উত্তরাপথ
বিজেপি সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক নির্বাচনে তার নির্বাচনী ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করে উঠতে পারেনি তার আগেই আবার আদি–নব্যর লড়ায় বিজেপিতে। এখন দলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে তাদের দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন এবং কংগ্রেসে যোগদানের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চতুর্থ মেয়াদের মাইহার বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠি এবং প্রাক্তন বিধায়ক সত্যনারায়ণ সাত্তান এবং ভানওয়ার সিং শেখাওয়াত। তাদের পাশাপাশি, রাজ্যের রাজনৈতিক বৃত্তে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এমন একজন ব্যক্তি হলেন অনুপ মিশ্র, চার বারের বিধায়ক এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাগ্নে।
বহুদিন ধরেই বিজেপি সরকার ও সংগঠনে পরিবর্তনের জল্পনা চলছে।২০২০সালে সরকার গঠনের পর থেকে মন্ত্রী পরিষদে কোনো পরিবর্তন বা সম্প্রসারণ হয়নি। মন্ত্রীর চারটি পদ শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে, যদি আমরা সংগঠনে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বাড়ানোর বিষয়ে কোনও খবর নেই। আবার সদ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে চার প্রবীণ নেতার বৈঠকের পর রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। এটাকে রাজ্যে পরিবর্তনের আগে সংহতি দেখানোর চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাইহোক, এখন সকলের দৃষ্টি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের দিল্লি সফরের দিকে ।
চলতি বছরের শেষে মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন। এর আগে পুরোনো ও নতুন বিজেপির লড়াই সামনে আসতে শুরু করেছে। এতে ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট নেতারা তাদের অবহেলার অভিযোগ করছেন যা বিজেপির উদ্বেগ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। সাগরে মন্ত্রীদের মধ্যে লড়াই সামনে আসার পরে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সিএম শিবরাজ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, প্রহ্লাদ প্যাটেল এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বৈঠক করেন। এ কারণে রাজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার গুনার সাংসদ কেপি যাদব, যিনি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে পরাজিত করেছিলেন, তিনি এখন প্রকাশ্যে দলে তাকে অবহেলার প্রসঙ্গটি তুলছেন। ক্ষুব্ধ কেপি খোলাখুলি বলেছেন, কিছু লোক পার্টির প্লেট থেকে খেয়ে তাতে গর্ত করছে। তার ইঙ্গিত ছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সমর্থকদের দিকে। এর পরে, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সমর্থক ইমারতি দেবীর বক্তব্য এসেছে যে এবার টিকিট পাবেন না কেপি যাদব। এসব কিছুই বিজেপিকে অস্থির করে তুলছে মধ্যপ্রদেশে।
আরও পড়ুন
Green Washing থেকে সাবধান
প্রিয়াঙ্কা দত্ত, রঘনাথপুর: আপনি নিশ্চয়ই একজন পরিবেশ সচেতন নাগরিক? যদি নাও হন তবুও বাজার চলতি ভোগ্যপণ্য খরিদ করার সময় আপনি কি এখন একশ শতাংশ প্রাকৃতিক দ্রব্য কিনতেই পছন্দ করেন? এবং কেনেন? প্রসাধন দ্রব্য কেনার সময় কি আপনি নিম ,তুলসী, চন্দন বা গোলাপের নির্যাস যুক্ত জিনিসই কেনেন ? আর জামাকাপড়? একশ শতাংশ পচনশীল পদার্থ দিয়ে তৈরী? টুথ পেস্ট থেকে আরম্ভ করে তেল, সাবান, শাম্পু কিংবা ভোজ্য তেল , ফ্রুট জুস বা খাবার জিনিস! সব কিছুতেই আপনি পরিবেশে বান্ধব প্যাকেজিং এবং সম্পূর্ন প্রাকৃতিক এই লেবেল দেখেই কিনছেন। তাই না? বর্তমান যুগের .....বিস্তারিত পড়ুন
মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য
অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন
বঞ্চনার আর এক নাম শবর
বলরাম মাহাতো: শবর কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ‘সগর’ থেকে। ‘সগর’ শব্দের অর্থ হলো কুঠার। বোঝাই যাচ্ছে, শবররা কুঠার হাতে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। সেখান থেকেই শবর নামটির প্রচলন হয়। শবররা বাস করেন পশ্চিম বাংলা, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশ, ছোটনাগপুর আর উড়িষ্যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে শবরদের সংখ্যা ২,০০০ এর কিছু বেশি। শবর কোনো একজনের নাম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর নাম। বর্তমানে ভারতে এই শবর জনগোষ্ঠী একটি .....বিস্তারিত পড়ুন
হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য
অনয় কিরণ মাহাতো: কেমন যেন লাগে রোবট এর কথা শুনলে। তারপরে আবার হিউম্যানয়েড, ভাবা যায়। হিউম্যানয়েড রোবট এক জটিল anthropomorphic কৃত্রিম মেশিন যা রোবোটিক্স, লোকোমোশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এই হিউম্যানয়েড রোবর্ট এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। ১৮১০ সালে জার্মানির ফ্রেডলিচ কাউফম্যানন প্রথম তৈরি করেছিলেন এক ট্রাম্পেট সৈনিক রোবর্ট। এরপর হুমানোইড রোবর্ট তৈরি করেন আরবের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আল-যাজরি। এরপর লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ঈশিগুর .....বিস্তারিত পড়ুন