও বোধের সহর্ষ করমর্দনের অভাব বাব বার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা উপেক্ষিতা, লাঞ্ছিতা, অপমানিতা, অত্যাচারিতা রূপেই প্রকাশিত।

লাহোরের এক কিশোরী বাড়ীর অমতে বিয়ে করে একটি ছেলেকে। বিয়ের কিছুদিন পর ছেলেটির স্থান হয় জেলে। আর মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হোমে। এর কিছুদিন পরেই আদালতে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে হত্যা করে তার ভাই। এরকম অসংখ্য ঘটনার কথা পাকিস্তানে ছড়িয়ে রয়েছে। গোটা বিশ্বে মেয়েদের উপর অত্যাচারের বীজ বপন করা হয় ছোটবেলায় পরিবারের উষ্ণতার মধ্যেই। পরে ঐতিহ্য সংস্কৃতি আর ধর্মের জল পেরিয়ে সেই বীজ পরিণত হয় মহীরুহে। এই শোষন আর শাসনের বেড়া টপকাতে গেলে একটি মেয়ের যে বিদ্রোহ ঘোষনা করা উচিৎ তার জোর আমাদের দেশের নরম মাটির মেয়েদের নেই। এর জন্য বিচার ব্যাবস্থাও দায়ী। দীর্ঘদিনের অভ্যাস থেকে মেয়েদের উপর অত্যাচার সম্পর্কে বিচারকরা যে মতামত দেন তাতে স্বাভাবিক ভাবেই থেকে যায় বৈষম্যের সম্ভাবনা। ফলে বিচার ব্যাবস্থায় তত্ত্বগত কোন খামতি না থাকলেও সিদ্ধান্ত কিন্তু মেয়েদের বিরুদ্ধেই যায়।

প্রতি বছর ৮ ই মার্চ আমরা নারী দিবস পালন করি। কিন্তু নারী জাতির উপর সম্মান জানাতে কুণ্ঠা বোধ করি। ১৯০৮ সালে এই দিনেই নিউইয়র্কে বস্ত্রশিল্পে নিযুক্ত নারী শ্রমিকরা তাদের কাজের সময়সীমা কমানো ও মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন। পরের বছর ওই একই দিনে ভোটাধিকারের দাবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহিলারা সরব হন। কিন্তু পুরো বিশ্বজুড়ে মৌলিক অধিকারের পাশে অন্য যে সমস্যা তা কিন্তু যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে যায়। দরকার ছিল প্রশাসনিক কিছু পদক্ষেপের। আইন প্রণয়ন করে নারী নির্যাতন বন্ধের চেয়েও বড় ছিল উদার ও মানবিক দৃষ্টি দিয়ে সমস্যাকে দুরীকরনের প্রচেষ্টা। বাল্যবিবাহ সতীদাহ পরে ভ্রুণ হত্যা এইসব জুলন্ত রাজনৈতিক সামাজিক সমস্যার মূলে অর্থনীতিরও একটা ভূমিকা রয়েছে। সমাজে নারী সচেতনতা সম্ভব যদি অর্থনৈতিক ভাবে নারীদের স্বাবলম্বী করা হয়। বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে , মানুষ এখন যান্ত্রিক।

খাসি সমাজের মতো মাতৃতান্ত্রিক না হোক, বা বিভিন্ন উপজাতি দের সংস্কৃতি, অরণ্য অধ্যুষিত আদিবাসী জনজতির সংস্কৃতির মতো না হোক, নারী সমাজকে মর্যাদার আসনে আনতে গেলে শিক্ষিত স্বনির্ভর হতে হবে ….. তাদের মধ্যে অধিকার বোধ জাগ্রত করতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে উৎসব পার্বনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নারী স্বাধীনতা নারী প্রগতি কে শুধুমাত্র মঞ্চের বক্তৃতায় আটকে না রেখে ব্যাবহারিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের পুরুষ রা তাদের পরিবারের মহিলাদের সাথে যদি ভালো ব্যাবহার করে তাহলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে, নারীরা ভোগ্য পণ্য নয়। সামাজিক অধিকারে পুরুষ নারী সম মর্যাদায় ভূষিত।

