সেপ্টেম্বরে পরপর ৫ দিন সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকল মোদী সরকার

সংগৃহীত-ছবি টুইটার

উত্তরাপথঃ  সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিল মোদী সরকার। এই অধিবেশন চলবে ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এতে পাঁচটি বৈঠক হবে।সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী টুইটারে একথা জানাতে লিখেছেন, ‘অমৃত কালে সংসদে ফলপ্রসূ পর্যালোচনা ও বিতর্ক প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’ কিন্তু ওই বিশেষ অধিবেশনে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে সেব্যাপারে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ কেন্দ্রের।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘোষণা ঘিরে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম গুঞ্জন, এই অধিবেশন নতুন সংসদ ভবনে হবে কিনা। যদিও এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করা হচ্ছে লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশনও সম্ভবত হবে না।

সেই সঙ্গে এই জল্পনাও শুরু হয়েছে, তাহলে কি জরুরি কোনও বিল পেশ করা হবে? যেমন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কিংবা লোকসভার সম্প্রসারণের মতো ইস্যু? আপাতত এই নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও কেন্দ্রের তরফে যেহেতু কিছুই বলা হয়নি, তাই কেন ওই অধিবেশন ডাকা হয়েছে সেসম্পর্কে কোনও নিশ্চিত ধারণা করা যাচ্ছে না। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিল মোদী সরকার। এই অধিবেশন চলবে ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এতে পাঁচটি বৈঠক হবে। এটি হবে ১৭ তম লোকসভার অধিবেশন এবং রাজ্যসভার ২৬১ তম অধিবেশন। অমৃতকালের মধ্যে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

সংবিধানের ৮৫ তম অনুচ্ছেদে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার বিধান রয়েছে। এর অধীনে সরকার সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারে। মন্ত্রিসভার সংসদীয় বিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিলে অধিবেশন ডাকা হয়।

এর আগে ২০ জুলাই থেকে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অধিবেশনে মণিপুরে হিংসা নিয়ে ব্যাপক হইহট্টগোল হয়। বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে অনড় ছিল। শেষ পর্যন্ত সরকার ও বিরোধীদলগুলির মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডার মধ্যে অধিবেশন শেষ হয়।

বর্ষাকালীন অধিবেশন  চলআর সময় কংগ্রেস মণিপুর নিয়ে সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এই সময় রাহুল গান্ধী মণিপুরে হিংসার কথা উল্লেখ করে মোদী সরকারকে তীব্র নিশানা করেছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ করা যেতে পারে গত ৩ মে থেকে মণিপুরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ১৫০-এর ওপরে। হাজার হাজার মানুষ রয়েছেন ত্রাণশিবিরে।

তবে এবারে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে গত পাঁচ বছরে সরকারের কাজের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি এই বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে নির্বাচনও এগিয়ে আনার কথাও ঘোষণা করা হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে সরকারি তরফে এখনও কোনও আলোচ্যসূচী প্রকাশ করা হয়নি।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সহযাত্রী

দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top