উত্তরাপথঃরান্নার গ্যাসের আধার তথ্য যাচাইয়ের শেষ দিন কবে? ডেডলাইন জানিয়ে দিল কেন্দ্র এলপিজির গ্রাহকদের আধার কার্ড তথা বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তেল সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্র।ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ডিরেক্টরদের চিঠি দিয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গ্যাসের আধার যাচাই ৩১ মার্চের মধ্যে সারতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তার মধ্যে কোনও গ্রাহকের সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হলে কী হবে? গ্যাস পেতে অসুবিধা হবে কী? ভর্তুকি পেতে সমস্যা হবে না তো? যাচাই চালু থাকবে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে। তেল সংস্থা সূত্রের দাবি, ভর্তুকি বন্ধ হওয়া বা সংযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন হওয়ার বার্তা কেন্দ্রের নির্দেশে নেই।
গত বছর অক্টোবরে কেন্দ্রের তেল মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, সমস্ত গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য অর্থাৎ আধার তথ্য যাচাই করতে হবে।সেই সময় এর কারণ না জানালেও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভর্তুকির ভুয়ো সংযোগ চিহ্নিত করে সরকারি অর্থের অপচয় রোখাই লক্ষ্য। সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে বললেও, দিনক্ষণ বেঁধে না দেওয়ায় ধন্দ তৈরি হয়। সেসময় সেই তথ্য যাচাই করার কোনও ডেডলাইন দেওয়া হয়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তথ্য যাচাই শেষ করতে চাইছে কেন্দ্র। যার জেরে গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমতো তাড়াহুড়ো পড়ে যায়। তবে সেসময় গ্যাস সংস্থাগুলি আশ্বস্ত করে, গ্রাহকদের আধার তথ্য যাচাই করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে।
এবার আধার যাচাইয়ের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক একটি চিঠিতে তিন প্রধান গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাকে ৩১ মার্চ অর্থাৎ আগামী রবিবারের মধ্যে আধার যাচাই শেষ করার বিষয়ে জানিয়েছে। গ্যাস সংস্থাগুলি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের তথ্য যাচাই হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ দুদিনের মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ গ্রাহকের তথ্য যাচাই করতে হবে। যা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য ইন্ডেন, ভারত গ্যাস এবং এইচপি গ্যাস অবশ্য মোবাইলে যাচাই প্রক্রিয়া সারতে অ্যাপও এনেছে। যথাক্রমে ‘ইন্ডিয়ানওয়েল ওয়ান মোবাইল অ্যাপ’, ‘হ্যালো বিপিসিএল মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘এইচপি পে অ্যাপ’। এগুলির সঙ্গে ‘আধারফেসআরডি অ্যাপ’-ও রাখতে হবে।
আরও পড়ুন
জোছনা রাতে
অসীম পাঠক: পূর্ণিমার মায়াবী চাঁদের আলোয় বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। পুরুলিয়ার পান্ডব বর্জিত এক গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে গ্রামের শৌখিন যাত্রার আসরে পঙ্গপালের মতো ছুটে চলেছে সব মানুষজন। গোপালপুরে যাত্রা তাও আবার ঐতিহাসিক পালা। ঝলমলে পোশাকের মেলা আর গ্রাম্য বিনোদনের এক অফুরন্ত ভান্ডার, সাথে মেলা জুয়ার আসর, দেশী মহুয়ার চনমনে নেশা। কাঁচের গ্লাসে ফেনায়িত মদ আর ঝালঝাল চাখনা ছোলা মটর বাদাম। আহা রে- জিভ চকচক করে হরিপদর। বেশ রসিক মানুষ হরিপদ কর্মকার, তার রসের ভান্ডারে কতো বিচিত্র অভিজ্ঞতা র গল্প। নাম করা গুনীন, সাপের বিষ না .....বিস্তারিত পড়ুন
মরশুমের প্রথম ইলিশ ( Hilsa) এল দিঘায়
উত্তরাপথ: মরশুমের প্রথম ইলিশ এল দিঘায় (Digha)। জানা গেছে, সাত থেকে দশদিন আগে ট্রলারগুলি সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল। মৎস্যজীবীরা জানান, মাঝসমুদ্রে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি পেয়েছেন। পুবের হাওয়াও ছিল। এটাই ইলিশের পক্ষে অনুকূল আবহাওয়া। তাই ইলিশের দেখা মিলেছে। বেশ কিছু ট্রলার ইতিমধ্যে দিঘায় এসে ঠেকেছে। তাঁরা বলেন, “আরও ট্রলার সমুদ্রে আছে সেগুলো ফিরছে খুব শীঘ্রই । ট্রলারগুলি ফিরে আসায় দিঘার বাজারে আমদানি হল মরশুমের প্রথম ইলিশ যা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টন ইলিশ। .....বিস্তারিত পড়ুন
মানভূমের নাচনি শিল্পীদের সংগঠন : 'মানভূম লোকসংস্কৃতি ও নাচনী উন্নয়ন সমিতি'
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: মানভূমের প্রচলিত প্রাচীন লোকনৃত্য গুলির মধ্যে অন্যতম হল নাচনি নাচ । এই অঞ্চলের লোকনৃত্যগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তায় ও ব্যাপ্তিতে ছৌ নাচের পরেই রয়েছে নাচনি নাচ। এই নাচে আছে মাটির টান , অন্তরের স্পন্দন । মানভূমে বর্তমানে প্রায় ৭০ জন নাচনিশিল্পী রয়েছেন । এই শিল্পীরা সকলেই কমবেশি দুর্ভাগ্য- পীড়িত। অধিকাংশ নাচনিই দুঃখ-কষ্ট, দারিদ্র ও দুর্ভাগ্যের স্রোতে ভাসতে ভাসতে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরেছেন নাচনি নাচকে। .....বিস্তারিত পড়ুন
SAFF Final: কুয়েতকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত
উত্তরাপথ: SAFF Final (সাফ) ফুটবলের শিরোপা হাতছাড়া করেনি এবারও ভারত। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে শিরোপা নিজেদের কাছেই রেখে দিল Blue Tigers -রা। এই নিয়ে রেকর্ড ৯ম বার এই শিরোপা নিজেদের কাছে রাখল সুনিল ছেত্রীরা। টাইব্রেকারে তারা কুয়েতকে হারিয়েছে ৫-৪ ব্যবধানে । তবে এই জয় খুব সহজে পায়নি সুনিল ছেত্রীরা। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে শিরোপা দখলে নিল ভারত। নির্ধারিত সময়, অতিরিক্ত সময় অতঃপর টাইব্রেকার; তবুও নিষ্পত্তি হয়নি শিরোপার। অবশেষে ভারত শিরোপা বুঝে পায় সাডেন ডেথে। .....বিস্তারিত পড়ুন