যুগে যুগে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি নারীসমাজ কে আলোর পথ দেখিয়েছে। আর্থিক অভাব অনটনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা দিয়েছে বেশ কিছু বৈপ্লবিক পটভূমি। কারো উপর নির্ভর করে বা পুরুষের মুখাপেক্ষী হয়ে জীবন ধারণ নয় তারা নিজের যোগ্যতায় বাঁচবে। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে বিলগ্নিকরণ নারীদের প্রেরণা যোগাবে। কৃষি ক্ষেত্রেও বিপ্লব আসবে, যদি মহিলা দের কে সঠিক কাজে লাগানো যায়, গৃহকর্মের পর ও বিভিন্ন চাষবাস ….. সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মেয়েরা তখনই জিততে পারবে মখন শিল্প বানিজ্যে তারা প্রসার লাভ করবে।

গ্রাম বাংলার জঙ্গলমহলের গরীব মায়েরা পিঁপড়ার ডিম খেয়ে বেঁচে থাকেন। এঁরা ওটাকেই ভবিতব্য মনে করেণ। এঁদের কে যদি সেলাই প্রশিক্ষণ এবং ম্যাঙ্গো জুস, স্কুল ইউনিফর্ম সেলাই বিভিন্ন কাজে লাগানো যায়, তাহলে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের কে পড়াশোনার যাবতীয় ব্যাবস্থা সরকারের দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।
ভৌগোলিক সীমানায় দাঁড়িয়ে মালভূমি রাঢ়ভূমি সমভূমি গ্রাম শহরে বিভিন্ন সামাজিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে নারী সমাজ কে কাজের দায়িত্ব বন্টন করতে হবে …… একটি চারাগাছ কে যেমন সঠিক ভাবে লালিত পালিত করলে সে বর্ধিত হবে, তেমনই মহিলাদের ও কাজের ক্ষেত্রে লালন পালন করার নৈতিক দায়িত্ব সরকারের উপর ই বর্তায় …..

“যেনাহং নামৃতা স্যাম্‌ কিমহং তেন কুর্যাম্‌।” যার দ্বারা আমি অমৃতা না হব তা নিয়ে আমি কী করবো… সেরকম যে সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নারী সমাজের সমানাধিকারকে সামাজিক স্বীকৃতি দেয়না, সেই সভ্যতার বিকাশ এখনো হয়নি।

ভারতবর্ষের সনাতন (চিরকালীন) জ্ঞানভান্ডার সম্পর্কে পূর্ণজ্ঞানের অভাবেই বহু মানুষ এভাবে নারী সম্প্রদায়ের অযথা অবমাননা করতে শেখে। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১০/৩৫ নং শ্লোকটিতে নারীর মধ্যে ঐশ্বরিক গুণাবলীর ঐশ্বর্য নিহিত রয়েছে বলে যে ঘোষনা করেছেন, তার প্রতি নারী সমাজের সযত্ন মনোযোগ আকর্ষনের মাধ্যমে তাঁদের হীনমন্যতা দূর করাই আমাদের অবশ্যকর্তব্য বলে মনে করি। আমাদের সমূহ আশঙ্কা হয় যে, গীতার নবম অধ্যায়ের ‘রাজগুহ্য যোগ’ থেকে ৩২ নং শ্লোকটির ভুল অনুবাদ এবং বিকৃত ব্যাখ্যা কোনও কোনও প্রচলিত বিতর্কিত গীতা-ব্যাখ্যায় নারীর মর্যাদা সম্পর্কে পাঠকদের মধ্যে অনেকেই বিভ্রান্তিবোধ করে থাকেন। শ্লোকটি এরকম –

মাং হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যেহপি স্যুঃ পাপযোনয়ঃ ।
স্ত্রিয়ো বৈশ্যাস্তথা শূদ্রাস্তেহপি যান্তি পরাংগতিম্ ।। (গীতা ৯/৩২)

