কিডনি ক্ষতির কারণে এক নজরে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা

উত্তরাপথঃ কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করার কাজ করে। কিডনি ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শরীর সুস্থ রাখতে কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু আজকাল ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে মানুষের মধ্যে কিডনি সংক্রান্ত রোগ দ্রুত বাড়ছে। কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। এর মধ্যে কিছু উপসর্গ ত্বকেও দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলো সময়মতো শনাক্ত করা গেলে কিডনির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আজ এই নিবন্ধে আমরা কিডনি ক্ষতির কারণে ত্বকে দেখা যায় এমন লক্ষণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করব।

শুষ্ক ত্বক

কিডনি বিকল হওয়ার কারণে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আসলে, কিডনি যখন সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন শরীরে ফসফরাস এবং খনিজ পদার্থ বাড়তে শুরু করে। এর কারণে ত্বক খুব শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।

ত্বকে হলুদ ভাব

আপনার ত্বক যদি হঠাৎ করে হলুদ হয় যায় তবে তা কিডনির ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে। আসলে কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে, যার কারণে ত্বকের রং বদলে যেতে পারে। আপনিও যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখতে পান, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ত্বকে লাল ফুসকুড়ি

কিডনি বিকল হলে ত্বকে লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। আসলে, রক্তে বিষাক্ত পদার্থের বৃদ্ধির কারণে এটি ঘটে। আপনিও যদি এই ধরনের উপসর্গ দেখে থাকেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

চুলকানি ত্বক

ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানিও কিডনি ফেইলিউরের লক্ষণ হতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ত্বকের চুলকানির সমস্যায় ভুগছেন তবে তা উপেক্ষা করুন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনার অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং একবার পরীক্ষা করা উচিত।

ত্বকে ফুলে যাওয়া

কিডনি বিকল হওয়ার কারণে ত্বকে ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। আসলে, যখন কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন শরীরে সোডিয়াম এবং টক্সিন জমতে শুরু করে। এ কারণে শরীরে ফোলাভাব হতে পারে। মুখ, পা, হাত বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।

সতর্কীকরণ- আমাদের নিবন্ধে শেয়ার করা তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে শেয়ার করা হচ্ছে এটাকে কোনও চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।    বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top