সীমানা

অসীম পাঠক

কল্লোলিনী তিলোত্তমার অভিজাত বেলভিউ নার্সিং হোমের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শোরগোল পড়ে গেলো, ডাক্তার নার্স সবার ছুটোছুটি। সিনিয়র ডক্টর মিঃ লাহিড়ী সব শুনে চমকে গেলেন, অস্ফুটে গলা থেকে বেরোলো তাঁর “ইটস এ রেয়ার কেস অফ মেডিক্যাল সায়েন্স “। তারপর স্টেথো টা ঝুলিয়ে রিভলভিং ছেড়ে উঠতে উঠতে বললেন , ” ইমিডিয়েট বাড়ির লোকেদের খবর দিন ” …..বিশ্বজিৎ মজুমদার কুড়ি বছর কোমাতে। আজ ই রেসপন্স করছেন। সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে ,জন্ম মৃত্যুর সীমানা থেকে তিনি তখন জেগে উঠেছেন, অবচেতনের সব জাগতিক অনুভূতি থেকে তিনি বাস্তবের আলোয়।

তপনের মোবাইল বেজে উঠলো, সবে সে ব্যাংক যাবার জন্য তৈরী হচ্ছে, সে একটি বেসরকারি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার। আজ একটা ইমপোর্টান্ট মিটিং, নার্সিং হোমের ফোনে সে বিস্ময়ে হতবাক। সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিলো, মায়ের কথা রাখতে ফেলে রেখেছিলো বেলভিউতে, তপন তার স্ত্রী রূপা কে ব্যাপার টা জানালো। তাদের একমাত্র ছেলে তোতন কে তখন স্কুল ইউনিফর্ম পরাতে বিজি রূপা, সবাই হতবাক, তপন তার দিদি অরুণিমা কে ফোন করে সব জানালো। অরুণিমা একটি ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপিকা, স্বামী অর্ণবও অধ্যাপক তবে রসায়ন বিদ্যার। দুজনেই কলেজ বেরুবার জন্য রেডি হচ্ছিল। অরুণিমা র আজ একটা সেমিনার এটেনন্ড করতে হবে, অর্ণবের ও একজন পাবলিশারের সাথে আ্যপয়েন্টমেন্ট ফিক্সড আছে। আধুনিক রসায়ন নিয়ে তার একটা বই বের করতে চলেজে দেজ পাবলিশিং। সবাই বিস্ময়ে বিমূঢ়। সবার দৈনন্দিন রুটিনে যেনো একটা ব্রেক ছন্দপতন, কুড়ি বছর। সময়ের স্রোতে অনেক জল বয়ে গেছে, বিশ্বজিৎ বাবুর ছেলে মেয়ে এখন জীবনে প্রতিষ্ঠিত, ঘোর সংসারী, বাবা কে ছাড়া তাদের কুড়ি বছর অতিক্রান্ত। বাবার শ্বাস কুড়ি বছর ধরে চললেও বাবা তাদের কাছে মৃত। তাদের মা পূরবী দেবী দু বছর আগে গত হয়েছেন। স্কুল শিক্ষিকা পূরবী দেবী যতোদিন বেঁচে ছিলেন তাঁর স্বামীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছেন ।আত্মীয় বন্ধু রা বারংবার বলেছেন, ” এটা ঠিক হচ্ছে না, উনাকে মুক্তি দাও। তাছাড়া এতো টাকা পয়সা জলের মতো খরচ হচ্ছে “, পূরবী দেবী সে সব কথা ভ্রুক্ষেপ না করে বলতেন ” যতোক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ , আমার সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় হোক বলবে কোথায় , তোমরা তা মুছে ফেলতে চাইছো “। কেও আর কথা বাড়াতো না কষ্ট করে মানুষ করেছিলেন মেয়ে আর ছেলেকে।

কোম্পানির উচ্চ পদস্থ অফিসার বিশ্বজিৎ বাবু র ছিলো সুখী স্বচ্ছল পরিবার। হঠাৎই একদিন দুর্ঘটনা। এক বৃষ্টি স্নাত গভীর রাতে বর্ধমান হাইওয়ে ধরে কোলকাতা ফিরছিলেন একটা সেমিনার সেরে, বিশ্বজিৎ বাবু গাড়ি ড্রাইভ নিজে করতেন।সেদিন ছিলো তাদের বিবাহবার্ষিকী। বেরুণোর ইচ্ছে ছিলো না, কিন্তু বিধি বুঝি বাম। স্ত্রী পূরবী দেবীর জন্য লাল গোলাপ আর হীরের আংটি কিনে রেখেছিলেন। জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাঁরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই এক মালবাহী লরির ধাক্কায় দুর্ঘটনা। জীবন বীমার আধিকারিকের নিজের জীবন গভীর সংকটে। পুলিশই বিশ্বজিৎবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর গাড়ির কাগজপত্র দেখে বাড়িতে খবর দিয়েছিলেন। তখন বিশ্বজিৎ বাবু র বয়স চুয়াল্লিশ, ডক্টর বলেছিলেন আশা কম, ইন্টারনাল হেমারেজ এতো বেশী, নিউরো সার্জন ডক্টর লাহিড়ী বলেছিলেন, ” আমি অপারেশন করবো তবে যতোক্ষণ না জ্ঞান ফেরে বলা যাবে না, ঈশ্বর কে ডাকুন “। সেই থেকে ঈশ্বর ই যেনো রক্ষা কর্তা পূরবী দেবীর। মেয়ে পনেরো ছেলে বারো, কি করবেন পূরবী দেবী …. তপন তো বাবার ভালোবাসা সান্নিধ্য কিছুই বোঝেনি, মেয়ে অরুণিমা বাবার এই দুর্ঘটনা কিছদিন ভূলতে পারেণি। পূরবী দেবীর ছিলো একটা কঠিন লড়াই। ইস্পাত কঠিন মানসিকতা নিয়ে তিনি ডুবন্ত তরী কে রক্ষা করেছিলেন, বছর দুই আগেও এরকমই এক গ্রীষ্মের সকালে স্বামীর সুস্থতা কামনায় দেবী কালীর আরাধনা করে প্রসাদী জবা ফুল স্বামীর মাথায় ঠেকিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতেই স্ট্রোক এ মারা যান। আজ পূরবী দেবী বেঁচে থাকলে তাঁর অনন্ত প্রতীক্ষা , তাঁর কষ্টের ফসল ,সাধনার ধন কে দেখে যেতে পারতেন, সময় বড়ো নিষ্ঠুর।