শ্লোকটির যথার্থ অন্বয় হওয়া উচিত এইরকম –
“হে পার্থ (পৃথাপুত্র অর্জুন), যে কেউ পাপযোনিতে (নীচ বংশে) জন্মগ্রহন করে, (নীচকুলজাত) শূদ্র, চন্ডালেরা, স্ত্রীলোকেরা এবং বৈশ্য (ব্যবসায়ীরা), তারা যখনই একাগ্রমনে আমার প্রতি (শ্রীভগবানের প্রতি) আশ্রয়গ্রহন করে, তখন তারাও পরম গতি লাভ করে থাকে।” ….. অথচ আধুনিক শাস্ত্রকারের দল যে বাখ্যায় নারীদের ভূষিত করুক না কেনো, আসলেই নারী সমাজ সেই বৈদিক যুগ থেকে অবহেলিত। দেবদাসী প্রথা এরকমই এক অভিশাপ ছিলো, এখনো গ্রামে গঞ্জে নারীদের পরিচয় চার দেয়ালে আটকে।

প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলি নারীর কর্তব্য ও অধিকারের বিচিত্র চিত্র উপস্থাপন করে। গ্রন্থগুলি নারীদের আট ধরনের বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়।[৭][৮] পন্ডিতদের মতে, বৈদিক যুগের হিন্দু ধর্মগ্রন্থসমূহ এবং প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভ্রমণকারীদের রেকর্ড অনুসারে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় হিন্দু সমাজে যৌতুক বা সতীদাহ প্রথা প্রচলিত ছিল না। এই অনুশীলনগুলি সম্ভবত ভারতীয় উপমহাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক উন্নয়ন থেকে দ্বিতীয় সহস্রাব্দে ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। ইতিহাস জুড়ে, হিন্দু সমাজ অনেক নারী শাসক দেখেছে, যেমন রুদ্রমা দেবী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং সাধু, যেমন অন্ডাল, দার্শনিক, যেমন মৈত্রেয়ী, এবং বৈদিক হিন্দু আচার -অনুষ্ঠানের মহিলা অনুশীলনকারী/ সঞ্চালক।

ব্রায়ান্ট এর মতে, হিন্দুবাদের প্রাচীন কাল থেকে আজ অবধি নারীকে ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শাক্ত, শৈব রীতিতে দেবীকে কেন্দ্রীয় হিসাবে দেখা হয়। হিন্দুধর্মে শক্তি উপাসনা সম্পর্কিত সংস্কৃতীয় ঐতিহ্য ও বহু হিন্দু সম্প্রদায় এইসব ধর্মের মোড়কে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আসছে …. বহু প্রতিবন্ধকতা সত্বেও এও এক ভালো দিক। এবং অনেক হিন্দু সম্প্রদায় এখনো মাতৃতান্ত্রিক।
আবার ইসলাম ধর্মেও যতোই পর্দানশীন এর পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক জারি থাকুক না কেনো, আসলেই সেখানে নারী সমাজের শিক্ষার কথা আলোচিত হয়েছে। পৃথিবীর কোন প্রাচীন ধর্ম নারীদের অমর্যাদা শেখায়না, তবুও যুগে যুগে কিছু মানুষ ধর্মের মোড়কে লোভ লালসর বিস্তারে পাপের প্রাসাদ তৈরী করে ….

সভ্যতা শুরুর সময় থেকে ক্রমবর্ধমান ইতিহাসে যে বিবর্তন এসেছে নারী মুক্তির পথে তা যথেষ্ট নয়। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে ভুগতে নারী সমাজ অনেকটাই ক্লান্ত। তবুও আশার কথা যে লড়াই আন্দোলন এখনো নিভে যায়নি। যেখানে পাঁচ বছরের শিশু যৌন নিগ্রহের শিকার হয়, যেখানে অবাঞ্ছিত মাতৃত্বে হাজার হাজার নারী কলংকিতা হয় …. যেখানে শাঁখা সিঁদুরের সংস্কারে বন্দী কয়েদীর ইঙ্গিত সেখানে একটা আমূল পরিবর্তন অনেক লড়াইয়ের পথ।