বিকেল পাঁচ টা ডক্টর লাহিড়ী র চ্যাম্বারে তপন অরুণিমা দুজনেই হাজির , সকালে খবর পেয়েও কারো সময় হয় নি। লাহিড়ী বলেন ” সাবধানে রাখতে হবে উনাকে যেনো কোনরকম শক না পান” …… অরুণিমা বলে , “কি করে সম্ভব ডাক্তার বাবু , মা মারা গেছেন এটা কি করে বলবো ? উনি তো মা কে দেখতে চাইবেন।” এই সময় নার্স এসে বললো পেশেন্ট একদম নর্মাল, জুস দেওয়া হয়েছে, বাড়ির লোক দেখা করতে পারেণ।
কুড়ি বছর পর বিশ্বজিৎ বাবু জেগে উঠে দেখলেন এ জগত মিথ্যা নয়, স্বপ্ন নয় …. এতোদিন তিনি যেনো ঘুমের মধ্যে আচ্ছন্ন ছিলেন স্ত্রী প্রিয়তমা পূরবী তাঁর মাথার কাছে দাঁড়িয়ে নীরবে চোখের জল ফেলতেন, তিনি সব দেখতে পেতেন, তিনি যেনো চিৎকার করে বলতে চাইতেন, কেঁদো না, এই তো আমি, জীবন মৃত্যুর সীমানা য় দাঁড়িয়ে থাকা এক সৈনিকের মতো অতন্দ্র কড়া প্রহরায় তিনি ছিলেন আবিষ্ট। মেয়ে অরুণিমা কাঁচের দরজা র ওপার থেকে বাবা কে দেখে যেতো, বিশ্বজিৎ বাবু স্নেহের সুরে যেনো ডাকতেন, আয় মা কাছে আয়। কেও তাঁর ডাক শুনতে পেতো না, কি অসহ্য যন্ত্রণা হতো, কতো অসহায় লাগতো নিজেকে, শ্বাস যেনো বন্ধ হয়ে আসতো …… বিশ্বজিৎ বাবু যেনো নির্জন জনমানবহীন এক পরিত্যক্ত নিরালা দ্বীপ এ নির্বাসিত ছিলেন বহুকাল।

অরুণা তপন সহ ডক্টর লাহিড়ী বিশ্বজিৎ বাবুর কেবিনে এসে দাঁড়ায়। বিশ্বজিৎ বাবু চিনতে পারেণ না তাদের। ডক্টর লাহিড়ী পরিচয় করিয়ে দেয়, নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস। তাঁর রক্ত যাদের মধ্যে প্রবাহিত তাদের সাথে পরিচয় করতে হচ্ছে অপরজনের মধ্যস্থতায়, হঠাৎ ই তিনি পূরবী দেবীকে ডেকে ওঠেন, সবাই নিশ্চুপ – ” পূরবী কোথায়, কেমন দেখতে হয়েছো তুমি ?” ডক্টর লাহিড়ী এগিয়ে আসেন কাছে, পালস রেট নর্মাল, অক্সিজেন ও খোলা আছে, একটা ঘুমের ইন্জেকশন রেডি করতে বলে, বিশ্বজিৎ বাবুর হাতটা নিজের হাতে তুলে নিয়ে বলেন, উত্তেজিত হবেন না, বিশ্বজিৎ বাবু উৎকণ্ঠা য় চিৎকার করে বলেন, “কি হয়েছে পূরবী র ?” তপন আর পেরে না ওঠে বলে, মা নেই। গোটা ঘর নিস্তব্ধ, একটা আর্ত চিৎকার বিশ্বজিৎ বাবুর ” ওঃ ভগবান ” তারপর ই সব চুপ …… বিশ্বজিৎ বাবু সীমানা পেরিয়ে গেলেন, কোলাহলমুখর সন্ধ্যায় বিশ্বজিৎ বাবু পূরবীর সন্ধ্যা শিথিল আলাপে মগ্ন যেনো, ক্ষনিকের এপার জীবনকে চেনালো – ওপারেই যেনো প্রশান্ত শান্তির ক্ষীণ রেখা ক্রমেই প্রস্ফুট ।।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

সহযাত্রী

দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top