রিক্ত নিঃস্ব নারী সমাজ যদি স্বনির্ভর হয় প্রতিবাদী হয় নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখার কাজে যত্নবান হয় তাহলেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব। প্রান – ই – তো প্রানের জন্ম দেয়, একটা প্রদীপ যেমন দশটা প্রণীপকে জ্বালিয়ে দেয় তেমনি একজনই রূপকার হয়ে থাকেন নতুন সৃষ্টির নতুন সম্ভাবনার। প্রগতির পথে নারী সেই সৃষ্টি সম্ভাবনার প্রতীক।
“ সুচেতনা এপথে আলো জ্বেলে এপথেই মানুষের আত্মার ক্রমমুক্তি ঘটবে সে অনেক শতাব্দীর মানব মনীষীর কাজ ” ।


খবরটি শেয়ার করুণ

1 thought on “যন্ত্রনার নীল গভীরতা থেকে প্রাপ্তির সবুজ দ্বীপ 🌼 প্রগতির পথে আন্দোলনের পথে নারী🌼”

  1. Pingback: তীর ভাঙ্গা ঢেউ - উত্তরাপথ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


শূন্য বর্জ্য নীতি গ্রহনে জাপান আজ বিশ্বগুরু

উত্তরাপথঃ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ শহর জাপান । সম্প্রতি তার শূন্য বর্জ্য নীতি-এর কারণে খবরের শিরোনামে । Zero Waste বা শূন্য বর্জ্য হল- অযথা খরচকে ন্যূনতম রেখে উৎপাদিত আবর্জনা কমানোর প্রচেষ্টা। ১৯৯৬ সালে , অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহর ক্যানবেরা বিশ্বের প্রথম শূন্য-বর্জ্য শহরের শিরোপা অর্জন করে।এরপর Zero Waste ধারণাটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, উদাহরণস্বরূপ কানাডার টরন্টো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো নিজেদের শূন্য-বর্জ্য শহর হিসাবে ঘোষণা করে । পরিবেশ সচেতনতার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭০% পৌরসভা নিজেদের শূন্য-বর্জ্য পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করেছে।এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, জাপানের পাঁচটি শহর নিজেদের শূন্য বর্জ্য শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে।জাপানের তোকুশিমা প্রিফেকচারের কামিকাতসু টাউন প্রথম নিজেদের শূন্য বর্জ্য  শহর হিসেবে ঘোষণা করার পর, ধারণাটি পুরো জাপানে ছড়িয়ে পড়ে। .....বিস্তারিত পড়ুন

রেলওয়ে ইউনিয়নের নতুন সূচনা, গান গেয়ে মানসিক চাপ দূর করছেন রেলের কর্মচারীরা

উত্তরাপথঃ আপনি যদি সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করেন, তাহলে এই খবর আপনাকে স্বস্তি দেবে।কারণ ভারতীয় রেলওয়ের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েম্যানস ফেডারেশন (এআইআরএফ) এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে এক অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে।তারা তাদের কর্মীদের গান গেয়ে তাদের মানসিক চাপ দূর করতে পরামর্শ দিচ্ছে।    এআইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুকেশ মাথুরের নির্দেশে, জয়পুর এবং অন্যান্য শহরের কর্মচারীরা একটি মাঠে জড়ো হয় এবং সেখানে তারা গান গায় এবং আন্তাক্ষিরি খেলে। .....বিস্তারিত পড়ুন

লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা  

মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল  দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা  চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন

শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু কলকাতা পুরসভা এবং বন্দর কতৃপক্ষের

উত্তরাপথঃ শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনের, প্রতিমা বিসর্জনে এ বার বিশেষ বন্দোবস্ত করছে কলকাতা পুরসভা।এ বছর ২১ অক্টোবর দুর্গা পুজা শুরু এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী। বিজয়া দশমীর পর আরও দু’দিন প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। তাই সেই প্রতিমা বিসর্জন পর্ব মসৃণ করতে কলকাতা বন্দর এবং পুরসভা কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সোমবার কলকাতা পুরসভায় প্রাক্‌-পুজোর বৈঠকে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের পাশাপাশি, ছিলেন কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি-সহ একাধিক সরকারি দফতরের আধিকারিকেরা। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top